ঢাকা / নয়াদিল্লি, ২৭ অক্টোবর ২০২৫: নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনুসকে ঘিরে শুরু হয়েছে এক আন্তর্জাতিক বিতর্ক। পাকিস্তানের সেনাপ্রধান সাইর শামশাদ মির্জাকে সৌজন্য সাক্ষাতে উপহার দেওয়া একটি বইয়ের প্রচ্ছদে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল—বিশেষ করে আসাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা ও মণিপুরকে বাংলাদেশের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে! এই বিকৃত মানচিত্রের ছবি ছড়িয়ে পড়তেই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শুরু হয়েছে নিন্দার ঝড়। ভারতের রাজনৈতিক মহল ও কূটনৈতিক মহল দু’দিকেই ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
শনিবার ঢাকায় পাকিস্তানের জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান জেনারেল সাইর শামশাদ মির্জার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মুহাম্মদ ইউনুস। তিনি তাঁকে উপহার দেন ‘Art of Triumph’ নামের একটি বই। বইটির কভারে থাকা মানচিত্রেই দেখা যায় ভারতের সাত উত্তর-পূর্ব রাজ্য বাংলাদেশ ভূখণ্ডের অন্তর্ভুক্ত হিসেবে চিত্রিত।
এই চিত্রই মূলত ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের এক নতুন কূটনৈতিক বিতর্কের সূচনা করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয় ছবিটি। ভারতীয় সাংবাদিক, বিশ্লেষক ও নেটিজেনরা প্রশ্ন তুলেছেন—
? এটি কি শুধুই একটি ‘ডিজাইন ভুল’?
? নাকি এর পেছনে কোনও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বার্তা লুকিয়ে আছে?
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (MEA) এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে মন্তব্য না করলেও, সূত্রের খবর— দিল্লি গভীর নজর রাখছে এই ঘটনার উপর। উত্তর-পূর্বের রাজনৈতিক নেতা ও সংসদ সদস্যরা ইতিমধ্যেই এটিকে ভারতের সার্বভৌমত্বে ‘চ্যালেঞ্জ’ বলে অভিহিত করেছেন।
আসামের এক সাংসদ বলেন,
“এটি শুধু একটি মানচিত্রের ভুল নয়, এটি ভারতের অখণ্ডতার উপর সরাসরি আঘাত।”
? বাংলাদেশের প্রতিক্রিয়া
বাংলাদেশ সরকারের দফতর এখনও পর্যন্ত এই বিতর্কে কোনও আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা দেয়নি। তবে ঢাকার কূটনৈতিক মহল মনে করছে, বিষয়টি অপ্রত্যাশিত এবং হয়তো “প্রকাশনা সংস্থার ত্রুটি” হতে পারে।
তবে অনেকেই বলছেন, পাকিস্তানের জেনারেলকে এমন একটি উপহার দেওয়া মোটেও কাকতালীয় নয়। বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক সাম্প্রতিক সময়ে যে উষ্ণ হয়েছে, সেটিও ভারতের নজর এড়ায়নি।
তৃণমূলের এমএলএ হুমায়ুন কবিরের বড় ঘোষণা — নতুন দল গঠনের ইঙ্গিত, ২০২৬ নির্বাচনে ৫০টিরও বেশি আসনে লড়ার প্রতিশ্রুতি!
বর্ধমান-১ ব্লক কংগ্রেসের নেতৃত্বে হিলালউদ্দিন আহমেদের উদ্যোগে “এক ব্যক্তি এক ভোট” সুরক্ষায় রাজনৈতিক কর্মী সম্মেলন
দত্তাবাদকাণ্ডে অভিযুক্ত প্রশান্ত বর্মন, BDO-র উপস্থিতি নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে!বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনার মধ্যে লুকিয়ে আছে দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক টানাপোড়েন। চীন-পাকিস্তান-বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কূটনৈতিক সখ্যতা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে ঘিরে নতুন সন্দেহ তৈরি করছে।
একজন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক মন্তব্য করেন—
“একটি বইয়ের কভারে ছাপানো মানচিত্রই কখনও কখনও যুদ্ধের মানচিত্রের মতো কাজ করে।”
? সম্ভাব্য প্রভাব
ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কে সাময়িক উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে।
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে জনমনে ক্ষোভ বাড়তে পারে।
আসন্ন বাংলাদেশ-পাকিস্তান কূটনৈতিক আলোচনা নিয়ে নতুন সন্দেহ দেখা দিতে পারে।
