বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে হয়েছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে এবং আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে আগামী দিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে
দক্ষিণবঙ্গের আকাশে শীতের আমেজ এখন স্পষ্টভাবে ধরা পড়তে শুরু করেছে। কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রার ওঠানামা চললেও আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের মতে আগামী দিনে দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমে আসতে পারে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পর্যবেক্ষণ বলছে রাজ্যের বেশির ভাগ এলাকায় আপাতত বৃষ্টি হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই এবং আবহাওয়া পুরোপুরি শুকনো থাকবে। উত্তুরে শুষ্ক হাওয়ার দাপটে রাতের দিকে পারদ পড়ে যাওয়ার প্রবণতা আরও বাড়তে পারে। দিনের তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল থাকলেও রাতের দিকে শীতের কড়াকড়ি ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে শুরু করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় গত কয়েক দিন ধরে সকালের দিকে কুয়াশার ঘনত্ব স্পষ্টভাবে অনুভূত হচ্ছে। কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কমে আসায় পরিবহন ব্যবস্থায় সাময়িক বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা থাকে। বিশেষত গাড়ি চালানো এবং ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে কুয়াশা একটি বড় প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ায়। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে শুক্রবার পুরুলিয়া বাঁকুড়া পূর্ব বর্ধমান এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলায় সকালের দিকে কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেতে পারে। এই জেলাগুলিতে দৃশ্যমানতা ৯৯৯ মিটার থেকে সরাসরি ২০০ মিটার পর্যন্ত নেমে আসার মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এর ফলে যানবাহন চালকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ট্রেন চলাচলেও সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে যা সাধারণ যাত্রীদের দৈনন্দিন যাতায়াতে প্রভাব ফেলতে পারে।
গত কয়েক দিনে তাপমাত্রার ওঠানামা দক্ষিণবঙ্গবাসীর শরীরে শীতের অনুভূতি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা শীতের আগমনী বার্তা আরও স্পষ্ট করে তুলেছিল। তবে শুক্রবার তাপমাত্রা কিছুটা উপরে উঠে ১৭ ডিগ্রিতে ঠেকেছে যা স্বাভাবিকের তুলনায় সামান্য বেশি। তবে এর ফলে শীতের তীব্রতা যে কমবে এমন ধারণা করা যাবে না। কারণ দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের তুলনায়ও কম। ফলে দিনভর হালকা শীতের অনুভূতি এবং রাত্রে তাপমাত্রা আরও নামার প্রবণতা মিলিয়ে দক্ষিণবঙ্গবাসীর জন্য ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে শীতের আবহ নিশ্চিত করে দিয়েছে।
কলকাতার আকাশ শুক্রবার পরিষ্কার ছিল এবং সকালের দিকে শহরের কয়েকটি অংশে হালকা কুয়াশার প্রভাব দেখা গেলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা দ্রুত মিলিয়ে যায়। শহরের আবহাওয়া আগামী কয়েক দিন একই রকম শুষ্ক থাকছে এবং আবহাওয়া বদলের সম্ভাবনা আপাতত নেই। শহরের পরিবেশে শীতের স্পষ্ট ভাব প্রকাশ পেলেও দিনভর রোদ থাকায় সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন কাজে কোনও উল্লেখযোগ্য সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
এ দিকে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও দুই ডিগ্রি পর্যন্ত নেমে যেতে পারে। এর পর কয়েক দিন তাপমাত্রায় খুব বেশি পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এর অর্থ দাঁড়ায় যে দক্ষিণবঙ্গের শীত স্থায়ী রূপ নিতে শুরু করেছে এবং শীতকালের সাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলিও ধীরে ধীরে প্রকট হবে। উত্তুরে হাওয়ার দাপট আরও বাড়ার সম্ভাবনা থাকায় রাত এবং ভোরের দিকে ঠান্ডার প্রভাব আরও গভীর হবে।
কেবল দক্ষিণবঙ্গ নয় উত্তরবঙ্গেও শীতের ভাব স্পষ্টভাবে অনুভূত হচ্ছে। শুক্রবার সকালে জলপাইগুড়ি আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার জেলায় হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা ছড়িয়ে থাকতে পারে বলে আবহাওয়া দফতর সতর্কতা জারি করেছে। এই জেলাগুলিতেও দৃশ্যমানতা ৯৯৯ থেকে ২০০ মিটার পর্যন্ত নেমে আসতে পারে। এর ফলে যান চলাচল এবং সকালের কাজকর্মে কিছুটা সতর্কতা প্রয়োজন হবে। যদিও উত্তরবঙ্গের বাকি জেলা গুলিতে কুয়াশার তেমন কোনও আশঙ্কা নেই এবং পরিবেশ বেশ শুকনো থাকবে। রাতের তাপমাত্রায় বিশেষ কোনও পরিবর্তন না হলেও ভোরের দিকে শীতলতার হার কিছুটা বাড়তে পারে।
উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি এলাকায় শীতের তীব্রতা আরও বেশি থাকে এবং বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকায় কুয়াশা জমলেও দ্রুত মিলিয়ে যায়। সমতল অংশের তুলনায় পাহাড়ি অঞ্চলে তাপমাত্রা দ্রুত নেমে যায় যা পর্যটন মৌসুমে একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ডিসেম্বরে পর্যটকদের ভিড় বাড়তে শুরু করায় দার্জিলিং কালিম্পং সহ অন্যান্য পাহাড়ি শহর গুলিতে এখন শীত পর্যটন মৌসুমের জমজমাট পরিবেশ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই সাধারণ মানুষকে কিছু সতর্কতা মানার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিশেষত শিশু এবং বয়স্কদের জন্য সকালে বাইরে বেরোনোর সময় অতিরিক্ত গরম পোশাক ব্যবহার করা প্রয়োজন। কুয়াশার কারণে সর্দি কাশি এবং গলা সংক্রমণের আশঙ্কাও বাড়ে তাই ভোরবেলা এবং গভীর রাতের সময় অতিরিক্ত সতর্ক থাকা উচিত। একই সঙ্গে সকালের দিকে রাস্তা পিচ্ছিল থাকতে পারে তাই পথচারী এবং যানবাহন চালকদের সাবধানে চলাচল করা অত্যন্ত জরুরি।
দক্ষিণবঙ্গের কৃষিপ্রধান অঞ্চলে কুয়াশা কখনও কখনও ফসলের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। বিশেষত আলু ধান এবং সবজি চাষে কুয়াশা জমে থাকলে রোগবালাইয়ের আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই কৃষকদের ক্ষেতের উপর নিয়মিত নজর রাখতে হবে এবং প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে হবে। যদিও এই মুহূর্তে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে তাপমাত্রা এখনই খুব নিচে নেমে যাচ্ছে না তাই ফসলের ওপর তেমন বড় ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা নেই।
শীতের মরসুম শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে থাকে এবং তার প্রভাব স্পষ্টভাবে দেখা যায় আমাদের দৈনন্দিন জীবনে। তাপমাত্রা কমে গেলে পরিবেশের আর্দ্রতার পরিমাণও কমে যায় আর এই কারণে হাওয়া অনেক বেশি শুষ্ক হয়ে ওঠে। এই শুষ্ক হাওয়া মানুষের ত্বকের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে শুরু করে। ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা দ্রুত হারিয়ে যেতে থাকে এবং ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। ঠোঁট ফেটে যাওয়া হাত পা শক্ত হয়ে যাওয়া এবং ত্বকে চুলকানি তৈরি হওয়া এই সময়ের খুব পরিচিত সমস্যা। বিশেষত শিশু এবং বয়স্ক মানুষ এই সমস্যার উচ্চঝুঁকিতে থাকে কারণ তাদের ত্বক তুলনামূলকভাবে আরও সংবেদনশীল।
শীতের শুষ্কতার কারণে শুধু ত্বকই নয় শরীরের অভ্যন্তরও প্রভাবিত হয়। শুষ্ক হাওয়ার প্রভাবে গলা শুকিয়ে যায় এবং অনেক সময় অনাবিল অস্বস্তি তৈরি হয়। শ্বাসনালীও প্রভাবিত হতে পারে কারণ শীতের হাওয়া স্বাভাবিক পরিবেশের তুলনায় অনেক বেশি শুষ্ক থাকে এবং এর ফলে গলা ব্যথা কাশি এবং শ্বাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যাদের আগে থেকেই অ্যাজমা বা শ্বাসজনিত সমস্যা রয়েছে তাদের এই সময়ে আরও বেশি সতর্ক থাকতে হয়। তাই শরীরের ভেতর এবং বাইরে দু ক্ষেত্রেই আর্দ্রতা ধরে রাখা শীতকালে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
এই মৌসুমে ত্বককে সুরক্ষিত রাখতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা। ময়েশ্চারাইজার ত্বকের উপরে একটি সুরক্ষাকবচ তৈরি করে যা ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। স্নানের পরপরই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা সবচেয়ে উপকারী কারণ তখন ত্বক সামান্য ভেজা থাকে এবং এই অবস্থায় ময়েশ্চারাইজার ত্বকের গভীরে দ্রুত শোষিত হয়। তাছাড়া ঠোঁটেও নিয়মিত লিপ বাম ব্যবহার করা প্রয়োজন কারণ ঠোঁট শরীরের সবচেয়ে সংবেদনশীল অংশগুলির একটি এবং শীতের শুষ্কতা ঠোঁটের উপর সবচেয়ে দ্রুত প্রভাব ফেলে।
শীতকালে জল কম পান করার প্রবণতা দেখা যায় কারণ গরমের সময়ের মতো তৃষ্ণা অনুভব হয় না। কিন্তু শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখতে পর্যাপ্ত জল পান করা খুবই জরুরি। জল শরীরের সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গে রক্তসঞ্চালন সঠিক রাখতে সাহায্য করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা এবং নমনীয়তা বজায় রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দিনে অন্তত ছয় থেকে আট গ্লাস জল পান করা উচিত যাতে শরীরের প্রাকৃতিক জলীয় ভারসাম্য বজায় থাকে।
শীতের পরিবর্তিত আবহাওয়ার সঙ্গে শরীরকে মানিয়ে নিতে কিছুটা সময় লাগে। এই সময় শরীরকে উষ্ণ রাখতে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বিশেষ করে গরম স্যুপ ডাল ভাত শাকসবজি এবং পর্যাপ্ত প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাদ্য যেমন কমলা আমলকি বাদাম সূর্যমুখীর বীজ ত্বকের জন্য বিশেষ উপকারী। এগুলি ত্বকের কোষকে পুষ্টি জোগায় এবং শুষ্কতার বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করে।
শীতকালে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়াও সমান গুরুত্বপূর্ণ কারণ শরীর এই মৌসুমে দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়ে। শারীরিক ক্লান্তি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয় ফলে সর্দি কাশি জ্বরের মতো মৌসুমী অসুখের ঝুঁকি বাড়ে। তাই প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ঘুমানো এবং শরীরের প্রয়োজন মতো বিশ্রাম নেওয়া শীতের সময়ে স্বাস্থ্য রক্ষার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলোর একটি। পর্যাপ্ত ঘুম শরীরকে পুনরুজ্জীবিত করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।
শীতকালে হঠাৎ তাপমাত্রার পরিবর্তন শরীরকে বিভ্রান্ত করতে পারে। ঘরের উষ্ণ পরিবেশ থেকে বাইরে ঠান্ডায় বের হলে শরীরে চাপ পড়ে তাই বাইরে বেরোনোর আগে নিজেকে উপযুক্ত পোশাক দিয়ে ঢেকে রাখা সর্বদাই প্রয়োজন। উল বা ফ্লানেলের কাপড় শীত প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর। মাথা কান এবং গলা ঢেকে রাখা উচিত কারণ শরীরের সবচেয়ে বেশি তাপ বের হয়ে যায় এই অংশগুলির মাধ্যমে।
শীতকালে ত্বক পরিষ্কার করার ক্ষেত্রেও বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত। খুব গরম জল দিয়ে স্নান ত্বককে আরও শুষ্ক করে তুলতে পারে তাই কুসুম গরম জল ব্যবহার করা ভালো। স্নানের সময় খুব বেশি সাবান ব্যবহার না করাই ভালো কারণ সাবানের বেশি ব্যবহার ত্বকের প্রাকৃতিক তেলকে নষ্ট করে দেয়। ত্বক পরিষ্কারের জন্য মৃদু ফোমিং জেল বা ক্রিমি ক্লিনজার ব্যবহার করলে ত্বক কোমল থাকে এবং শুষ্কতার সমস্যা কমে যায়।
শীতের সময় হাত পায়ের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন কারণ এগুলো সবচেয়ে বেশি শুষ্ক হয়। হাতের ক্ষেত্রে দিনে বারবার ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করা উচিত এবং শোবার আগে ঘন ময়েশ্চারাইজার লাগালে আরও উপকার পাওয়া যায়। পায়ের গোড়ালি ফেটে যাওয়া এই সময়ের একটি বড় সমস্যা তাই নিয়মিত ফুটক্রিম ব্যবহার করা দরকার। সপ্তাহে এক বা দুই দিন হালকা গরম জলে পা ভিজিয়ে রাখা পায়ের ত্বককে নরম রাখতে সাহায্য করে।
শীতের শুষ্কতা থেকে চোখও রেহাই পায় না। অনেকের চোখ জ্বালা করে বা পানির মতো অস্বস্তি অনুভূত হয়। এই পরিস্থিতিতে চোখে আর্দ্রতা বজায় রাখতে কৃত্রিম অশ্রু ব্যবহার করা যেতে পারে এবং ঘরের মধ্যে আর্দ্রতা ধরে রাখতে হিউমিডিফায়ার ব্যবহারে খুব ভালো ফল পাওয়া যায়। শুষ্ক হাওয়ার কারণে নাকের ভেতরও জ্বালা হতে পারে তাই নাসারন্ধ্রে ময়েশ্চারাইজিং জেল ব্যবহার করা যেতে পারে।
সার্বিকভাবে দেখা যাচ্ছে শীতের শুষ্কতা ত্বক ঠোঁট চোখ এবং শ্বাসপ্রশ্বাসের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে তাই এই মৌসুমে বাড়তি সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি। নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার পর্যাপ্ত জল পান পুষ্টিকর খাবার পর্যাপ্ত ঘুম এবং উপযুক্ত পোশাক ব্যবহার করলে শীতের প্রভাব অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। শীতের সময় শরীরকে ভালো রাখতে দৈনিক কিছু ছোট ছোট অভ্যাস গড়ে তুললে পুরো মৌসুম জুড়ে সুস্থ থাকা যায়। শীত প্রকৃতির আনন্দ উপভোগ করতে সাহায্য করে তবে সেই আনন্দ বজায় রাখতে নিজের যত্ন নেওয়া সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।
সার্বিকভাবে দেখা যাচ্ছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গ জুড়ে শীত ধীরে ধীরে নিজের জায়গা দখল করছে। কুয়াশা তাপমাত্রা পতন এবং শুকনো হাওয়া মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ শীতের মরসুমকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত হচ্ছে। আগামী কয়েক দিনে আবহাওয়ার বিশেষ কোনও পরিবর্তন না হলেও রাতের দিকে ঠান্ডার প্রভাব বৃদ্ধি পাওয়া নিশ্চিত। তাই সকলকে সতর্ক থেকে শীত উপভোগ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।