অভিনেত্রী অনুশ্রী দাসকে শেষবার দর্শক দেখেছিলেন জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’-এ। সেই চরিত্রে তাঁর অভিনয় বিশেষভাবে নজর কাড়লেও এর পর হঠাৎই তিনি ছোট পর্দা থেকে উধাও হয়ে যান। কী ঘটেছিল সেই সময়? কেন আচমকাই ধারাবাহিক ছেড়ে বেরিয়ে আসতে হয়েছিল তাঁকে? দীর্ঘ নীরবতার পরে অবশেষে মুখ খুললেন অভিনেত্রী নিজেই। কাজের চাপ, ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত, নাকি অন্য কোনও অজানা কারণ—অনুশ্রী কী জানালেন? পর্দার আড়ালে জমে থাকা নানা প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে প্রকাশ্যে আনলেন সেই সময়কার বাস্তব অভিজ্ঞতা। তাঁর বক্তব্য ঘিরে আবারও শুরু হয়েছে নতুন জল্পনা—অনেক অজানা তথ্য উঠে এসেছে সামনে, যা দর্শকদের কৌতূহল আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
বাংলা টেলিভিশনের নিয়মিত দর্শকদের কাছে অনুশ্রী দাস পরিচিত মুখ। আবেগপ্রবণ চরিত্র, বাস্তবতার ছোঁয়া আর সহজ-সরল অভিনয়—সব মিলিয়ে অনুশ্রীকে দর্শকরা বিশেষভাবে মনে রেখেছেন। তাঁকে শেষবার দেখা গিয়েছিল জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’–এ। সিরিয়ালটির গল্প যতটা সরল, ততটাই জনপ্রিয়তা ছিল তার। আর সেই জনপ্রিয়তারই একটি অংশ ছিলেন অনুশ্রী। কিন্তু ধারাবাহিকটির চলার মাঝেই আচমকাই তাঁকে আর দেখা গেল না। পর্দা থেকে নিখোঁজ হয়ে গেলেন তিনি।
দর্শকদের মনে তখন থেকেই একটাই প্রশ্ন—
অনুশ্রী কোথায়? কেন তাঁকে দেখা যাচ্ছে না? তিনি কি ছোটপর্দা ছাড়লেন?
এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে অনেকেই তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া খুঁজে দেখেছেন, অনেকে নানা অনুমানও করেছেন। কেউ বলছেন হয়তো তিনি অন্য কাজ নিয়ে ব্যস্ত, কেউ বলছেন ব্যক্তিগত কোনো সিদ্ধান্ত। সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে মাঝে মাঝে তাঁর ছবি দেখা গেলেও কাজ সংক্রান্ত কোনও উল্লেখই ছিল না। ফলে রহস্য আরও গভীরই হয়েছিল।
বাংলা ধারাবাহিক জগতে গত কয়েক বছরে একটি নতুন প্রবণতা স্পষ্ট হচ্ছে—অনেক পরিচিত অভিনেত্রী ছোটপর্দা থেকে ধীরে ধীরে দূরে সরে যাচ্ছেন। নিয়মিত শুটিংয়ের ক্লান্তি, অতিরিক্ত চাপ, গল্পের একঘেয়েমি এবং সৃজনশীলতার অভাব—এসব কারণেই বহু জনপ্রিয় মুখ নিজেদের নতুন পথ খুঁজে নিচ্ছেন। অনেকে খোলাখুলি জানিয়ে দিচ্ছেন যে টানা ধারাবাহিকে অভিনয় করে আর তাঁদের কোনও ব্যক্তিগত বা পেশাগত উন্নতি হচ্ছে না।
সম্প্রতি অভিনেত্রী দেবযানী চট্টোপাধ্যায় প্রকাশ্যে জানান—“ধারাবাহিক থেকে আর নতুন কিছু পাওয়ার নেই।” তাঁর বক্তব্য শিল্পী মহলে নতুন আলোচনার জন্ম দেয়। দর্শকরা ভাবতে শুরু করেন, তবে কি অন্য অভিনেত্রীরাও এই পথে হাঁটতে শুরু করেছেন? কেউ কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন—ছোটপর্দার শুটিং সময়, চাপ এবং পুনরাবৃত্ত গল্পের কারণে ক্রমেই অভিনেত্রীরা দূরে সরে যাচ্ছেন।
এই সময়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে অভিনেত্রী অনুশ্রী দাস–এর বিষয়ে। একসময়ের জনপ্রিয় মুখ, যাকে শেষ দেখা গিয়েছিল ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ ধারাবাহিকে। ধারাবাহিকটির জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও, অনেক মাস ধরে তাঁকে আর কোনও নতুন প্রকল্পে দেখা যায়নি। দর্শকের মনে সন্দেহ—তবে কি তিনিও ছোটপর্দা ছেড়ে দিলেন?
গুজব থামাতে অবশেষে মুখ খুললেন অনুশ্রী। তিনি জানালেন, “এমনটা একেবারেই নয়।” তাঁর বক্তব্য স্পষ্ট—তিনি ইন্ডাস্ট্রি ছাড়ছেন না, কিংবা ছোটপর্দা থেকে দূরে সরে যাওয়ার কোনও পরিকল্পনাও করেননি।
বরং তাঁর সঙ্গে এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল যা সম্পূর্ণই তাঁর নিয়ন্ত্রণের বাইরে। তিনি জানান, ধারাবাহিকে প্রথমদিকে তাঁকে কোনও শুটিং ডেট দেওয়া হচ্ছিল না—গল্পের প্রয়োজনেই তাঁর চরিত্রের স্ক্রিনটাইম কমে যায়। অনুশ্রী ভেবেছিলেন, কিছুদিন পর আবার গল্পে নতুন মোড় আসবে এবং তিনি ফিরবেন।
কিন্তু দেড় মাস পরে রাতের বেলা হঠাৎ একটি গুরুত্বপূর্ণ ফোন আসে। দুর্ভাগ্যবশত, সেই মুহূর্তে ফোনটি তিনি ধরতে পারেননি। পরের দিন ফোন ফিরিয়ে জানতে পারেন—তাঁর বদলে অন্য শিল্পীকে নেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনাটি ছিল সম্পূর্ণই আকস্মিক। অভিনেত্রী কোনও কারণে কাজ ছেড়ে দেননি, কিংবা ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন না। বরং, সময়মতো ফোন ধরতে না পারায় চরিত্রটি হাতছাড়া হয়।
অনুশ্রী জানান—তিনি একেবারেই হতাশ নন। বরং এটিকে তিনি জীবনের স্বাভাবিক অংশ হিসেবে দেখছেন। তাঁর কথায়, “এই ইন্ডাস্ট্রিতে এমনটা হয়ই। ক্ষোভ রাখলে নিজেরই ক্ষতি।”
এ কারণেই তিনি কিছুদিন নিজের মতো সময় কাটাতে চান। তবে দর্শকদের জন্য সুখবর—তিনি শিগগিরই পর্দায় ফিরবেন।
অভিনেত্রী অনুশ্রীর কথায়, ধারাবাহিকটিতে প্রথমদিকে তিনি নিয়মিত ছিলেন।
সব ঠিকঠাকই চলছিল।
কিন্তু হঠাৎ কয়েক সপ্তাহ ধরে তাঁকে কোনও শুটিং ডেট দেওয়া হচ্ছিল না।
তিনি বলেন—
“প্রথম দিকে প্রায় এক মাস আমাকে কোনও ডেট দেওয়া হয়নি। চিত্রনাট্য অনুযায়ী হয়তো তখন আমার চরিত্রের প্রয়োজন ছিল না। এমনটা ধারাবাহিকে মাঝেমাঝে হয়ই। তাই আমি এটাকে খুব একটা গুরুত্ব দিইনি।”
ধারাবাহিকের গল্প অনুযায়ী এমন বিরতি অভিনেতা-অভিনেত্রীদের জীবনে প্রায়ই আসে।
হয়তো গল্প অন্যদিকে ঘোরে, হয়তো কোনও চরিত্রের কিছুদিনের জন্য স্ক্রিনটাইম কমে।
অনুশ্রীরও মনে হয়েছিল, শিগগিরই তিনি আবার গল্পে ফিরবেন।
কিন্তু বাস্তবে ঘটেছিল একটু অন্যরকম ঘটনা।
দেড় মাস পর এক রাতে ধারাবাহিকের তরফ থেকে ফোন আসে।
কিন্তু সেই মুহূর্তে অনুশ্রী ফোনের কাছে ছিলেন না।
হয়তো তিনি ঘুমোচ্ছিলেন, অথবা কোনও কাজে ব্যস্ত ছিলেন—ঠিক সেই সময় গুরুত্বপূর্ণ ফোনটি রিসিভ করতে পারেননি।
পরের দিন সকালবেলা ফোন ফেরত করলে চমকে ওঠেন তিনি।
জানানো হয়—
তাঁর পরিবর্তে অন্য এক শিল্পীকে নেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনা শুনে যেকোনও অভিনেতাই হতাশ হতে পারতেন, কিন্তু অনুশ্রী ব্যতিক্রম।
পরিপক্বতার সুরে বললেন—
“ক্ষোভ নেই। গল্পের প্রয়োজনেই হয়তো দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। এই ইন্ডাস্ট্রিতে এমনটা হয়ই।”
অথচ অনেকেই ভেবেছিলেন—
অনুশ্রী হয়তো অভিমান করে কাজ ছেড়ে দিয়েছেন।
কিন্তু বাস্তবে তিনি কোনও সিদ্ধান্ত নেননি—পরিস্থিতিই তাঁকে সরে যেতে বাধ্য করেছে।
অনেকেই ভাবছেন—
যদি ওই ধারাবাহিকের ঘটনা আকস্মিক হয়ও, তবে পরে কেন অন্য কোনও প্রজেক্টে দেখা যায়নি তাঁকে?
সে প্রশ্নেরও উত্তর দিয়েছেন অভিনেত্রী।
অনুশ্রী জানিয়েছেন—
শুটিংয়ের ব্যস্ততা থেকে বেরিয়ে তিনি কিছুদিন নিজের মতো সময় কাটাতে চেয়েছিলেন।
অনেকদিন ধরে তিনি ধারাবাহিকে ব্যস্ত ছিলেন—বিদ্যমান একঘেয়েমি থেকে বেরিয়ে কিছুটা নিজের জীবনকে উপভোগ করতে চেয়েছেন।
এছাড়া তিনি প্রকৃতি-প্রেমী।
বর্তমানে তাঁর সময় কাটছে গাছ-গাছালির পরিচর্যায়।
বাগান করা, গাছ লাগানো এবং তাদের যত্ন নেওয়া তাঁর অন্যতম প্রিয় কাজ হয়ে উঠেছে।
অনেকটা সময় তিনি নিজের এই নতুন শখকে দিচ্ছেন।
সেই সঙ্গে রয়েছে ভ্রমণপ্রীতি।
ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার।
এটি তাঁকে নতুন করে শক্তি, মানসিক শান্তি ও স্বাধীনতার অনুভূতি দিচ্ছে।
শুধু ধারাবাহিক নয়—আজকের দিনে অভিনেতাদের অন্যতম বড় প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে OTT বা ওয়েব সিরিজ।
অনুশ্রীও এই দুনিয়ায় প্রবেশের সুযোগ পেয়েছিলেন।
তাঁর কথায়—
“সম্প্রতি একটি ওয়েব সিরিজের জন্য আলোচনা হয়েছিল। কয়েকবার মিটিংও হয়েছে। কিন্তু এখনও কিছু ফাইনাল হয়নি।”
অর্থাৎ, তিনি হাত গুটিয়ে বসে নেই।
বরং নতুন সুযোগ খুঁজছেন, তবে তাড়াহুড়ো করে নয়।
তিনি চাইছেন—
একটি ভালো, মানসম্মত, শক্তিশালী চরিত্রে কাজ করতে।
যখন অনুশ্রী দাসকে সরাসরি প্রশ্ন করা হয়—তিনি কি ছোটপর্দা ছেড়ে দিলেন?—তখন কোনও ঘুরিয়ে না বলে স্পষ্ট জবাব দেন অভিনেত্রী। তিনি জানান, “ছোটপর্দা ছাড়িনি। কিন্তু এখনই কোনও প্রজেক্টে যুক্ত হচ্ছি না। সম্ভবত ২০২৬ সাল থেকেই নতুন কিছু শুরু করব।” তাঁর এই বক্তব্য অনেক জল্পনা-কল্পনার ইতি টেনে দেয়।
টেলিভিশন দুনিয়া কখনও কখনও ভীষণ ব্যস্ত, চাপপূর্ণ এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতির জায়গা। যে কোনও অভিনেতা বা অভিনেত্রীর জন্য সেখানে টানা কাজ করা মানসিক ও শারীরিকভাবে বেশ কঠিন হয়ে ওঠে। তাই সাম্প্রতিক সময়ে বহু জনপ্রিয় মুখকেই কিছুদিনের বিরতি নিতে দেখা যাচ্ছে। অনুশ্রীর ক্ষেত্রেও ঠিক তেমনটাই ঘটেছে। তিনি অভিনয় সরাসরি না ছাড়লেও, আপাতত তিনি নিজের জন্য কিছুটা সময় রাখতে চেয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন, ছোটপর্দার প্রতি তাঁর টান আজও আগের মতোই রয়েছে। অভিনয় তাঁর পরিচয়, তাঁর ভালোলাগা, তাঁর নিজের অস্তিত্বের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই অভিনয় পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত তাঁর নয়। তবে জীবনের একটি পর্যায়ে এসে তিনি নিজের মানসিক শান্তি, ব্যক্তিগত জীবন এবং নিজস্ব পছন্দের বিষয়গুলোর দিকে একটু বেশি মনোযোগ দিতে চাইছেন। দীর্ঘ টানা শুটিং, প্রতিদিনের একই রুটিন, এবং গল্পে মাঝে মাঝে নিজের সৃজনশীলতা প্রকাশ করতে না পারার কারণে অনেক সময়ই অভিনেত্রীরা ক্লান্ত হয়ে পড়েন। অনুশ্রীও স্বীকার করেছেন—একটু বিরতি তাঁর খুবই প্রয়োজন ছিল।
তিনি বলেন, এখন তিনি নিজেকে নতুন করে তৈরি করছেন—মানসিকভাবে, আবেগের দিক থেকে এবং সৃজনশীলতার দিক থেকেও। তিনি নিজেকে সময় দিচ্ছেন, নিজের প্রতি যত্ন নিচ্ছেন, নিজের মনের কথাও শুনছেন। এটি কোনও হঠাৎ বা রাগের সিদ্ধান্ত নয়, বরং খুবই পরিপক্ব এবং প্রয়োজনীয় একটি সিদ্ধান্ত।
এখন তাঁর দিন কাটছে নিজের পছন্দের কাজগুলো করেই। তিনি গাছপালা ভালোবাসেন—বাগান করা, গাছের পরিচর্যা করা, নতুন গাছ সংগ্রহ করা তাঁর অন্যতম শখ। ব্যস্ত শুটিংয়ের সময়ে যেটা তিনি কখনও করতে পারতেন না, সেই তৃপ্তিটাই এখন পাচ্ছেন। আবার ভ্রমণ করার পরিকল্পনাও করছেন—নতুন জায়গা দেখা, নিজের মতো কয়েকটা দিন কাটানো, সবকিছুই তাঁকে নতুন করে শক্তি দিচ্ছে।
অনুশ্রী জানিয়েছেন, কিছুদিন আগে একটি ওয়েব সিরিজের জন্য আলোচনা হয়েছিল। গল্প ও চরিত্র নিয়ে কয়েকবার মিটিংও হয়েছে। তবে এখনও চূড়ান্ত কিছু স্থির হয়নি। তাই আপাতত তিনি কোনও নতুন প্রজেক্টে সই করছেন না। তাঁর ইচ্ছে—যখন আবার ফিরবেন, তখন যেন দর্শকদের সামনে নতুনরূপে, আরও ভালো কিছু নিয়ে আসতে পারেন।
২০২৬ সালকে তিনি নিজের পুনরাগমনের সময় হিসেবে দেখছেন। এটি তাঁর জন্য নতুন শুরুর বছর হতে পারে। তিনি বিশ্বাস করেন—সঠিক প্রজেক্ট, সঠিক চরিত্র, এবং সঠিক সময় এলেই তিনি আবারও পর্দায় নিজের জায়গা তৈরি করতে পারবেন।
সব মিলিয়ে একটাই কথা—অনুশ্রী দাস অভিনয় ছাড়ছেন না, তিনি শুধু একটি প্রয়োজনীয় বিরতি নিচ্ছেন। তাঁর প্রত্যাবর্তন হবে আরও শক্তিশালী, আরও আত্মবিশ্বাসী এবং আরও পরিপক্বভাবে—এটাই তাঁর নিজের বিশ্বাস, এবং ভক্তদের প্রত্যাশাও।
অনুশ্রীর ঘটনা আলাদা নয়।
অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীই আজকাল ধারাবাহিক থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন কয়েকটি কারণে—
অতিরিক্ত শুটিং সময়
কম পারিশ্রমিক
মানসিক চাপ
গল্পের পুনরাবৃত্তি
সৃজনশীলতার অভাব
বিশ্রামের অভাব
স্বীকৃতির অভাব
অনেকে OTT–মুখী হচ্ছেন, কেউ আবার ব্যক্তিগত জীবনকে সময় দিতে চাইছেন।
এ কারণে অনুশ্রীর সিদ্ধান্তও একেবারে অস্বাভাবিক নয়।
অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে—
তিনি নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে সিরিয়াস।
নতুন কিছু করার আশা রাখেন।
চরিত্র পছন্দ হলে তিনি আবার ফিরবেন।
OTT, ছবি, বা ধারাবাহিক—
যে কোনও মাধ্যমেই অনুশ্রী নিজেকে নতুনভাবে তুলে ধরতে চান।
২০২৬ সালে তাঁর কামব্যাক নিয়ে ইতিমধ্যেই ইন্ডাস্ট্রির বিভিন্ন মহলে জোর আলোচনা চলছে।