Lenspedia Bangla Logo
  • কলকাতা
  • 30℃ Purba Bardhaman

গণপরিবহণে সম্ভাব্য বিপর্যয় বৈদ্যুতিন বাসের কিল সুইচ নিয়ে ইউরোপে চাঞ্চল্য তদন্তে একাধিক দেশ

এফ ৩৫ লাইটনিং টুর পর এবার ইউটঙের বৈদ্যুতিন বাস নিয়ে ইউরোপে আতঙ্ক ছড়িয়েছে গণপরিবহণে কিল সুইচ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে ব্রিটেন নরওয়ে ডেনমার্ক সহ একাধিক দেশ তদন্ত শুরু করেছে

পঞ্চম প্রজন্মের স্টেলথ শ্রেণির মার্কিন লড়াকু জেট এফ ৩৫ লাইটনিং টুর পরে এবার ইউরোপের উদ্বেগের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে চিনা সংস্থা ইউটঙের তৈরি বৈদ্যুতিন বাস। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে যে তথ্য উঠে এসেছে তা নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি নীতি নির্ধারকেরাও তীব্র দুশ্চিন্তায় ভুগছেন। ইউরোপের বহু শহরে গণপরিবহণে বৈদ্যুতিন বাসের ব্যবহার ক্রমশ বাড়ছে। পরিবেশ দূষণ কমানো শক্তি সাশ্রয় এবং আধুনিক পরিবহণ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বৈদ্যুতিন বাসকে পরবর্তী যুগের প্রধান বাহন বলে ধরা হচ্ছে। কিন্তু এই ইতিবাচক ছবির মাঝেই উঠে এসেছে নতুন আশঙ্কা। অভিযোগ উঠেছে যে এই সব বৈদ্যুতিন বাসে নাকি লুকিয়ে থাকতে পারে একটি অদৃশ্য নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। বহু প্রতিবেদনের ভাষায় সেই রহস্যময় উপাদানকে বলা হচ্ছে কিল সুইচ। এই কিল সুইচ কি আদৌ রয়েছে তা কি সত্যিই সক্রিয় করা যেতে পারে এবং যদি তা থাকে তবে এর দ্বারা ইউরোপের পরিবহণ ব্যবস্থা কি মুহূর্তেই থমকে যেতে পারে এসব প্রশ্ন এখন আলোচনার কেন্দ্রে।

ইউরোপে ব্যবহৃত বৈদ্যুতিন বাসের একটি বড় অংশই চিনে তৈরি। ইউটঙ বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বৈদ্যুতিন বাস নির্মাতা সংস্থা। বহু দেশ তাদের ওপর ভরসা করে গণপরিবহণ আধুনিকীকরণ করছে। কিন্তু আশঙ্কার বিষয় হল কিছু বিশেষজ্ঞের দাবি যে এই বাসে এমন কিছু ইলেকট্রনিক সার্কিট থাকতে পারে যা দূর থেকে নিয়ন্ত্রিত করা সম্ভব। যদি সত্যিই এই ধরনের কোনও লুকানো ব্যবস্থা থাকে তবে তা নিরাপত্তার দিক দিয়ে ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। কারণ একটি দেশ যদি অন্য একটি দেশের পরিবহণ নেটওয়ার্ককে হাতে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা পায় তবে তা পুরো সমাজ অর্থনীতি এবং মানুষের জীবনযাত্রাকে বিপর্যস্ত করে দিতে পারে।

ডেনমার্ক নেদারল্যান্ডস নরওয়ে এবং ব্রিটেন সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। তাদের দাবি বিদেশি উৎপাদিত উন্নত বৈদ্যুতিন যানবাহনে এই ধরনের ঝুঁকি থাকা অস্বাভাবিক নয়। তাই প্রতিটি দেশের নিরাপত্তা বিভাগ এখন বাসগুলির সফটওয়্যার হার্ডওয়্যার এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর খুঁটিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা সার্কিট ডিজাইন থেকে শুরু করে নিয়ন্ত্রণ মডিউলের তথ্য আদানপ্রদানের ধরণ পর্যন্ত সবকিছুই বিশ্লেষণ করছেন যাতে নিশ্চিত হওয়া যায় যে কোনও গোপন নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থা নেই। শুধু তাতেই শেষ নয় পরিবহণ ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন প্রযুক্তিগত মানচিত্রও পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে যাতে ভবিষ্যতে কোনও সম্ভাব্য সাইবার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

পশ্চিমি সংবাদ মাধ্যমের একাংশ দাবি করছে যে এই নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা যদি সত্যিই সক্রিয় করা হয় তবে ইউরোপের পরিবহণ ব্যবস্থা তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়তে পারে। কারণ প্রতিটি বড় শহরে শত শত বৈদ্যুতিন বাস প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ যাত্রী বহন করে। যদি এক মুহূর্তে সেগুলি বন্ধ হয়ে যায় বা থেমে যায় তবে শহরের সড়কব্যবস্থায় তীব্র বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে। জরুরি পরিষেবা থেকে শুরু করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমনকি হাসপাতালের কার্যকলাপও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হতে পারে। একটি পুরো মহাদেশের পরিবহণ ব্যবস্থা একসঙ্গে অচল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা শুধুই ভয়ের নয় বরং এমন প্রভাব তৈরি করতে পারে যা অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও বিপর্যয় ডেকে আনবে।

তবে চিনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনও কোনও সরকারি প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। বেজিং সাধারণত এ ধরনের অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেয়। তাদের বক্তব্য বৈদ্যুতিন বাস রপ্তানি একটি ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত এবং এর সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক বা কৌশলগত উদ্দেশ্য যুক্ত নেই। কিন্তু ইউরোপের বর্তমান ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং চিনের সঙ্গে পশ্চিমাদের সম্পর্কের টানাপোড়েন পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলেছে। তাই ইউরোপের দেশগুলো এই দাবি সরাসরি অস্বীকার করার পথ না বেছে তদন্তের পথেই এগোচ্ছে।

ইউরোপের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন যে যে কোনও উচ্চ প্রযুক্তিসম্পন্ন যানে নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকতে পারে। বৈদ্যুতিন যানবাহন চলাচলের জন্য সফটওয়্যার এবং রিমোট ডেটা সংযোগের ওপর নির্ভরশীল। ফলে সাইবার আক্রমণ বা বহিরাগত নিয়ন্ত্রণের সুযোগও বাড়ে। তাই উৎস দেশ যাই হোক না কেন বৈদ্যুতিন যানবাহনের নিরাপত্তা নিয়ে যথেষ্ট সতর্ক থাকা প্রয়োজন। অন্যদিকে আরেক দল বলছেন যে এই তদন্ত কেবল প্রযুক্তিগত নয় বরং রাজনৈতিকও। বৈশ্বিক বাজারে চিনের দ্রুত অগ্রগতি নিয়ে পশ্চিমারা উদ্বিগ্ন এবং তাই অল্প সন্দেহেও বড় তদন্ত শুরু করা হচ্ছে।

ইউরোপের বিভিন্ন শহরে যেসব বাস ইতিমধ্যেই চলছে সেগুলির প্রতিটি অংশ বিচ্ছিন্ন করে পুনরায় পরীক্ষা করা হচ্ছে। ব্যাটারি ব্যবস্থার ভিতর কোনও অস্বাভাবিক যোগাযোগ সংকেত আছে কি না সেন্সরগুলো কোনও অজানা উৎসে তথ্য পাঠায় কি না এবং গোপন সার্কিট লুকানো আছে কি না সবই পরীক্ষা করা হচ্ছে। কিছু দেশে কিছু বাস সাময়িকভাবে রাস্তায় নামানোও বন্ধ রাখা হয়েছে। বাস অপারেটর সংস্থাগুলোও উদ্বিগ্ন কারণ যাত্রী সুরক্ষা যেকোনও পরিস্থিতিতে সর্বাগ্রে।

আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে প্রযুক্তি আজ এক নতুন যুদ্ধক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। প্রতিটি দেশ এখন বুঝে গেছে যে আধুনিক দুনিয়ায় শক্তির মাপকাঠি শুধু সামরিক সামর্থ্য বা অর্থনৈতিক পরিমাণ নয়। তার চেয়েও বড় বিষয় হল প্রযুক্তিগত প্রভাব এবং ডিজিটাল আধিপত্য। বৈদ্যুতিক যানবাহন সফটওয়্যার টেলিযোগাযোগ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং সাইবার নিরাপত্তা আজ বৈশ্বিক ক্ষমতার সংজ্ঞাকে নতুন করে লিখছে। যে দেশ এই ক্ষেত্রগুলোতে এগিয়ে থাকতে পারবে সেই দেশ আগামী যুগের নেতৃত্ব দাবি করতে পারবে। ফলে প্রযুক্তিকে কেন্দ্র করে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা এখন আর নিছক উন্নয়ন নয় বরং বৃহৎ কৌশলগত হিসেব নিকেশ।

বৈদ্যুতিন যানবাহন এখন আধুনিক পরিবহণের ভবিষ্যৎ বলে মনে করা হচ্ছে। পৃথিবীর দূষণের মাত্রা প্রতিদিন বাড়ছে এবং জ্বালানির দামও অনিশ্চিত হয়ে উঠছে। তাই প্রতিটি দেশই বিকল্প শক্তির ওপর নির্ভরশীল নতুন ধরনের যানবাহন চালু করতে চাইছে। এই আগ্রহকে কাজে লাগিয়ে চিন দ্রুত বিশ্ববাজারে বড় অংশ দখল করে ফেলেছে। তাদের বিপুল উৎপাদন ক্ষমতা কম খরচে পণ্য তৈরি করার দক্ষতা এবং বিশ্বব্যাপী রপ্তানি নীতি তাদের ইভি খাতে শীর্ষে নিয়ে গেছে। চিন এখন বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ইলেকট্রিক বাস এবং গাড়ি রপ্তানিকারক। ইউরোপ আফ্রিকা এশিয়া দক্ষিণ আমেরিকা সহ বহু দেশে চিনা ইভির উপস্থিতি রয়েছে। আর এই উপস্থিতি শুধু বাণিজ্য নয় বরং কৌশলগত প্রভাবও তৈরি করে।

news image
আরও খবর

অন্যদিকে পশ্চিমা দেশগুলো বিশেষত ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রযুক্তিগত নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। তারা মনে করে যে কোনও বিদেশি সংস্থা যদি অত্যাধুনিক পরিবহণ সফটওয়্যার নিয়ন্ত্রণ করে তবে সেখানে গুপ্ত নজরদারি বা দূর থেকে নিয়ন্ত্রণের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সাইবার আক্রমণ তথ্য চুরি এবং অবকাঠামো নাশকতার ঘটনা এতটাই বেড়েছে যে প্রতিটি দেশই এখন প্রযুক্তিকে জাতীয় নিরাপত্তার অংশ হিসেবে দেখে। ফলে তারা আশঙ্কা করে যে যদি আধুনিক বৈদ্যুতিন বাস বা গাড়ির মধ্যে কোনও গোপন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা থাকে তবে তা একদিন বৃহৎ সংকটের কারণ হতে পারে। ইউরোপের বৃহৎ নগরীগুলোর গাড়ি বাস চার্জিং নেটওয়ার্ক এবং ডেটা প্ল্যাটফর্ম ইতিমধ্যেই ডিজিটাল অবকাঠামোর একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। তাই এই ব্যবস্থায় সামান্য অনিয়মও বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।

চিনের দ্রুত অগ্রগতি পশ্চিমাদের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। আগে প্রযুক্তির দুনিয়ায় পশ্চিমারা একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণের অধিকারী ছিল। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। চিন কেবল সস্তা উৎপাদনই করছে না বরং গবেষণা উদ্ভাবন এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রেও অগ্রগামী হয়ে উঠছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা উচ্চগতির যোগাযোগ ব্যবস্থা কোয়ান্টাম প্রযুক্তি এবং রোবটিক ব্যবস্থায় তারা শক্ত অবস্থান তৈরি করছে। ফলে শক্তির ভারসাম্য বদলে যাচ্ছে এবং পশ্চিমা বিশ্ব নিজেদের শক্তি ধরে রাখতে সংগ্রাম করছে। এই প্রতিযোগিতা শুধু বাজার দখল নয় বরং তথ্য নিয়ন্ত্রণ প্রভাব বিস্তার এবং ভবিষ্যতের ভূরাজনৈতিক ক্ষমতা নির্ধারণের লড়াই।

বৈদ্যুতিন যানবাহনকে কেন্দ্র করে ওঠা সাম্প্রতিক বিতর্ক তাই কেবল প্রযুক্তিগত ঝুঁকি নয় বরং বৃহত্তর কৌশলগত সংঘাতের প্রতীক। ইউরোপে বহু শহর পরিবহণ ব্যবস্থায় চিনা ইভির ওপর নির্ভরশীল। এই নির্ভরশীলতা যদি ভবিষ্যতে রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করে তবে তা তাদের স্বাধীনতার জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে। উন্নত বিশ্ব তাই এখন বুঝতে পারছে যে আধুনিক প্রযুক্তি আমদানি মানেই শুধু উন্নয়ন নয় বরং একটি বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অংশ। এ কারণেই পশ্চিমারা এখন স্থানীয় ইভি উৎপাদন এবং নিজস্ব সফটওয়্যার ব্যবস্থার ওপর বেশি জোর দিচ্ছে যাতে তারা বাইরের দেশের ওপর নির্ভরশীল না হয়।

এদিকে প্রযুক্তি বাণিজ্য এবং রাজনীতির মধ্যে তৈরি হওয়া এই উত্তেজনা বিশ্ব অর্থনীতিকেও প্রভাবিত করছে। কারণ আধুনিক পরিবহণ প্রযুক্তির বাজার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আগামী কয়েক দশকে এই খাতে ট্রিলিয়ন ডলারের ব্যবসা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যে দেশ এই বাজারে প্রভাব বিস্তার করবে সেই দেশ অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি বৈশ্বিক কৌশলগত প্রভাবও অর্জন করবে। তাই প্রযুক্তিখাতে প্রতিযোগিতা শুধু বাণিজ্য নয় বরং ভবিষ্যতের ভূরাজনৈতিক ক্ষমতার মালিকানা নির্ধারণের সুযোগ।

এই পরিস্থিতিতে বৈদ্যুতিন বাসে সম্ভাব্য কিল সুইচ বা গোপন নিয়ন্ত্রণ থাকা সংক্রান্ত আলোচনাকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া বিতর্ক স্বাভাবিকভাবে বড় আকার নিয়েছে। বিষয়টি এখন শুধুই একটি প্রযুক্তিগত সমস্যা নয় বরং বৈশ্বিক রাজনীতির একটি অংশ। ইউরোপের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করছেন যে কোনও ঝুঁকি থাকলে তা অবহেলা করা যাবে না কারণ একটি মাত্র সাইবার নিয়ন্ত্রণেই একটি শহরের পরিবহণ ব্যবস্থা কয়েক সেকেন্ডে থেমে যেতে পারে। অন্যদিকে চিন মনে করছে যে পশ্চিমারা ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের ব্যবসায়িক অগ্রগতি ব্যাহত করতে এমন অভিযোগ তুলছে। ফলে অবস্থান দুটির মাঝে তীব্র দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে।

এই ঘটনাগুলো দেখিয়ে দিয়েছে যে আধুনিক দুনিয়ায় প্রযুক্তির শক্তি কতটা গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যতে কোন দেশ কতটা প্রযুক্তিগতভাবে শক্তিশালী হবে তার ওপর নির্ভর করেই নির্ধারিত হবে তাদের আন্তর্জাতিক অবস্থান। তাই বলা যেতে পারে যে প্রযুক্তিই এখন আগামীর ভূরাজনৈতিক লড়াইয়ের সবচেয়ে বড় অস্ত্র। বৈদ্যুতিন যানবাহন সফটওয়্যার যোগাযোগ প্রযুক্তি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সব মিলিয়ে বিশ্ব এখন এক নতুন শক্তির সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে আছে এবং এর প্রভাব বহুদূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়বে।

ইউরোপের জনগণও উদ্বিগ্ন যে তারা প্রতিদিন যে বাসে চড়ে চলাচল করছেন তা কি সত্যিই নিরাপদ। গণপরিবহণের ওপর মানুষের আত্মবিশ্বাস দেশের সামাজিক স্থিতিশীলতার অন্যতম স্তম্ভ। তাই ইউরোপের সরকারগুলো কোনওভাবেই ঝুঁকি নিতে চায় না। তারা নিশ্চিত হতে চায় যে গণপরিবহণ ব্যবস্থায় কোনও অদৃশ্য নিয়মবহির্ভূত নিয়ন্ত্রণ নেই।

পরিশেষে ঘটনাটি থেকে স্পষ্ট যে প্রযুক্তি যতো অগ্রসর হচ্ছে নিরাপত্তা ততো বেশি জটিল হয়ে উঠছে। বৈদ্যুতিন বাস ইউরোপকে আধুনিক পরিবহণ ব্যবস্থার দিকে এগিয়ে নিলেও একই সঙ্গে তৈরি করেছে আশঙ্কা। তাই ভবিষ্যতে বৈদ্যুতিন যানবাহন কেনাবেচা এবং আমদানি নীতিতে আরও কঠোর নিয়ম আসতে পারে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক প্রযুক্তি বাজার এবং সাইবার নিরাপত্তার নতুন মাত্রা হিসাবে এই তদন্ত বহু দূর পর্যন্ত প্রভাব ফেলতে পারে।

Preview image