দক্ষিণ পূর্ব উপকূলে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় দিতওয়া ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে তামিলনাডুর চেন্নাই ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোর উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। গত কয়েকদিন ধরে অবিরাম ভারী বৃষ্টি, দমকা হাওয়া এবং উপকূলীয় অঞ্চলে জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় প্রশাসন জরুরি সতর্কতা জারি করেছে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দিতওয়ার অগ্রগতির ফলে আগামী আরও কয়েক দিন এই অঞ্চলে বৃষ্টি ও অস্থির আবহাওয়া বজায় থাকতে পারে। পরিস্থিতির অবনতি বিবেচনায় কর্তৃপক্ষ চেন্নাইয়ের সব সরকারি ও বেসরকারি স্কুল কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছে। ছাত্র ছাত্রীদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তারা জানান, জলাবদ্ধ রাস্তা, গাছ পড়ে যাওয়া, বিদ্যুৎবিভ্রাট এবং অনিরাপদ পরিবহন পরিস্থিতি শিক্ষার্থীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। ফলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখাই যুক্তিযুক্ত। শহরের বিভিন্ন এলাকায় ইতিমধ্যেই জল জমে গেছে, বিশেষ করে নিম্নাঞ্চলগুলোতে। বহু স্থানে নিকাশি ব্যবস্থার ওপর চাপ বেড়ে যাওয়ায় দ্রুত পানি বের করতে পৌর কর্তৃপক্ষ সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে। চেন্নাই কর্পোরেশন জরুরি ভিত্তিতে অতিরিক্ত পাম্প বসানোর পাশাপাশি ত্রাণ সহায়তা কেন্দ্রে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। প্রয়োজন হলে মানুষকে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরের জন্য দল মোতায়েন রাখা হয়েছে। অন্যদিকে, বাসিন্দাদের অপ্রয়োজনীয় বাইরে বের না হওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে কঠোরভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সমুদ্র বন্দরগুলোতে সতর্কতা সংকেত জারি রয়েছে, এবং উপকূল রক্ষীবাহিনী নিয়মিত টহল দিচ্ছে। জরুরি পরিষেবাগুলোর মধ্যে বিদ্যুৎ, পানি ও যোগাযোগ ব্যবস্থা দ্রুত পুনরুদ্ধারের জন্য বিশেষ কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। হেল্পলাইন নম্বর প্রকাশ করে নাগরিকদের যে কোনো সমস্যায় যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ঘূর্ণিঝড় দিতওয়ার গতিপথ ও শক্তি বিবেচনা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনরায় খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আপাতত পরিস্থিতি স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে সতর্ক থাকার এবং সরকারি নির্দেশিকা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
দক্ষিণ ভারতের উপকূলীয় অঞ্চল বরাবরই প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকির মধ্যে থাকে, বিশেষ করে বছরশেষের দিকে যখন বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরের সংযোগস্থলে নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়। এ বছরের শেষ দিকে তেমনই একটি ঘূর্ণিঝড়, দিতওয়া, সৃষ্টি হয়েছে এবং তার প্রভাব বর্তমানে সবচেয়ে গভীরভাবে অনুভূত হচ্ছে তামিলনাডুর রাজধানী চেন্নাই ও আশেপাশের জেলাগুলোতে। আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে যে এই ঘূর্ণিঝড়ের গতি ও দিক পরিবর্তনশীল হওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতে প্রবল বাতাস, বিশাল ঢেউয়ের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং অস্বাভাবিক জলোচ্ছ্বাসের কারণে স্থানীয় প্রশাসনকে সতর্ক অবস্থানে থাকতে হচ্ছে। চেন্নাইয়ের নাগরিকদের জন্য দুর্যোগের এই সময়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই এখন প্রশাসনের প্রধান উদ্দেশ্য। এই নিরাপত্তা পরিকল্পনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ছিল চেন্নাইয়ের সব স্কুল ও কলেজ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা।
শহরে টানা কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড বৃষ্টি হওয়ায় অনেক এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। কোলুর, ভেলাচেরি, পেরম্বুর, টি.নগরসহ বহু জনবহুল অঞ্চলে রাস্তায় হাঁটু সমান বা তার থেকেও বেশি পানি জমে গেছে, ফলে যানবাহন চলাচল কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। পরিবহন সমস্যার পাশাপাশি বাড়তি ঝুঁকি তৈরি করেছে ভেঙে পড়া গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি এবং অস্থির বৈদ্যুতিক লাইন। এসব কারণে শিক্ষার্থীদের স্কুল বা কলেজে যাওয়া নিরাপদ নয় বলে মনে করছে প্রশাসন। শুধু ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তাই নয়, শিক্ষকদের, অশিক্ষক কর্মচারীদের এবং অভিভাবকদেরও ঝুঁকি এড়ানো জরুরি। উপরন্তু অপ্রয়োজনীয় ভিড় এবং যানজট কমিয়ে উদ্ধারকাজ ও পৌরসভার কার্যক্রম দ্রুত গতিতে পরিচালনা করা যায়, তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে সবাই মনে করছে।
এবারের ঘূর্ণিঝড় দিতওয়া সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর গঠন ও বিস্তার তুলনামূলক জটিল। প্রথমে আরব সাগরে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ার পর সেটি ধীরে ধীরে ডিপ্রেশনে পরিণত হয়। পরে তাপমাত্রা, বাতাস এবং জলীয় বাষ্পের ঘনত্ব বাড়তে থাকায় এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়। যদিও ঘূর্ণিঝড়টি সমুদ্রের উপর থাকার সময় তীব্র থেকে অত্যন্ত তীব্র হতে পারত, কিন্তু উপকূল থেকে দূরত্ব কমে আসার কারণে এর গতিপথ কিছুটা পরিবর্তিত হয় এবং এটি ক্রমাগত ভারী বৃষ্টি বর্ষণ করে। তবে ঘূর্ণিঝড় শক্তি কিছুটা কমলেও বিপদের আশঙ্কা কমেনি, কারণ দীর্ঘস্থায়ী বৃষ্টি চেন্নাইয়ের নিকাশি ব্যবস্থাকে চাপে ফেলে দিয়েছে।
চেন্নাই কর্পোরেশন গত দুদিন ধরে সর্বোচ্চ সতর্কতায় কাজ করছে। হাজার হাজার কর্মী মাঠে নেমে ড্রেন পরিষ্কার করছে, স্যাম্প পাম্প বসানো হচ্ছে, ভেঙে পড়া গাছ কাটার জন্য বিশেষ দল নিয়োজিত রয়েছে। অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য। নাগরিকদের অনুরোধ করা হয়েছে যাতে তারা বিদ্যুতের তার বা পানিতে ডুবে থাকা ইলেকট্রিক লাইন থেকে দূরে থাকে। জরুরি হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে এবং বিভিন্ন চত্বরে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে, যেখানে নাগরিকরা সমস্যার কথা জানাতে পারেন।
এদিকে শহরের বিভিন্ন স্কুল কলেজে বার্ষিক পরীক্ষা বা সেমিস্টার পরীক্ষা চলছিল। হঠাৎ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরীক্ষা স্থগিত রাখতে হয়েছে। শিক্ষার্থীদের যাতে অসুবিধায় পড়তে না হয়, সেই জন্য কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছে যে পরীক্ষা পুনরায় নেওয়ার তারিখ পরে জানানো হবে এবং পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হবে প্রস্তুতির জন্য। অনেক স্কুল অনলাইন ক্লাস নেওয়ার কথা ভাবছে, যদিও বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট পরিস্থিতি ঠিক না হওয়া পর্যন্ত তা কার্যকর হবে কিনা, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।
চেন্নাইয়ের বন্দর এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঢেউয়ের উচ্চতা বেড়ে গেছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে এবং যারা ইতিমধ্যে সমুদ্রে ছিলেন তাদের দ্রুত নিরাপদে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। উপকূল রক্ষীবাহিনী এবং নৌবাহিনী যৌথভাবে উদ্ধারকাজে প্রস্তুত রয়েছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ যাতে বাইরে না বের হন সেই অনুরোধ বারবার প্রচার করা হচ্ছে।
মানুষের গৃহস্থালির জীবনেও এই ঘূর্ণিঝড় নানা জটিলতা তৈরি করেছে। একদিকে বিদ্যুতের বিচ্ছিন্ন সরবরাহ, অন্যদিকে বাজার দোকান বন্ধ থাকায় দৈনন্দিন কাজকর্মে বিঘ্ন ঘটছে। অনেকে বাড়িঘর থেকে পানি সরানোর জন্য নিজস্ব পাম্প ব্যবহার করছেন, কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকায় সেই প্রচেষ্টাও কিছু ক্ষেত্রে ব্যাহত হচ্ছে। যারা নিচতলার বাড়িতে থাকেন তারা প্লাবনের আশঙ্কায় ফার্নিচার উঁচুতে তুলে রেখেছেন, ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি যাতে নষ্ট না হয় সেদিকে বিশেষ সতর্কতা নিচ্ছেন।
এই ঘূর্ণিঝড়ের সবচেয়ে বড় আশঙ্কা হলো অপ্রত্যাশিত বন্যা পরিস্থিতি। চেন্নাইয়ের অতীত অভিজ্ঞতা অনুযায়ী দীর্ঘস্থায়ী বৃষ্টি প্রায়ই আকস্মিক বন্যা সৃষ্টি করে থাকে, বিশেষ করে ২০১৫ সালের বিধ্বংসী বন্যার স্মৃতি এখনও অনেকের মনে দগদগে। তাই বাসিন্দারা স্বভাবতই আতঙ্কিত। তবে এবারের প্রস্তুতি তুলনামূলকভাবে উন্নত পৌরসভা এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দল আগেভাগেই কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে। শহরের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পাম্পিং স্টেশন মেরামত করা হয়েছে এবং অতিরিক্ত পাম্প ও কর্মী সরবরাহ করা হয়েছে যাতে পানির স্তর নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
এছাড়াও এনডিআরএফ দল শহরের বিভিন্ন সংবেদনশীল এলাকায় অবস্থান করছে যাতে কোনো বিপর্যয় ঘটলে দ্রুত সাড়া দেওয়া যায়। চেন্নাই বিমানবন্দরেও সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে। ফ্লাইট চলাচলে কিছু বিলম্ব বা বাতিল হওয়ার খবর পাওয়া গেছে, যাত্রীদের অবস্থা বিবেচনায় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ যেকোনো জরুরি পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
চেন্নাইয়ের নাগরিকদের অন্যতম বড় চিন্তা হলো এই ঘূর্ণিঝড় কবে থামবে। আবহাওয়া অফিস বলছে, ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগের দিকে এগোলেও এর কেন্দ্রভাগ শক্তি হারাতে শুরু করবে, তবে ততক্ষণে প্রচুর বৃষ্টি এবং প্রবল বাতাস তৈরি হতে পারে। তাই আগামী কয়েকদিন মানুষকে সতর্ক অবস্থায় থাকতে বলা হয়েছে। সবার কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে যে কোনো গুজবে বিশ্বাস না করে শুধুমাত্র সরকারি ঘোষণা এবং আবহাওয়া দপ্তরের আপডেট অনুসরণ করতে।
এই পরিস্থিতির মধ্যে চেন্নাই শহরের মানুষ যে ধৈর্য ও সংহতি দেখিয়েছে তা প্রশংসনীয়। প্রতিবেশীরা একে অপরকে সাহায্য করছেন, বন্ধুরা পরস্পরের খোঁজখবর নিচ্ছেন, অনেক স্বেচ্ছাসেবক খাবার ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী দিয়ে সহায়তা করছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সচেতনতার বার্তা ছড়ানো হচ্ছে, কেউ কোথাও বিপদে পড়লে দ্রুত সাহায্যের আর্জি জানানো হচ্ছে।
তামিলনাডুর উপকূলে আবহাওয়ার ক্রমাগত পরিবর্তন এবং বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরের সংযোগস্থলে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপের প্রভাবে যে ঘূর্ণিঝড়টি ধীরে ধীরে শক্তি সঞ্চয় করে দিতওয়া নাম ধারণ করেছে, সেটি এখন দক্ষিণ ভারতের জীবনযাত্রায় বিচ্ছিন্ন থেকে বিস্তৃত প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রগতির প্রথম দিকেই বিশেষজ্ঞরা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে এটি শুধু উপকূল বরাবর ভারী বৃষ্টি নেমে সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং চেন্নাইয়ের মতো তুলনামূলক সমতল ও অতিগুরুত্বপূর্ণ নগর এলাকাকে বৈরী আবহাওয়ার ঝুঁকিতে ঠেলে দিতে পারে। এই পূর্বাভাস পরে বাস্তবে পরিণত হওয়ায় প্রশাসন বাধ্য হয়েছে এমন কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে, যা সাময়িক হলেও জননিরাপত্তার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্ত হলো চেন্নাই শহরের সকল স্কুল ও কলেজ সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা।
এই দুর্যোগের মধ্যেও চেন্নাই শহরের মানুষের সমন্বয় ও সহযোগিতার দৃশ্য প্রশংসার দাবি রাখে। প্রতিবেশীরা একে অপরকে সাহায্য করছে, খাবার ভাগ করে দিচ্ছে, যারা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জরুরি তথ্য, হেল্পলাইন নম্বর, আবহাওয়া আপডেট এবং রাস্তার অবস্থা সম্পর্কে মানুষ একে অপরকে জানাতে ব্যস্ত।
সবশেষে বলা যায়, ঘূর্ণিঝড় দিতওয়া হয়তো ধীরে ধীরে শক্তি হারাচ্ছে, কিন্তু তার প্রভাব চেন্নাইবাসীর জীবনে এক বিরাট অস্থিরতার সৃষ্টি করেছে। শহরের প্রশাসন, উদ্ধারকর্মী, চিকিৎসাকর্মী ও সাধারণ মানুষের সমন্বিত প্রচেষ্টা না থাকলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারত। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার মতো সিদ্ধান্ত সাময়িক অসুবিধা সৃষ্টি করলেও তাতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে। আগামী কয়েকদিন পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা হচ্ছে, তবে এখনই মনে করিয়ে দেওয়া জরুরি যে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি, সচেতনতা এবং সহযোগিতাই সবচেয়ে বড় হাতিয়ার।