রেড বুলের ২০২৬ মৌসুমের ড্রাইভার লাইনআপে জায়গা না পেলেও কোনও আফসোস নেই এমনটাই জানালেন জাপানি এফ ওয়ান ড্রাইভার ইউকি সুনোদা। সম্প্রতি তাঁর নাম রেড বুলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা থেকে বাদ পড়ায় অনেকেই ভেবেছিলেন তিনি হতাশ বা বিরক্ত হবেন। কিন্তু সুনোদা জানিয়ে দেন, রেড বুলে যোগ দেওয়া তাঁর ক্যারিয়ারের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল এবং তিনি এই সুযোগে কখনওই অনুতপ্ত নন। সুনোদার মতে, রেড বুল পরিবারের অংশ হয়ে তিনি নিজের ড্রাইভিং স্কিল, স্থিরতা এবং প্রতিযোগিতামূলক মনোভাবকে আরও উন্নত করতে পেরেছেন। যদিও তাঁকে ২০২৬ এর জন্য দলে রাখা হয়নি, তবুও তিনি ভবিষ্যৎ নিয়ে ইতিবাচক। তাঁর কথায়, আমি জানি আমার গতি আছে, আমার সামর্থ্য আছে। সুযোগ আসবে, আমি প্রস্তুত থাকব। তিনি আরও বলেন যে তাঁর ফোকাস এখন বর্তমান মৌসুমে ভালো পারফরম্যান্স করা এবং নিজের ক্যারিয়ারকে আরও শক্তিশালী করা। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সুনোদার স্বচ্ছ মানসিকতা ও পরিপক্ক দৃষ্টিভঙ্গি ভবিষ্যতে তাঁকে আরও বড় সুযোগ এনে দিতে পারে। রেড বুলে সুযোগ না পেলেও তার প্রভাব তাঁর আত্মবিশ্বাসে একটুও পড়েনি এটাই তাঁর মন্তব্যে স্পষ্ট।
ভূমিকা: নির্মম ফর্মুলা ওয়ান এবং এক যোদ্ধার ইতিবাচক অঙ্গীকার
ফর্মুলা ওয়ানের দুনিয়া প্রতিভার জন্য যেমন এক মঞ্চ, তেমনই কঠোর প্রতিযোগিতার এক অগ্নিপরীক্ষা। এখানে শুধু গতি নয়, রাজনীতি, স্পনসরশিপ এবং মনস্তাত্ত্বিক দৃঢ়তারও পরীক্ষা হয়। এই জটিল ইকোসিস্টেমের কেন্দ্রে সম্প্রতি উঠে এসেছেন জাপানের তরুণ রেসার ইউকি সুনোদা, যিনি রেড বুল রেসিংয়ের জুনিয়র প্রোগ্রাম থেকে এসেছেন।
২০২৬ মৌসুমে রেড বুল তাঁকে মূল দলে না নিয়ে এক অভিজ্ঞ ড্রাইভারকে বেছে নেয়। এই সিদ্ধান্ত অনেকেই ভেবেছিলেন সুনোদার আত্মবিশ্বাস ভেঙে দেবে। কিন্তু তিনি তার সম্পূর্ণ উল্টো ছবি তুলে ধরলেন: “রেড বুলে যোগ দেওয়ার কোনো আফসোস নেই। আমি যা শিখেছি, তা আমার ক্যারিয়ারের জন্য অমূল্য।”
এই বক্তব্য শুধু সুনোদার পরিপক্বতারই প্রমাণ দেয় না, বরং ফর্মুলা ওয়ানের 'উচ্চ চাপ'-এর পরিবেশে একজন ড্রাইভার কীভাবে নেতিবাচক অভিজ্ঞতাকে ইতিবাচক শক্তিতে রূপান্তরিত করতে পারে, সেই মনস্তত্ত্বও তুলে ধরে। এই প্রবন্ধে আমরা ২০২৬ সালের এই 'স্নাব' বা প্রত্যাখ্যানের পেছনের কারণ, রেড বুলের ড্রাইভার তৈরির প্রক্রিয়া, সুনোদার কৌশলগত ও মানসিক বিবর্তন, এবং তাঁর উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সম্ভাবনাসমূহকে ২০০০ শব্দের নিরিখে বিশ্লেষণ করব।
১.১. কেন রেড বুল সিট পাওয়া এত কঠিন?
রেড বুল রেসিং ড্রাইভার প্রোগ্রাম বিশ্বের অন্যতম কঠিন এবং সফল জুনিয়র প্রোগ্রাম। এই প্রোগ্রামটি ম্যাক্স ভার্স্টাপেন, সেবাস্তিয়ান ভেটেল এবং ড্যানিয়েল রিকার্ডোর মতো চ্যাম্পিয়ন ও রেস উইনার তৈরি করেছে।
সাফল্যের নির্মম মানদণ্ড: রেড বুল তাদের জুনিয়র ড্রাইভারদের কাছ থেকে তাৎক্ষণিক সাফল্য, ধারাবাহিকতা এবং চূড়ান্ত গতির প্রত্যাশা করে। এখানে ব্যর্থতার কোনো সুযোগ নেই। একবার সুযোগ হারালে, ফিরে আসা কার্যত অসম্ভব।
ম্যাক্সের ছায়া: ২০১৯ সালে ম্যাক্স ভার্স্টাপেনের উত্থানের পর রেড বুল আরও সতর্ক হয়েছে। তারা এখন এমন সহ-ড্রাইভার চায়, যারা ম্যাক্সকে টেক্কা দেওয়ার বদলে দলকে জেতানোর জন্য স্থিতিশীলতা এবং পয়েন্ট এনে দেবে। এই প্রেক্ষাপটই সুনোদার জন্য সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
১.২. ২০২৬ স্নাবের পটভূমি ও কারণ
২০২৬ সালের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় রেড বুল সিদ্ধান্ত নেয়: ম্যাক্স ভার্স্টাপেনকে কেন্দ্র করে দল সাজানো এবং তাঁর পাশে অভিজ্ঞ, নির্ভরযোগ্য একজন ড্রাইভারকে রাখা।
সুনোদার গতি, আক্রমণাত্মক ড্রাইভিং এবং কোয়ালিফাইং ল্যাপের ক্ষমতা প্রশ্নাতীত হলেও, তাঁর ক্যারিয়ারের প্রথম দিকে ধারাবাহিকতা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। ঘন ঘন রেস ইনসিডেন্ট, রেডিওতে আগ্রাসী মন্তব্য এবং মাঝে মাঝে অপ্রত্যাশিত ভুলগুলি তাঁর বিরুদ্ধে গিয়েছিল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, “রেড বুলে সিট পাওয়া এখন বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন কাজগুলোর একটি, কারণ আপনার প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুধুমাত্র অন্য জুনিয়র ড্রাইভারদের সঙ্গে নয়, আপনার তুলনা করা হয় চ্যাম্পিয়ন ম্যাক্স ভার্স্টাপেনের সঙ্গে।” এই তুলনামূলক চাপেই সুনোদা পিছিয়ে পড়েন।
২.১. 'আফসোস নেই' মন্তব্যের মনস্তত্ত্ব
ইউকি সুনোদার প্রতিক্রিয়া ছিল আশ্চর্যজনকভাবে ইতিবাচক। তাঁর "আফসোস নেই" মন্তব্যটি তাঁর মানসিক বিবর্তনের স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয়। এটি একটি তরুণ ড্রাইভারের মধ্যে বিরল পরিপক্বতা।
এই মন্তব্যের তিনটি মূল দিক:
কৃতজ্ঞতা: তিনি স্বীকার করেছেন যে রেড বুল তাঁকে ফর্মুলা ওয়ানে আসার সুযোগ দিয়েছে এবং তাঁর ক্যারিয়ারের ভিত্তি তৈরি করে দিয়েছে।
আত্মবিশ্বাস: তিনি জানেন, তাঁর গতি ও দক্ষতা আছে। রেড বুল সিট না দিলেও ভবিষ্যতে অন্য বড় দল তাঁকে চাইবে—এই বিশ্বাস তাঁর মধ্যে কাজ করছে।
শিক্ষাগ্রহণ: তিনি প্রত্যাখ্যানকে ব্যর্থতা হিসেবে না দেখে, ভবিষ্যতে আরও ভালো করার প্রেরণা হিসেবে গ্রহণ করেছেন। তিনি নিজেই বলেছেন, "আমার কাজ হলো রেস করা, চাপ সামলানো এবং স্থির থাকা। সিট না পাওয়া আমার লক্ষ্য বদলাবে না।”
২.২. রেড বুলের কাছে ইউকি কী শিখলেন?
রেড বুল ড্রাইভার প্রোগ্রামে সুনোদা যে কঠিন প্রশিক্ষণ পেয়েছেন, তা তাঁর দক্ষতার ভিত্তি তৈরি করেছে। তিনি শিখেছেন:
চাপ সামলানো: অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে রেস করার মানসিকতা।
প্রকৌশলগত জ্ঞান: অত্যাধুনিক সিমুলেশন এবং টেস্টিংয়ের মাধ্যমে গাড়ির সেটিংস এবং ডেটা বিশ্লেষণ।
রেস পেস ম্যানেজমেন্ট: রেসের সময় টায়ার ও জ্বালানির ব্যবহার কৌশল। সুনোদা প্রথম দিকে রেডিওতে আগ্রাসী ছিলেন, কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনি রেডিওতে মন্তব্য কমানো এবং শান্ত থাকার প্রশিক্ষণ পেয়েছেন।
২.৩. ২০২৪–২৫ মৌসুমের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ
গত কয়েক মৌসুমে সুনোদা নিজেকে বহুলাংশে উন্নত করেছেন:
গতি ও কোয়ালিফাইং: তিনি প্রায়শই তাঁর টিমমেটকে (বিশেষত ডেভিডকে) কোয়ালিফাইং ল্যাপে ছাড়িয়ে গেছেন, যা তাঁর র 'স্পিড'-এর প্রমাণ।
ধারাবাহিকতা বৃদ্ধি: প্রথম দিকের ভুলগুলো কমিয়েছেন এবং রেস পেসে ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করেছেন।
ওভারটেকিং দক্ষতা: তাঁর আগ্রাসী ওভারটেকিংয়ের ধরন তাঁকে রেসের সময় পয়েন্ট অর্জনের সুযোগ দিয়েছে।
এই উন্নতিই ফ্যান ও বিশেষজ্ঞদের বিশ্বাস জুগিয়েছে যে, রেড বুল তাকে না নিলেও অন্য দল তাকে পেতে ঝাঁপিয়ে পড়বে।
৩.১. ২০২৬: ফর্মুলা ওয়ানের নতুন যুগ
২০২৬ সালে ফর্মুলা ওয়ানে আসছে নতুন ইঞ্জিন ও এরোডাইনামিক রেগুলেশন। এই পরিবর্তন পুরো গ্রিডকে নতুন করে সাজানোর সুযোগ এনে দেবে। নতুন রেগুলেশন মানে নতুন গাড়ির ডিজাইন, নতুন ইঞ্জিনের দক্ষতা এবং ড্রাইভিং স্টাইলেরও পরিবর্তন।
সুনোদার সুবিধা: বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সুনোদার মতো ড্রাইভার, যার দ্রুত প্রতিক্রিয়া (Quick Reflexes) এবং পরিবর্তিত গাড়ির সঙ্গে দ্রুত খাপ খাইয়ে নেওয়ার দক্ষতা আছে, তিনি এই নতুন যুগে খুব ভালো পারফর্ম করতে পারেন। নতুন রেগুলেশনে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ দক্ষতা আরও গুরুত্বপূর্ণ হবে, যা সুনোদার অন্যতম শক্তি।
৩.২. রেড বুলের সিদ্ধান্ত এবং বিশেষজ্ঞদের অভিমত
বিশেষজ্ঞদের মধ্যে রেড বুলের সিদ্ধান্ত নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে।
ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত: অনেকে মনে করেন, রেড বুল ব্র্যান্ডিং, বাজারের ফোকাস এবং দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতার জন্য অভিজ্ঞ ড্রাইভারকে বেছে নিয়েছে।
দীর্ঘমেয়াদি ভুল: কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন, "সুনোদার মতো প্রতিভাকে হারানোর ফলে রেড বুল ভবিষ্যতে ভুল প্রমাণিত হতে পারে।" তিনি এখনও তরুণ এবং তাঁর উন্নতির গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। সঠিক পরিবেশ পেলে তিনি চ্যাম্পিয়নশিপের যোগ্য হয়ে উঠতে পারেন।
৩.৩. ভবিষ্যতের সম্ভাবনা: কোথায় যেতে পারেন সুনোদা?
২০২৬ সালে একাধিক বড় দল তাদের ড্রাইভার লাইনআপ নিয়ে ভাবছে। সুনোদার সামনে এখন একাধিক দরজাই খোলা:
মেরসিডিজ: লুইস হ্যামিলটনের অনুপস্থিতিতে জর্জ রাসেলের পাশে একজন দ্রুত এবং স্থিতিশীল ড্রাইভারের প্রয়োজন। সুনোদা সেই শূন্যস্থান পূরণ করতে পারেন।
অ্যাস্টন মার্টিন: যদি ল্যান্স স্ট্রোল বাদ পড়েন, তবে সুনোদা ল্যান্সের পরিবর্তে বড় স্পন্সরশিপ এবং প্রতিযোগিতামূলক গাড়ির সুযোগ পেতে পারেন।
আলপাইন/ম্যাকলারেন: যদি তাদের বর্তমান লাইনআপে পরিবর্তন আসে, তবে সুনোদা তাদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হতে পারেন।
তাঁর জাপানি পরিচিতি এবং দ্রুতগতি বড় দলগুলির জন্য একটি আকর্ষণীয় প্যাকেজ।
৪.১. চ্যালেঞ্জের প্রতি ভালোবাসা
সুনোদা বারবার বলেছেন, "আমি চ্যালেঞ্জ ভালোবাসি। আমার কাজ হলো প্রমাণ করা যে আমি রেস জিততে পারি।" এই মানসিকতা তাঁকে অন্য তরুণ ড্রাইভারদের থেকে আলাদা করে।
তিনি চাপকে ভয় পান না; বরং ব্যর্থতাকে শেখার উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করেন। এই ধরণের মনোভাবই ফর্মুলা ওয়ানের সেরা ড্রাইভারদের তৈরি করে, যেমনটি হ্যামিলটন বা ভার্স্টাপেন প্রমাণ করেছেন।
৪.২. জাপানের প্রতিনিধিত্ব এবং ফ্যানদের সমর্থন
ইউকি সুনোদা জাপানের motorsports–এর অন্যতম মুখ। তাঁর সাফল্য জাপানি ফ্যানদের মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে।
ফ্যানদের প্রতিক্রিয়া—"No regrets attitude = Champion mindset" বা "Yuki is growing every year. His time will come"—প্রমাণ করে, তাঁর মানসিক দৃঢ়তা দর্শকদের মধ্যেও অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করেছে। এই ফ্যান সমর্থন একজন ড্রাইভারের মনস্তাত্ত্বিক শক্তি বাড়াতে সহায়ক হয়।
৪.৩. পরবর্তী পদক্ষেপ: ভিসা ক্যাশ অ্যাপ আরবি টিমে নেতৃত্ব
আপাতত সুনোদার কাজ হবে রেড বুলের জুনিয়র টিমে (V-CARB) নেতৃত্ব দেওয়া এবং ক্রমাগত ভালো পারফর্ম করা। এই অভিজ্ঞতা তাঁকে ভবিষ্যতে বড় দলের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করবে।
তাঁর উচিত হবে ২০২৫ মৌসুমে ধারাবাহিকতা এবং ভুলগুলো আরও কমানোর উপর জোর দেওয়া। যদি তিনি তার টিমমেটের উপর স্পষ্টভাবে আধিপত্য বিস্তার করতে পারেন, তবে ২০২৬ বা ২০২৭ সালের মধ্যে একটি শীর্ষস্থানীয় দল তাকে স্বাক্ষর করতে বাধ্য হবে।
রেড বুলের ২০২৬ লাইনআপে জায়গা না পাওয়া ইউকি সুনোদার ক্যারিয়ারের জন্য এক সাময়িক ধাক্কা হতে পারে, কিন্তু তাঁর ইতিবাচক মানসিকতা প্রমাণ করে—এটিই তাঁর পরবর্তী উন্নতির শুরু।
তিনি যে মানসিক দৃঢ়তা দেখালেন—কোনো হতাশা নেই, কোনো অভিযোগ নেই, শুধু আত্মবিশ্বাস—এটাই ভবিষ্যৎ চ্যাম্পিয়নদের পরিচয়।
ফর্মুলা ওয়ানের রাজনীতিতে হয়তো তাঁকে একধাপ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তাঁর প্রতিভা, গতি ও মানসিকতা তাঁকে কয়েক ধাপ এগিয়ে দিয়েছে।
ইউকি সুনোদা আজ প্রমাণ করলেন—কোনও সিট না পাওয়া মানে ক্যারিয়ার শেষ নয়। বরং তা পরবর্তী ধাপের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার এক সুযোগ। তাঁর এই 'নো রিগ্রেটস' অ্যাটিটিউড তাঁকে কেবল একজন ভালো রেসার নয়, একজন মানসিক চ্যাম্পিয়ন হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত করেছে। তাঁর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কেবল সময়ের অপেক্ষা।