Lenspedia Bangla Logo
  • কলকাতা
  • 30℃ Purba Bardhaman

পূর্ব বর্ধমান জেলা বইমেলা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে সাতগেছিয়া বাজার হাই স্কুল মাঠে ৯ই ডিসেম্বর থেকে ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত এই মেলা চলবে।

পূর্ব বর্ধমান জেলার সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে আবারও ফিরে আসছে বছরের অন্যতম প্রতীক্ষিত আয়োজন পূর্ব বর্ধমান জেলা বইমেলা। এ বছর এই বইমেলা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে মেমারি ২ ব্লকের সাতগেছিয়া বাজার হাই স্কুল মাঠে, যেখানে ৯ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে টানা ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে আট দিনের এই বই–উৎসব। বইমেলাকে ঘিরে ইতিমধ্যেই জেলার পাঠক, সাহিত্যপ্রেমী, শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী, স্থানীয় সংগঠন ও সাধারণ মানুষের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।  

রাজনীতি

পূর্ব বর্ধমান জেলা বইমেলা শুরু ৯ ডিসেম্বর, আয়োজন সাতগেছিয়া বাজার হাই স্কুল মাঠে

পূর্ব বর্ধমান জেলা আবারও সাজছে বইয়ের উৎসবে। ৯ই ডিসেম্বর থেকে ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হতে চলেছে জেলার অন্যতম বৃহৎ সাংস্কৃতিক আয়োজন— পূর্ব বর্ধমান জেলা বইমেলা। এ বছর মেলার ভেন্যু ঠিক হয়েছে সাতগেছিয়া বাজার হাই স্কুল মাঠ, যেখানে প্রতিদিনই বইপ্রেমীদের জন্য থাকছে নানা কর্মসূচি, আলাপচারিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

এই বইমেলাকে ঘিরে জেলা জুড়ে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে উৎসবের আবহ। মেলায় অংশ নেবে বহু নামী প্রকাশনা সংস্থা, ছোট-বড় বইয়ের স্টল, স্থানীয় প্রকাশক ও লেখকেরাও। পাঠকের জন্য থাকছে—
• উপন্যাস
• গল্প
• প্রবন্ধ
• শিশু সাহিত্য
• পুরাণ
• বিজ্ঞান
• ইতিহাস
• কবিতা
• শিক্ষামূলক বই
সহ আরও নানা বৈচিত্র্যময় বিভাগ।

এ ছাড়াও প্রতিদিন সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কবিতা পাঠ, আলোচনাচক্র, স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনা এবং শিশু-কিশোরদের জন্য বিশেষ আয়োজন।

মেলা কমিটির অন্যতম সদস্য জানিয়েছেন,
“বইমেলা শুধু বই কেনাবেচার জায়গা নয়, এটি বর্ধমানের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বজায় রাখার এক বড় মঞ্চ। এই মেলা মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কেরও উৎসব।”

স্কুলের মাঠ জুড়ে তৈরি করা হচ্ছে অস্থায়ী প্যান্ডেল, স্টল ও বসার ব্যবস্থা। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে স্থানীয় প্রশাসন, এবং প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মেলার সমস্ত আয়োজন তদারকি করা হবে।

বইপ্রেমীদের জন্য এই মেলা নিঃসন্দেহে এক সপ্তাহব্যাপী সাংস্কৃতিক আনন্দযাত্রা।

পূর্ব বর্ধমান জেলা বইমেলা: সাতগেছিয়া বাজার হাই স্কুল মাঠে ৯ থেকে ১৬ ডিসেম্বর বইয়ের উৎসব

পূর্ব বর্ধমান জেলার সাংস্কৃতিক ক্যালেন্ডারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন— জেলা বইমেলা— এ বছর অনুষ্ঠিত হতে চলেছে মেমারি ২ ব্লকের সাতগেছিয়া বাজার হাই স্কুল মাঠে। আগামী ৯ই ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এই বইয়ের মহোৎসব। জেলা প্রশাসন, গ্রন্থাগার দপ্তর এবং স্থানীয় ক্লাবগুলোর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই মেলা ঘিরে ইতিমধ্যেই উত্তেজনা তৈরি হয়েছে গোটা অঞ্চলে।

বইমেলা মানেই শুধু বই কেনা-বেচা নয়, বরং পাঠকের সঙ্গে লেখকের সরাসরি সংযোগ, সাহিত্যচর্চার পরিবেশ, শিশু-কিশোরদের জন্য বিশেষ আয়োজন, সংস্কৃতিচর্চার মঞ্চ— সব মিলিয়ে পুরো সপ্তাহটাই ভরে ওঠে এক আলাদা আবহে। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। জেলা গ্রন্থাগার দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কলকাতা, বর্ধমান, দুর্গাপুরসহ বিভিন্ন জেলার নামী প্রকাশনা সংস্থা ও বইয়ের দোকানগুলো বইমেলায় অংশ নেবে। গল্প–উপন্যাস, কবিতা, জীবনী, ইতিহাস, শিশু সাহিত্য, শিক্ষামূলক বই— সব ধরনের বই পাওয়া যাবে এই মেলায়।

এছাড়া বইমেলা চলাকালীন প্রতিদিন সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কবিতা পাঠ, আবৃত্তি, আলাপচারিতা, কুইজ, সেমিনার ও ছোটদের আঁকাআঁকি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। স্থানীয় স্কুল–কলেজের ছাত্রছাত্রীদেরও বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হবে বলে আয়োজক কমিটি জানিয়েছে।

জেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেন—
“পাঠাভ্যাসকে আরও শক্তিশালী করতে এবং নতুন প্রজন্মকে বইয়ের প্রতি আগ্রহী করতে এই বইমেলার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

সাতগেছিয়া বাজার হাই স্কুল মাঠকে ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে মঞ্চ তৈরির কাজ, স্টল নির্মাণ, আলোর ব্যবস্থা এবং নিরাপত্তার প্রস্তুতি। প্রতিদিন মেলায় হাজারো ভিড় জমতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে; সে কারণে বিশেষ নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন থাকবে।

এলাকার লোকজন মনে করছেন, এই বইমেলা স্থানীয় অর্থনীতি, সংস্কৃতি এবং সামাজিক বন্ধনকেও আরও সুদৃঢ় করবে। পুরনো পাঠকেরা যেমন নতুন বইয়ের খোঁজে আসবেন, তেমনই নতুন প্রজন্মও বইয়ের সুবাসে মগ্ন হয়ে উঠবে।

news image
আরও খবর

সব মিলিয়ে, ৯ থেকে ১৬ ডিসেম্বর— এই আট দিন পূর্ব বর্ধমানে জমে উঠবে বইয়ের আসর, সংস্কৃতির মিলনমেলা এবং পাঠকের উৎসব।

পূর্ব বর্ধমান জেলার সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে আবারও ফিরে আসছে বছরের অন্যতম প্রতীক্ষিত আয়োজন— পূর্ব বর্ধমান জেলা বইমেলা। এ বছর এই বইমেলা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে মেমারি–২ ব্লকের সাতগেছিয়া বাজার হাই স্কুল মাঠে, যেখানে ৯ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে টানা ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে আট দিনের এই বই–উৎসব। বইমেলাকে ঘিরে ইতিমধ্যেই জেলার পাঠক, সাহিত্যপ্রেমী, শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী, স্থানীয় সংগঠন ও সাধারণ মানুষের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।

বইমেলা মানেই শুধু বই কেনা-বেচার জায়গা নয়; এটি একদিকে যেমন পাঠক ও লেখকের সরাসরি সংযোগের সুযোগ সৃষ্টি করে, তেমনি সাহিত্যচর্চা, সংস্কৃতিচর্চা এবং সৃজনশীলতার এক মিলনমঞ্চ হিসেবে কাজ করে। এ বছরও বিভিন্ন বিখ্যাত প্রকাশনা সংস্থা— কলকাতা, বর্ধমান, দুর্গাপুর, আসানসোল ও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের নামী বই প্রকাশকরা তাঁদের নতুন ও জনপ্রিয় বই নিয়ে অংশগ্রহণ করবেন বলে জানা গেছে। গল্প, উপন্যাস, কবিতা, গবেষণা–গ্রন্থ, জীবনী, বিজ্ঞান, ইতিহাস, শিশু সাহিত্য, শিক্ষামূলক বই, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার বই— সব ধরনের বই পাওয়া যাবে এই বইমেলায়।

এছাড়া প্রতিদিন সন্ধ্যায় থাকবে নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান— আবৃত্তি, কবিতা পাঠ, গান, নৃত্য, নাটক, আলাপচারিতা, সাহিত্য–আলোচনা ইত্যাদি। বুক–লঞ্চ, লেখক পাঠ, সাহিত্যিকদের সঙ্গে বিশেষ সেশন এবং স্থানীয় প্রতিভাদের পরিবেশনা এই বইমেলাকে আরও সমৃদ্ধ করবে। শিশুদের জন্য আলাদা বিভাগে আয়োজন করা হবে আঁকাআঁকি প্রতিযোগিতা, কুইজ, গল্প বলার প্রতিযোগিতা এবং বই–পড়া উৎসাহমূলক কার্যক্রম। এতে স্কুল–কলেজের ছাত্রছাত্রীরা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জেলা গ্রন্থাগার দপ্তর এবং মেমারি–২ ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে—
“পাঠাভ্যাস বৃদ্ধি এবং নতুন প্রজন্মকে বইয়ের প্রতি আকৃষ্ট করাই এই বইমেলার আসল উদ্দেশ্য।”
এছাড়া মেলার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হবে, এবং পুরো মাঠজুড়ে পর্যাপ্ত আলো, সিসিটিভি ক্যামেরা, মেডিকেল সাপোর্ট ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখা হবে।

বইমেলার গুরুত্ব শুধু সাংস্কৃতিক নয়— স্থানীয় অর্থনীতিতেও এর বড় ভূমিকা রয়েছে। মেলায় ভিড় বাড়লে আশেপাশের দোকান, খাবারের স্টল, খেলনা, হস্তশিল্প, পোশাক, স্থানীয় শিল্পীদের কাজ— সবকিছুর বিক্রি বাড়ে। তাই এলাকার ব্যবসায়ীরাও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন এই আয়োজনকে কেন্দ্র করে বাড়তি জনসমাগমের প্রত্যাশায়।

সাতগেছিয়া বাজার হাই স্কুল মাঠে ইতোমধ্যে স্টল তৈরির কাজ, মঞ্চ নির্মাণ, সাউন্ড সিস্টেম বসানো, সাজসজ্জা ও অন্যান্য আয়োজন পুরো দমে চলছে। স্থানীয় ক্লাব ও সংগঠনগুলোও স্বতঃস্ফূর্তভাবে যুক্ত হয়েছে এই প্রস্তুতিতে। সাধারণ মানুষ আশা করছেন— এ বছরের বইমেলা আগের সমস্ত বছরের রেকর্ড ভেঙে নতুন মাত্রা ছুঁবে।

সব মিলিয়ে, পূর্ব বর্ধমান জেলার বইমেলা শুধুমাত্র একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নয়— এটি জেলার পরিচয়, ঐতিহ্য এবং শিক্ষার আলোকে এগিয়ে নেওয়ার এক বৃহৎ উৎসব। ৯ ডিসেম্বর থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাতগেছিয়া বাজার হাই স্কুল মাঠ পরিণত হবে বইয়ের সুবাসে ভরপুর এক জমজমাট আয়োজনের কেন্দ্রে, যেখানে পাঠক–লেখক–প্রকাশক— সবাই মিলিত হবেন জ্ঞানের এক মহান যাত্রায়।

জেলা বইমেলা মানেই শুধু বই কেনা-বেচার ভিড় নয়। এটি মূলত পাঠক, লেখক, প্রকাশক ও সাহিত্যপ্রেমীদের এক অনন্য মিলনমেলা। বিভিন্ন নামী-দামি প্রকাশনী— কলকাতা, উত্তরবঙ্গ, বর্ধমান, দুর্গাপুর, আসানসোলসহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অংশ নেবে এই মেলায়। নতুন বই, বেস্টসেলার, গল্প, কবিতা, উপন্যাস, জীবনী, শিশু সাহিত্য, শিক্ষামূলক বই, বিজ্ঞান-ইতিহাস, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার গাইড— সব কিছুই পাওয়া যাবে একই স্থানে। ফলে বইপ্রেমীদের জন্য এই আয়োজন হয়ে উঠতে পারে বছরের সেরা গন্তব্য।

এছাড়া প্রতিদিন সন্ধ্যায় বইমেলা প্রাঙ্গণে আয়োজিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান— কবিতা পাঠ, আবৃত্তি, রবীন্দ্র সংগীত, লোকসঙ্গীত, নৃত্য, নাটক, আলোচনা সভা, সাহিত্য চর্চার কর্মশালা, বুক লঞ্চ ও লেখক পাঠের বিশেষ সেশন। স্থানীয় প্রতিভাদের জন্যও থাকবে মঞ্চ, যেখানে স্কুল–কলেজের ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের প্রতিভা তুলে ধরার সুযোগ পাবে। বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে শিশুদের আঁকাআঁকি প্রতিযোগিতা, গল্প বলা, কুইজ এবং পাঠাভ্যাস বৃদ্ধির নানা উদ্যোগ।

মেলা উপলক্ষে সাতগেছিয়া বাজার হাই স্কুল মাঠে চলছে দ্রুতগতিতে প্রস্তুতির কাজ— স্টল তৈরি, মঞ্চ নির্মাণ, সাউন্ড সিস্টেম বসানো, আলোর ব্যবস্থা, নিরাপত্তা বেষ্টনী, সিসিটিভি লাগানো এবং স্বাস্থ্যসেবার প্রস্তুতি। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, প্রতিদিন সম্ভাব্য ভিড় সামাল দিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এছাড়া অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ও প্রাথমিক চিকিৎসার জন্যও আলাদা দল প্রস্তুত থাকবে।

Preview image