৮৫ বছরের প্রবীণ পরিচালক-অভিনেতার অভিযোগ, প্রশাসনের অতিরিক্ত হস্তক্ষেপে বহু ঐতিহাসিক ও সমসাময়িক নাটক মঞ্চস্থ করা যাচ্ছে না। এতে ক্ষুণ্ণ হচ্ছে সৃজনের স্বাধীনতা ও নাট্যজগতের ভাবনা।
ওয়েব প্ল্যাটফর্মে প্রদর্শিত সিরিজে কোনও সেন্সরশিপ নেই, অথচ নাটক, পথনাটিকা বা অন্যান্য মঞ্চনাট্যে পুলিশের নীতিপুলিশির হস্তক্ষেপ অব্যাহত। এই বৈষম্যের বিরোধিতা করে প্রবীণ অভিনেতা-পরিচালক অমল পালেকর ২০১৬ সালে বম্বে হাই কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন। প্রায় নয় বছর পরে তাঁর আবেদনে অবশেষে সাড়া দিয়েছে আদালত। বিচারপতি রিয়াজ ছাগলা ও ফারহান দুবাশের বেঞ্চ আগামী ৫ ডিসেম্বর শুনানির দিন নির্ধারণ করেছে।
অমলের আইনজীবী অনিল আন্তুরকর জানিয়েছেন, তাঁর ৮৫ বছর বয়সি মক্কেল শুধু জানতে চান— এই প্রাক্-সেন্সরশিপ আদৌ আইনি কি না। বম্বে পুলিশ আইনের ধারা ৩৩(১) অনুযায়ী, প্রশাসন মেলা বা পথের নাট্যপ্রদর্শন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। কিন্তু অমলের মতে, এই ধারা সাংবিধানিকভাবে শিল্পের স্বাধীনতাকে খর্ব করছে। তাঁর অভিযোগ, প্রশাসনের এই হস্তক্ষেপের কারণে বহু ঐতিহাসিক নাটক মঞ্চস্থ করা সম্ভব হয়নি।
তিনি আদালতে লিখেছেন, “এই প্রাক্-সেন্সরশিপ একটি অসাংবিধানিক বিধিনিষেধ, যা শিল্পের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ণ করছে।” অমলের এই আবেদন শিল্পমহলে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে— নাট্যশিল্প কি সেন্সরের আওতায় থাকা উচিত, নাকি ওয়েবের মতোই মুক্ত থাকবে সৃজনশীল প্রকাশের পরিসর?