২০২৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপে ফুটবলে আসতে চলেছে আরও একটি বড় প্রযুক্তিগত পরিবর্তন। এবার থেকে কর্নার কিকের সিদ্ধান্তও নেবে VAR (Video Assistant Referee)। দীর্ঘদিন ধরেই অফসাইড, গোল লাইন সিদ্ধান্ত, ফাউল ও পেনাল্টির ক্ষেত্রে VAR ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তবে কর্নার নিয়ে বিতর্ক বহু ম্যাচেই তৈরি হয়েছে, যেখানে রেফারির সামান্য ভুল সিদ্ধান্ত ম্যাচের ফল ঘুরিয়ে দিয়েছে। সেই সমস্যা দূর করতেই ফিফা আনছে এই নতুন উদ্যোগ। খবর অনুযায়ী, ২০২৬ বিশ্বকাপে VAR শুধু বড় সিদ্ধান্ত নয়, কর্নার দেওয়া বা না দেওয়ার মতো ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তও পরীক্ষা করে রেফারিকে সাহায্য করবে। বল শেষবার কার গায়ে লেগে মাঠের বাইরে গেল, ডিফেন্ডারের টাচ ছিল কি না, গোলরক্ষকের সেভের পর বল কর্নার হওয়া উচিত ছিল কি না এসব নির্ভুলভাবে জানিয়ে দেবে VAR। বিশ্বকাপের আগে এই প্রযুক্তি কয়েকটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা হবে। ফুটবল বিশ্লেষকদের মতে, এটি খেলাকে আরও ন্যায়সঙ্গত করবে, যদিও খেলা থেমে যাওয়ার সংখ্যায় সামান্য বৃদ্ধি হতে পারে। VAR এর এই নতুন ভূমিকা ফুটবলকে আরও নির্ভুল, পরিষ্কার ও বিতর্কহীন করতে বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ভূমিকা:
ভারতীয় ক্রিকেটে নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে। দীর্ঘদিনের প্রতিষ্ঠিত কোচিং সেটআপ থেকে সরে এসে যখন গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir)-এর মতো একজন স্পষ্টভাষী এবং আক্রমণাত্মক মনোভাবের ব্যক্তিত্ব প্রধান কোচের দায়িত্ব নেন, তখন থেকেই পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী ছিল। তবে এই পরিবর্তনকে গম্ভীর নিজে একটি "রিবিল্ডিং ফেজ" (Rebuilding Phase) হিসেবে অভিহিত করার পরই জন্ম নিয়েছে নতুন বিতর্ক। তাঁর মতে, আইসিসি ট্রফির খরা কাটাতে এবং ভবিষ্যতের জন্য শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করতে দলে কিছু কাঠামোগত ও মানসিক পরিবর্তন জরুরি।
কিন্তু গম্ভীরের এই বক্তব্যের সঙ্গে সরাসরি দ্বিমত পোষণ করেছেন ইংল্যান্ডের তারকা অলরাউন্ডার মোইন আলি (Moeen Ali)। মোইন আলির স্পষ্ট মত: ভারতীয় ক্রিকেটকে কখনোই 'রিবিল্ড' করতে হয় না। কারণ তাদের প্রতিভার ভাণ্ডার এত গভীর এবং তাদের ক্রিকেটিং ইকোসিস্টেম এত শক্তিশালী যে, কোনো পরিস্থিতিতেই দলটি দুর্বল বা ভেঙে পড়ার অবস্থায় আসে না। তাঁর মতে, এটি সর্বোচ্চ একটি সাধারণ 'ট্রানজিশন' বা ক্ষমতা হস্তান্তরের পর্যায়। এই দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের বিপরীতমুখী মন্তব্য কেবল একটি শব্দ নিয়ে বিতর্ক নয়, বরং ভারতীয় ক্রিকেটের বর্তমান অবস্থা, ভবিষ্যৎ পথচলা এবং নেতৃত্বের কৌশলগত দর্শন নিয়ে দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন। এই বিশদ বিশ্লেষণে সেই বিতর্কের গভীরে যাওয়া হবে, যেখানে রিবিল্ড, ট্রানজিশন, প্রতিভা-গভীরতা এবং আইসিসি ট্রফির চাপ— সবকিছুই উঠে আসবে।
ক্রিকেট বিশ্বে ‘রিবিল্ডিং’ শব্দটি সাধারণত এমন একটি অবস্থাকে বোঝায়, যখন একটি দল তার শ্রেষ্ঠ সময় পেরিয়ে আসে এবং একসঙ্গে একাধিক সিনিয়র খেলোয়াড় অবসর নেন বা বাদ পড়েন। এর ফলে দলের পারফরম্যান্স মারাত্মকভাবে নিচে নেমে যায় এবং দীর্ঘ সময় ধরে নতুন করে দল সাজাতে হয়। অস্ট্রেলিয়া ২০০৭-২০১১ সালের পর এবং ইংল্যান্ড ২০১৬ সালের পর এমন রিবিল্ডিংয়ের মধ্য দিয়ে গিয়েছিল।
ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে, দল বড় পরিবর্তন দেখেছে, কিন্তু কখনওই তা পুরোপুরি 'রিবিল্ড' পর্যায়ে ছিল না:
২০০০-২০০৩ পর্ব: ম্যাচ ফিক্সিং কেলেঙ্কারি এবং একাধিক সিনিয়র খেলোয়াড়ের প্রস্থানের পর সৌরভ গাঙ্গুলীর নেতৃত্বে যুবকদের নিয়ে একটি নতুন দল তৈরি হয়েছিল। এটি ছিল এক বিশাল 'ট্রানজিশন' যেখানে মানসিকতার বদল ও আক্রমণাত্মক মনোভাব আনা হয়েছিল, কিন্তু দলের প্রতিভা কখনওই ফুরিয়ে যায়নি।
২০০৭ সালের বিশ্বকাপ ব্যর্থতা: প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায়ের পর রাহুল দ্রাবিড়, সৌরভ গাঙ্গুলী, শচীন টেন্ডুলকারদের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে সরে যাওয়া এবং ধোনির নেতৃত্বে তরুণদের দল গঠন— এটি ছিল এক দ্রুত এবং কার্যকর 'রি-অ্যাডজাস্টমেন্ট'।
২০১১-২০১৫ পর্ব: শচীন, শেবাগ, জহির, লক্ষ্মণের মতো কিংবদন্তিদের ধীরে ধীরে সরে যাওয়া। এই সময়ে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ানের মতো নতুন তারকারা এসে নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। এটি ছিল একটি স্বাভাবিক 'ট্রানজিশন'।
ঐতিহাসিকভাবে দেখলে, ভারতীয় ক্রিকেটে কখনই এমন শূন্যতা তৈরি হয়নি যে দলটি একেবারে তলানিতে পৌঁছে গেছে এবং 'রিবিল্ড' ঘোষণা করতে হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটেই মোইন আলির যুক্তি আরও বেশি শক্তিশালী মনে হয়।
গৌতম গম্ভীর একজন আক্রমণাত্মক, উচ্চাকাঙ্ক্ষী এবং জয়ী মানসিকতার অধিকারী। যখন তিনি 'রিবিল্ড' শব্দটি ব্যবহার করেন, তখন তা খেলোয়াড়দের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে না, বরং তা তার নিজস্ব নেতৃত্ব দর্শনের একটি কৌশলগত অংশ। গম্ভীরের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে 'রিবিল্ড' বলার পেছনে নিম্নলিখিত কারণগুলি থাকতে পারে:
ক. ১২ বছরের আইসিসি ট্রফির খরা এবং মানসিকতার পরিবর্তন:
ভারতীয় দল কাগজে-কলমে বিশ্বের সেরা হলেও, ২০১৩ সাল থেকে তারা কোনো আইসিসি ট্রফি জিততে পারেনি। সেমিফাইনাল ও ফাইনালে নিয়মিত ব্যর্থতা দলকে এক ধরনের মানসিক ব্লক তৈরি করেছে। গম্ভীর মনে করেন, এই ব্যর্থতার ধারা থামাতে হলে কেবল খেলোয়াড় বদল নয়, বরং মানসিকতা এবং কৌশলগত কাঠামোকে সম্পূর্ণ নতুন করে সাজানো জরুরি। তাঁর কাছে 'রিবিল্ড' মানে খেলোয়াড়দের মানসিকতা বদলানো— দুর্বলতা কাটিয়ে কঠোর, ডিসিপ্লিনড এবং আক্রমণাত্মক মানসিকতার বীজ রোপণ করা।
খ. 'ডি-রোহিতাইজেশন' এবং 'ডি-কোহলিজেশন' (De-Rohitisation and De-Kohlisation):
রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলির মতো কিংবদন্তিদের ক্যারিয়ারের শেষ পর্বে নতুন প্রজন্মকে নেতৃত্ব তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। গম্ভীর এই প্রক্রিয়াকে দ্রুত করতে চান। তিনি চান না যে এই দুই তারকার অনুপস্থিতিতে যেন দলে কোনো শূন্যতা সৃষ্টি হয়। তাই তরুণ ক্রিকেটারদের— যেমন শুভমন গিল, যশস্বী জয়সওয়াল, ঋষভ পন্থ, শিভম দুবে— হাতে দ্রুত দায়িত্ব তুলে দিতে তিনি এই 'রিবিল্ড' শব্দটিকে ব্যবহার করেছেন একটি কঠোর বার্তা হিসেবে।
গ. নিজস্ব সংস্কৃতি তৈরি:
গম্ভীর কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR) এবং লখনউ সুপার জায়ান্টস (LSG)-এ তার নিজস্ব কঠোর, আক্রমণাত্মক এবং শৃঙ্খলাপরায়ণ সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করতে সফল হয়েছিলেন। তিনি ভারতীয় দলেও সেই একই পরিবেশ চান। ‘রিবিল্ড’ শব্দটির মাধ্যমে তিনি খেলোয়াড়দের বোঝাতে চেয়েছেন যে, অতীত ভুলে নতুন কোচের অধীনে একটি নতুন এবং কঠোর সংস্কৃতি শুরু হচ্ছে।
গম্ভীরের কাছে 'রিবিল্ড' হয়তো খেলোয়াড় বদল নয়, এটি একটি মানসিক পুনর্গঠন (Mental Restructuring)।
মোইন আলি একজন বিদেশি ক্রিকেটার, যিনি বহু বছর ধরে আইপিএলে খেলেছেন এবং ভারতীয় ক্রিকেটের ভিতরের অবস্থা দেখেছেন। তাঁর বক্তব্য তাই কেবল একটি প্রশংসা নয়, এটি ভারতীয় ক্রিকেটিং ইকোসিস্টেমের অতুলনীয় শক্তির একটি স্বীকারোক্তি।
ক. আইপিএল— প্রতিভার অবিরাম উৎস:
আইপিএল (IPL) ভারতীয় ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আশীর্বাদ। এটি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যা স্থানীয় তরুণদের সরাসরি আন্তর্জাতিক তারকাদের বিপক্ষে খেলার এবং চাপ সামলানোর সুযোগ দেয়। ফলস্বরূপ, ভারতের ভবিষ্যতের তারকা খুঁজে পেতে অন্যান্য দেশের মতো দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয় না। রুতুরাজ গায়কোয়াড়, তিলক ভার্মা, রিয়ান পরাগ, মুকেশ কুমারের মতো খেলোয়াড়রা এক বছর আইপিএলে ভালো খেললেই জাতীয় দলে খেলার জন্য প্রস্তুত হয়ে যান।
খ. 'বেঞ্চ স্ট্রেংথ' বিশ্বের সেরা:
মোইন আলি জোর দিয়ে বলেছেন— ভারতের বেঞ্চ স্ট্রেংথ বিশ্বের সেরা। এই বেঞ্চ এতটাই শক্তিশালী যে ভারত একই সাথে দুই থেকে তিনটি আন্তর্জাতিক মানের দল মাঠে নামাতে পারে। প্রতিটি ফরম্যাটে একাধিক বিকল্প রয়েছে: দ্রুত বোলার (সিরাজ, আর্শদীপ, উমরান), বিশ্বমানের স্পিনার (কুলদীপ, চাহাল, অক্ষর, সুন্দর), এবং একাধিক ব্যাটসম্যান। এই গভীরতা থাকায় ভারতের সিস্টেম কখনই 'ফাঁকা' হয় না।
গ. সিস্টেমে স্থিতাবস্থা:
অন্যান্য দেশ যেখানে নতুন প্রতিভা খুঁজে পেতে এবং তাদের আন্তর্জাতিক স্তরের জন্য তৈরি করতে হিমশিম খায়, সেখানে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (BCCI)-এর সুগঠিত ঘরোয়া কাঠামো (রঞ্জি ট্রফি, বিজয় হাজারে, সৈয়দ মুস্তাক আলি) এবং 'এ' দলের নিয়মিত ট্যুর নিশ্চিত করে যে, প্রতিটি বছরই ২০-২৫ জন যোগ্য খেলোয়াড় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। এই স্থিতাবস্থা থাকায় মোইনের মতে, 'রিবিল্ড' শব্দটি একেবারেই অপ্রয়োজনীয়। এটি কেবল একটি 'ট্রানজিশন'— এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর।
মোইন আলির মন্তব্যের মাধ্যমে শব্দ দুটির কৌশলগত পার্থক্য স্পষ্ট হয়ে ওঠে:
| বৈশিষ্ট্য | রিবিল্ডিং (গম্ভীরের দৃষ্টিভঙ্গি) | ট্রানজিশন (মোইন আলির দৃষ্টিভঙ্গি) |
| অবস্থার প্রকৃতি | দলে গভীর দুর্বলতা, ধারাবাহিক পরাজয়, সিনিয়রদের একসঙ্গে বাদ পড়া। | শক্তিশালী দল, কিন্তু নেতৃত্ব ও কৌশলে পরিবর্তন প্রয়োজন। |
| পারফরম্যান্সের প্রভাব | পারফরম্যান্স নিচে নেমে যায়, বড় টুর্নামেন্ট জেতার সম্ভাবনা কম থাকে। | পারফরম্যান্স স্থিতিশীল থাকে, প্রতিদ্বন্দ্বিতা অক্ষুণ্ণ থাকে। |
| উদ্দেশ্য | শূন্যতা পূরণ করা এবং নতুন ভিত্তি তৈরি করা। | ক্ষমতা হস্তান্তর এবং কৌশলকে আরও ধারালো করা। |
| মানসিকতা | নতুন করে শুরু করার মানসিকতা। | আরও শক্তিশালী হওয়ার মানসিকতা। |
ভারতের বর্তমান স্কোয়াড— যেমন শুভমন গিল, ঋষভ পন্থ, যশস্বী জয়সওয়াল, জসপ্রিত বুমরাহ— কেউই দুর্বল নন। তারা প্রত্যেকেই নিজ নিজ ক্ষেত্রে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের মধ্যে পড়েন। তাই গম্ভীরের 'রিবিল্ড' বলার মূল কারণ খেলোয়াড় বদল নয়, বরং ট্রফি জেতার মানসিকতা বা 'উইনিং মেন্টালিটি' পুনর্গঠন।
গম্ভীর এবং মোইন আলির এই বিতর্ক আপাতদৃষ্টিতে একটি শব্দ নিয়ে হলেও, এর গভীর অর্থ রয়েছে। মোইন আলির বক্তব্য কেবল বিতর্কের জন্ম দেয়নি, বরং এটি ভারতীয় ক্রিকেটের শক্তির প্রতি এক আন্তর্জাতিক স্তরের বড় প্রশংসা (Compliment) বটে।
মোইনের বার্তা: তিনি স্পষ্ট বলেছেন যে, ভারতীয় দল কখনো দুর্বল হয় না, তারা শুধু আরও শক্তিশালী হয়। এটি ভারতীয় ভক্তদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়।
গম্ভীরের বার্তা: তিনি তার খেলোয়াড়দের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন। তিনি চান না যে, কেবল প্রতিভাধর হলেই হবে, তার সঙ্গে কঠোর পরিশ্রম এবং জয়ের তীব্র আকাঙ্ক্ষা থাকতে হবে।
এই দুই ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে বাস্তব সত্যটি হলো: ভারতীয় ক্রিকেট বর্তমানে একটি উচ্চাকাঙ্ক্ষী ট্রানজিশন পর্যায়ে রয়েছে। দলটি দুর্বল নয়, বরং বিশ্বের অন্যতম সেরা দল। কিন্তু গৌতম গম্ভীরের মতো একজন 'অ্যাগ্রেসিভ' কোচের আগমনে, তারা কেবল ট্রানজিশন নয়, বরং আইসিসি ট্রফি জয়ের লক্ষ্যে একটি মানসিক রিবুট (Mental Reboot)-এর মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
শেষ পর্যন্ত, এই বিতর্ক ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হবে। কারণ, গম্ভীর সফল হলে তার 'রিবিল্ড' দর্শন প্রমাণিত হবে, আর যদি দলটি ট্রফি জেতে তবে মোইন আলির 'শক্তিশালী দল' তত্ত্বটি আরও মজবুত হবে।