ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬ প্রথমবারের মতো ৪৮ দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে, আর সেই কারণেই ড্র প্রক্রিয়াতেও এসেছে বড় পরিবর্তন। এতদিন পর্যন্ত ৩২ দলের বিশ্বকাপে চারদল করে আটটি গ্রুপে ভাগ করা হতো। কিন্তু এবার দলসংখ্যা বাড়ায় জটিলতা ও কৌশল দুটোই বেড়েছে। নতুন ফরম্যাট অনুযায়ী ৪৮ দলকে ভাগ করা হবে ১৬টি গ্রুপে, প্রতিটি গ্রুপে থাকবে ৩টি করে দল। সিডিং নির্ধারণ করা হবে ফিফা বিশ্ব র‍্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে, যাতে শক্তিশালী দলগুলো একসঙ্গে না পড়ে এবং প্রতিটি গ্রুপ প্রতিযোগিতামূলক হয়। গ্রুপ স্টেজে সব দলই কমপক্ষে দুইটি ম্যাচ খেলবে। প্রতিটি গ্রুপ থেকে সেরা দুই দল ৩২ দলের নকআউটে যাবে। এই নতুন পদ্ধতি বিশ্বকাপকে যেমন আরও লম্বা ও বিস্তৃত করবে, তেমনই বাড়িয়ে দেবে প্রতিটি ম্যাচের গুরুত্ব। ছোট দলগুলোর জন্যও এটি বড় সুযোগ, কারণ মাত্র দুই ম্যাচে ভালো পারফরম্যান্স করলেই নকআউটে পৌঁছানো সম্ভব। ড্র প্রক্রিয়াটি পুরোপুরি স্বচ্ছ রাখতে ফিফা বিশেষ নিয়ম প্রয়োগ করবে একই কনফেডারেশনের দলগুলোকে একই গ্রুপে না রাখার চেষ্টা, সিডিং পট অনুযায়ী দল বাছাই, এবং ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে প্রযুক্তিনির্ভর সিস্টেম ব্যবহার। ফলে ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র হবে ইতিহাসের সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় ও উত্তেজনাপূর্ণ এক অনুষ্ঠান।
ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬ ফুটবল ইতিহাসে এক বিপ্লবী পরিবর্তন (Revolutionary Change) নিয়ে আসছে। প্রথমবারের মতো ৩২ দলের ঐতিহ্যবাহী ফরম্যাটের বদলে ৪৮টি দেশ অংশগ্রহণ করতে চলেছে এই বিশ্বমহারণে। দলসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বেড়েছে ম্যাচের সংখ্যা (৬৪ থেকে ৮২), বেড়েছে প্রতিযোগিতার তীব্রতা এবং ফুটবলীয় উত্তেজনা। তবে এই সম্প্রসারণের সবচেয়ে বড় কৌশলগত পরিবর্তনটি এসেছে বিশ্বকাপের ড্র প্রক্রিয়াতে (Draw Procedure)। কীভাবে ৪৮টি দলকে গ্রুপে ভাগ করা হবে, কোন জটিল নিয়ম মেনে তৈরি হবে গ্রুপ স্টেজ, এবং সিডিং বা পট বিভাজন (Pot Distribution) কীভাবে কাজ করবে—এই নিয়েই বিশ্বজুড়ে ফুটবলপ্রেমী, বিশ্লেষক এবং দলগুলির মধ্যে কৌতূহল এখন তুঙ্গে।
এই বিস্তৃত এবং ১৫০০-এর অধিক শব্দের কৌশলগত বিশ্লেষণমূলক (Strategic Analytical) প্রতিবেদনে আমরা জানব—২০২৬ বিশ্বকাপের নতুন ফরম্যাট, ড্র প্রক্রিয়ার সুনির্দিষ্ট ধাপ, পট ও সিডিং নির্ধারণের জটিল নিয়মাবলি, ছোট দলগুলোর জন্য সৃষ্ট নতুন সুযোগ, এবং বড় দলগুলোর সামনে আসা অপ্রত্যাশিত চ্যালেঞ্জগুলো। সবশেষে দেখব, এই পরিবর্তন কীভাবে ফুটবলের ভবিষ্যতকে চিরতরে বদলে দেবে।
ফিফা অনেক বছর ধরেই বিশ্বকাপকে আরও ‘বিশ্বজনীন’ (Universal) করে তোলার পরিকল্পনা করছিল। ৩২ দলের ফরম্যাট ছিল নিখুঁত, কিন্তু নতুন দেশগুলোকে সুযোগ দিতে ফিফা সম্প্রসারণের পথ বেছে নেয়।
দলসংখ্যা বৃদ্ধির প্রধান কারণ ও কৌশলগত লক্ষ্য:
১. বিশ্ব ফুটবলের পরিসর বৃদ্ধি (Expansion of Global Football): এই ফরম্যাটের মাধ্যমে আফ্রিকা, এশিয়া এবং কনকাকাফ অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য আরও বেশি খেলার সুযোগ সৃষ্টি করা।
২. আর্থিক ও রাজস্বের দিক (Financial and Revenue Aspect): ম্যাচ সংখ্যা বাড়ায় টেলিভিশন সম্প্রচার স্বত্ব, টিকিট বিক্রি এবং স্পন্সরশিপ থেকে রাজস্ব (Revenue) উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে।
৩. বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির অন্তর্ভুক্তি: নতুন দেশগুলির অংশগ্রহণে ফুটবলে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য (Cultural Diversity) বৃদ্ধি পাবে এবং আন্তর্জাতিক ফুটবলের প্রচার আরও জোরালো হবে।
৪. রাজনীতি ও প্রভাব বিস্তার: ফিফা চায় ফুটবলের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে তাদের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক প্রভাব (Organizational Influence) আরও বাড়াতে।
২০২৬ বিশ্বকাপে বিশ্বের প্রায় এক-চতুর্থাংশ দেশই অংশ নিচ্ছে, যা এটিকে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ফুটবল ফেস্টিভাল করে তুলবে।
২০২৬ বিশ্বকাপের প্রধান এবং সবচেয়ে আমূল পরিবর্তন (Radical Change) হলো গ্রুপ স্টেজে দল বিন্যাসের নতুন পদ্ধতি।
| ফরম্যাটের বৈশিষ্ট্য | ৩২ দলের বিশ্বকাপ (ঐতিহ্যবাহী) | ৪৮ দলের বিশ্বকাপ (২০২৬ নতুন) |
| মোট দল | ৩২ | ৪৮ |
| মোট গ্রুপ | ৮টি (এ থেকে এইচ) | ১৬টি (গ্রুপ এ থেকে পি) |
| প্রতি গ্রুপে দল | ৪টি | ৩টি |
| মোট ম্যাচ সংখ্যা | ৬৪ | ৮২ |
| নকআউটে দল | ১৬টি (রাউন্ড অফ ১৬) | ৩২টি (রাউন্ড অফ ৩২) |
৩ দলের গ্রুপের কৌশলগত বিশ্লেষণ:
এই ফরম্যাটটি ফুটবল ইতিহাসে প্রথম, এবং এটিই সবচেয়ে বেশি বিতর্কিত (Controversial)। প্রতিটি দলের গ্রুপে মাত্র ২টি ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকায়—
চাপের মাত্রা বৃদ্ধি: প্রতিটি ম্যাচই 'ডু অর ডাই' পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে। ভুলের জন্য কোনো সংশোধনের সুযোগ থাকবে না।
'ড্র ফিক্সিং' ঝুঁকি (Risk of Collusion): গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে যদি দেখা যায় যে দুটি দলের একটি নির্দিষ্ট স্কোরলাইন উভয়কেই নকআউটে নিয়ে যেতে পারে, তখন 'অপ্রীতিকর বোঝাপড়ার' (Unpleasant Understanding) ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে। ফিফা এই ঝুঁকি কমাতে প্রতিটি ড্র হওয়া ম্যাচের জন্য পেনাল্টি শুটআউটের মাধ্যমে বোনাস পয়েন্টের ব্যবস্থা করার কথা ভাবছে, যদিও চূড়ান্ত নিয়ম এখনও নিশ্চিত নয়।
অনিশ্চয়তা: গ্রুপের তৃতীয় দলের ম্যাচ শেষ হওয়ার পর গ্রুপের প্রথম দুটি দলের ভাগ্য নির্ধারণে এক প্রকার অনিশ্চয়তা এবং অপেক্ষার চাপ কাজ করবে।
নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিটি গ্রুপ থেকে শীর্ষ ২টি দল নকআউটে (রাউন্ড অফ ৩২) উঠবে।
ফিফা ড্র অনুষ্ঠানের মূল ভিত্তি হলো দলগুলোকে চারটি পৃথক Pot (পট) বা পাত্রে ভাগ করা। ২০২৬ বিশ্বকাপের জন্য মোট ৪৮টি দলকে ৪টি পটে ভাগ করা হবে, যেখানে প্রতিটি পটে থাকবে ১২টি দল।
পট বিভাজনের ভিত্তি:
১. ফিফা র্যাঙ্কিং (FIFA Ranking): এটাই সিডিং-এর প্রধান ভিত্তি। ড্র-এর সময়কার সর্বশেষ ফিফা র্যাঙ্কিং অনুযায়ী দলগুলোকে বিন্যস্ত করা হবে।
২. মহাদেশীয় কোটা (Continental Quota): প্রতিটি মহাদেশ থেকে আসা দলগুলোর সংখ্যার উপর ভিত্তি করে পটে ভারসাম্য রাখা হবে।
৩. স্বয়ংক্রিয়ভাবে সিডিং (Automatic Seeding): তিনটি হোস্ট দেশ (যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, মেক্সিকো) স্বয়ংক্রিয়ভাবে পট ১-এ থাকবে এবং নিশ্চিতভাবেই ১৬টি গ্রুপের মধ্যে ভিন্ন তিনটি গ্রুপে তাদের স্থান নিশ্চিত হবে।
পট বিন্যাস (প্রত্যাশিত):
| পট | দলের সংখ্যা | দলের ভিত্তি | কৌশলগত গুরুত্ব |
| পট ১ (Pot 1) | ১২টি | সর্বোচ্চ র্যাঙ্কিংয়ের ৯ দল + ৩ হোস্ট দেশ | এরা গ্রুপ হেড হিসেবে থাকবে, সবচেয়ে শক্তিশালী দল। |
| পট ২ (Pot 2) | ১২টি | পরবর্তী ১২টি র্যাঙ্কিং ভিত্তিক দল | তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী কিন্তু টপ সিড নয়। |
| পট ৩ (Pot 3) | ১২টি | মধ্যম সারির র্যাঙ্কিং দল | আপসেট ঘটাতে সক্ষম দল। |
| পট ৪ (Pot 4) | ১২টি | সর্বনিম্ন র্যাঙ্কিং দল + প্লে-অফ বিজয়ীরা | ছোট দলগুলোর সুযোগ বৃদ্ধির প্রমাণ। |
ড্র তোলার সময় প্রতিটি গ্রুপে পট ১, পট ২ এবং পট ৩ বা ৪ থেকে একটি করে দল যাবে, যাতে গ্রুপগুলোতে শক্তির ভারসাম্য বজায় থাকে (Maintain Balance)।
ফিফার ড্র প্রক্রিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো মহাদেশীয় নিষেধাজ্ঞা, যা নিশ্চিত করে যে একটি গ্রুপে যেন একই মহাদেশের দল অতিরিক্ত না হয়ে যায়।
মহাদেশীয় নিষেধাজ্ঞার নিয়ম:
১. ইউরোপ (UEFA): ইউরোপ থেকে সর্বোচ্চ ১৬টি দল আসছে। যেহেতু ইউরোপের দল সবচেয়ে বেশি, তাই একাধিক গ্রুপে ইউরোপের সর্বোচ্চ ২টি দল থাকতে পারে। এটিই একমাত্র মহাদেশ যার একাধিক দল এক গ্রুপে থাকতে পারে।
২. অন্যান্য মহাদেশ: এশিয়া, আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকা (কনমেবল), উত্তর আমেরিকা (কনকাকাফ) এবং ওশেনিয়া থেকে আসা দলগুলির মধ্যে একই মহাদেশের দুটি দল কোনো গ্রুপে থাকতে পারবে না (Cannot be drawn in the same group)।
* উদাহরণস্বরূপ: ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা (কনমেবল) একই গ্রুপে যাবে না। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া (এএফসি) একই গ্রুপে যাবে না।
ড্র অনুষ্ঠানের ধাপ:
১. পট ১-এর বিন্যাস: প্রথমে পট ১ থেকে একে একে দল তোলা হবে এবং ১৬টি গ্রুপে (এ থেকে পি) তাদের স্থান নিশ্চিত করা হবে।
২. মহাদেশীয় নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ: এরপর পট ২, পট ৩ এবং পট ৪ থেকে দল তোলা হবে। প্রতিবার দল তোলার আগে কম্পিউটারাইজড সিস্টেম (Computerized System) নিশ্চিত করবে যে মহাদেশীয় নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘিত হচ্ছে না।
৩. গ্রুপের বিন্যাস সম্পূর্ণ করা: ড্র-এর মাধ্যমে প্রতিটি গ্রুপে পট ১, ২ এবং ৩/৪ থেকে একটি করে দল বিন্যস্ত করা হবে।
৪. ম্যাচ সূচি ঘোষণা: ড্র শেষ হওয়ার পরই ঘোষণা করা হবে কোন দিনে, কোন ভেন্যুতে এবং কোন ক্রমানুসারে গ্রুপের ম্যাচগুলি খেলা হবে।
৩২ দলের নকআউট রাউন্ড মানে ফুটবল ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়। নকআউটে যেতে এখন ১৬টি দলের পরিবর্তে ৩২টি দল কোয়ালিফাই করবে।
নতুন নকআউট কাঠামো (৩২ দল):
| স্তর | মোট দল | ম্যাচ সংখ্যা | কৌশলগত বিবেচনা |
| রাউন্ড অফ ৩২ | ৩২ | ১৬ | এটিই অতিরিক্ত স্তর। ছোট দলগুলোর জন্য বড় সুযোগ। |
| রাউন্ড অফ ১৬ | ১৬ | ৮ | এরপরের কাঠামো ঐতিহ্যবাহী। |
| কোয়ার্টার ফাইনাল | ৮ | ৪ | |
| সেমিফাইনাল | ৪ | ২ | |
| ফাইনাল | ২ | ১ |
ফাইনালে যেতে একটি দলকে এখন মোট ৮টি ম্যাচ খেলতে হবে, যা আগের বিশ্বকাপের (৭টি ম্যাচ) চেয়ে একটি বেশি।
বড় দলের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ:
৪৮ দলের বিশ্বকাপ মানে 'ধারে-ভারে' (On Reputation) জেতার সুযোগ কম।
স্ট্যামিনা এবং স্কোয়াড ডেপথ: অতিরিক্ত একটি নকআউট ম্যাচ এবং টুর্নামেন্টের বর্ধিত সময়কালের জন্য দলগুলোর শারীরিক সক্ষমতা (Stamina) এবং স্কোয়াডের গভীরতা (Squad Depth) চূড়ান্ত পরীক্ষা নেবে।
মানসিক চাপ: ৩ দলের গ্রুপে সামান্য ভুলের সুযোগ না থাকায় প্রতিটি ম্যাচেই উচ্চ মানসিক চাপ (High Mental Pressure) থাকবে।
অপরিচিত দলের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি: প্লে-অফ থেকে আসা বা নতুন কোয়ালিফাই করা দলগুলোর বিরুদ্ধে প্রস্তুতি নেওয়া কঠিন হবে, কারণ তাদের খেলার ধরণ সম্পর্কে তথ্য কম থাকে।
প্লেয়ার ম্যানেজমেন্ট: ইনজুরি এবং কার্ডের কারণে স্কোয়াড রোটেশন বাধ্যতামূলক হয়ে উঠবে।
ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬ ফুটবলের বিশ্বায়ন এবং খেলার গতিপথকে পরিবর্তন করে দেবে।
ছোট দলগুলোর স্বপ্ন পূরণ: আফ্রিকা, এশিয়া, ওশেনিয়া এবং উত্তর আমেরিকার দলগুলোর কোটা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি (Significant Quota Increase) পাওয়ায় নতুন দেশ বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা পাবে, যা স্থানীয় ফুটবলের অবকাঠামো এবং বিনিয়োগকে উৎসাহিত করবে।
নতুন প্রতিভা: আন্তর্জাতিক মঞ্চে নতুন এবং অপরিচিত প্রতিভা উঠে আসার সম্ভাবনা বাড়বে, যা বিশ্ব ফুটবলের বাজারকে আরও বৈচিত্র্যময় করে তুলবে।
ঐতিহ্য বনাম নতুনত্ব: এই ফরম্যাট ফুটবলের ঐতিহ্যবাহী ৪ দলের গ্রুপ স্টেজের ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানাবে। তবে যদি ৩ দলের গ্রুপ সফল হয়, তবে তা ফুটবলের কৌশলগত রূপ বদলে দেবে।
উপসংহার: ড্র প্রক্রিয়া—টুর্নামেন্টের নিয়তি নির্ধারণকারী ভিত্তি
ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬ শুধু দলসংখ্যা বাড়ায়নি, এটি খেলার কৌশল, ড্র প্রক্রিয়া এবং ফুটবলের ভবিষ্যতের ধারণাকে পাল্টে দিয়েছে। ৪৮ দলের এই বিশ্বকাপ আরও প্রতিযোগিতামূলক, কৌশলগত এবং অপ্রত্যাশিত হবে। ড্র প্রক্রিয়া হবে এই পুরো টুর্নামেন্টের ভিত্তি—যা নির্ধারণ করবে কোন গ্রুপ হবে "গ্রুপ অফ ডেথ" এবং কোন দল অপেক্ষাকৃত সহজ বা কঠিন পথে নকআউটে পৌঁছাবে।
ফুটবলপ্রেমীদের জন্য ২০২৬ বিশ্বকাপ হবে ইতিহাসের সবচেয়ে বড়, সবচেয়ে দীর্ঘ এবং সবচেয়ে বেশি বৈচিত্র্যময় আসর—যা ফুটবলের বিশ্বায়নের চূড়া (The Pinnacle of Football Globalisation) স্পর্শ করবে।