Lenspedia Bangla Logo
  • কলকাতা
  • 30℃ Purba Bardhaman

সাংহাই বিমানবন্দরে ভারতীয় তরুণীর সঙ্গে ১৮ ঘণ্টা খাবার না থাকা শুধু শৌচাগারে যাওয়ার অনুমতি

চিনের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, ওই তরুণীকে হেনস্থা করা হয়নি এবং সীমান্তকর্মীরা আইন ও বিধি মেনেই কাজ করেছেন বিমান সংস্থা তাঁকে জল ও খাবারও সরবরাহ করেছে

সাংহাই বিমানবন্দরে ভারতীয় তরুণীর সঙ্গে ১৮ ঘণ্টা খাবার না থাকা শুধু শৌচাগারে যাওয়ার অনুমতি
International Relations

চীনের সাংহাই বিমানবন্দরে সম্প্রতি এক ভারতীয় তরুণীর বিরুদ্ধে ঘটে যাওয়া ঘটনা দেশের রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মধ্যে একটি নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এই ঘটনায় একদিকে ভারতীয় নাগরিকের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে, অন্যদিকে চীন তার অবস্থান বজায় রেখেছে এবং ভারতের দাবি অগ্রাহ্য করেছে। ভারতীয় তরুণী পেমা ওয়াংজম থংডক, যিনি অরুণাচল প্রদেশের বাসিন্দা, তার বিরুদ্ধে চীনের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ যে আচরণ করেছে তা শুধু তার জন্য নয়, বরং ভারতের জন্যও একটি লজ্জাজনক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

পেমা ওয়াংজম থংডক, অরুণাচল প্রদেশের বাসিন্দা, সাংহাই বিমানবন্দরে ট্রানজিট করার সময় চীনের অভিবাসন দফতরের কর্মকর্তাদের দ্বারা হেনস্থা হন। তার অভিযোগ, বৈধ পাসপোর্ট থাকা সত্ত্বেও কেবল তার জন্মস্থান অরুণাচল প্রদেশের কারণে তাকে হেনস্থা করা হয়েছে। ১৮ ঘণ্টা খাবার বা জল না দিয়ে, একটানা একটি চেয়ারে বসিয়ে রাখা হয়েছিল তাকে, এবং মাঝে মাঝে শৌচাগারে যেতে দেওয়া হচ্ছিল। পেমার অভিযোগ, চীনের অভিবাসন দফতরের কর্তারা তাকে জানান, তার পাসপোর্ট অবৈধ এবং অরুণাচল প্রদেশকে চীন তাদের অংশ হিসেবে মনে করে। এর ফলে, ভারতীয় তরুণী ওই বিমানবন্দরে কার্যত 'বন্দি' হয়ে যান।

পেমা ওয়াংজম থংডক সাংবাদিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বলেন, "আমি ভারতীয় নাগরিক। আমার পাসপোর্ট বৈধ। আমাকে বলা হয়েছে যে, আমার পাসপোর্ট অবৈধ এবং অরুণাচল প্রদেশ চীনের অংশ। আমি তখন তাদের জানাই, আমি একজন গর্বিত ভারতীয় নাগরিক।" পেমা আরো জানান, এর আগেও তিনি একাধিকবার চীন দিয়ে যাতায়াত করেছেন কিন্তু কখনও এমন ধরনের অস্বস্তির সম্মুখীন হননি।

তার উপর চীনের অভিবাসন দফতরের এক কর্মকর্তা তাকে প্রশ্ন করেন, কেন তিনি চীনা পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেননি। পেমা জানান, "আমি চীনা ভাষা বলতে পারি না, চীনে আমার জমি নেই, ভোটের অধিকারও নেই, তাহলে আমি কীভাবে চীনের নাগরিক হতে পারি?

এই ঘটনার পর সামাজিক মাধ্যমে পেমাকে নিয়ে বিভিন্ন কটূক্তি এবং বিদ্রূপমূলক পোস্ট প্রকাশিত হতে থাকে, যার কারণে তিনি আরো ক্ষুব্ধ হন। তিনি বলেন, "আমি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত। এসব বিদ্রূপের উত্তর দেওয়ার সময় আমার নেই, তবে যারা আমাকে সমর্থন করছেন তাদের আমি ধন্যবাদ জানাই

চীনের বিদেশ মন্ত্রক এই ঘটনার পর জানিয়েছে, "কোনও ধরনের হেনস্থা করা হয়নি পেমাকে। সীমান্তকর্মীরা আইন এবং বিধি মেনেই কাজ করেছেন। বিমান সংস্থা তাকে জল এবং খাবারও সরবরাহ করেছে।" তাদের বক্তব্য, অরুণাচল প্রদেশ 'চীনের অংশ' এবং চীন কখনোই ভারতের অবৈধভাবে দাবি করা অরুণাচল প্রদেশকে মানে না

চীনের এই বিবৃতি প্রকাশের পর ভারতের বিদেশ মন্ত্রক তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায়। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, "অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এই ধরনের মন্তব্য আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী।" তিনি আরো বলেন, চীনের আচরণ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন এবং দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্কের উপর কুপ্রভাব ফেলবে।

এই ঘটনার পর ভারতের সরকার তীব্র প্রতিবাদ জানায় এবং চীনের পক্ষ থেকে ঘটনার সঠিক ব্যাখ্যা এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করে। বিশেষ করে, ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র চীনের কর্মকাণ্ডকে 'অবিচারের' সাথে তুলনা করেছেন এবং দাবি করেছেন যে, চীনের এই আচরণ আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন

ভারতীয় সরকারের এই পদক্ষেপ কেবল পেমা ওয়াংজম থংডক-এর জন্য নয়, বরং পুরো অরুণাচল প্রদেশের জন্য একটি বড় সুরক্ষা পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এটি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের শক্তিশালী অবস্থানকেও প্রতিস্থাপন করেছে এবং দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি কোনো ধরনের আপস না করার সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেছে

চীন এই ঘটনাকে নিজের সুবিধার্থে বিপরীতভাবে ব্যাখ্যা করেছে। তারা দাবি করেছে, "অরুণাচল প্রদেশ চীনের একটি অংশ।" তাদের ভাষায়, এটি তাদের ভূখণ্ডের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং ভারতের কোনো দাবি এতে প্রভাব ফেলতে পারে না। চীন বরাবরই অরুণাচল প্রদেশের বিষয়ে এমন ধরনের অবস্থান নিয়েছে, যা ভারতের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে

অরুণাচল প্রদেশের ভারতীয় ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে স্বীকৃত রয়েছে এবং এটি ভারতীয় নাগরিকদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঞ্চল। তবে, চীন দীর্ঘদিন ধরে এই অঞ্চলের মালিকানা দাবি করে আসছে, যা ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্বের জন্য বড় একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ঘটনা ভারতের জন্য এক নতুন বাস্তবতার সৃষ্টি করেছে, যেখানে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এর সমাধান সম্ভব নয়

চীন এবং ভারতের মধ্যে সম্পর্ক দীর্ঘকাল ধরে এক চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে, এবং এর একটি বড় কারণ হলো অরুণাচল প্রদেশের মালিকানা নিয়ে চীনের দাবি। এই সম্পর্কের জটিলতা সম্প্রতি আরও একটি নতুন দিক পেয়েছে যখন চীনের সাংহাই বিমানবন্দরে এক ভারতীয় তরুণী পেমা ওয়াংজম থংডককে হেনস্থার শিকার হতে হয়। তার এই অভিজ্ঞতা শুধুমাত্র তার ব্যক্তিগত দুঃখ-দুর্দশা নয়, বরং ভারতের জাতীয় সার্বভৌমত্ব এবং মানবাধিকারের প্রশ্নেও নতুন আলো ফেলেছে

পেমা ওয়াংজম থংডক, যিনি অরুণাচল প্রদেশের বাসিন্দা, সম্প্রতি সাংহাই বিমানবন্দরে চীনের অভিবাসন দফতরের কর্মকর্তাদের দ্বারা হেনস্থার শিকার হন। পেমার অভিযোগ, বৈধ পাসপোর্ট থাকা সত্ত্বেও তাকে আটকানো হয়, এবং তাকে বলা হয় যে অরুণাচল প্রদেশ চীনের অংশ। তার দাবি, তাকে প্রায় ১৮ ঘণ্টা খাবার ও জল না দিয়ে একটানা একটি ছোট চেয়ারে বসিয়ে রাখা হয়েছিল, এবং মাঝে মাঝে শৌচাগারে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এমনকি চীনের কর্মকর্তারা তাকে প্রশ্ন করেন কেন তিনি চীনা পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেননি।

news image
আরও খবর

পেমার এই অভিজ্ঞতা তার ব্যক্তিগত দুঃখের পাশাপাশি ভারতের জন্যও একটি বড় শিক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতের নাগরিক হিসেবে তার এই দুঃখ-দুর্দশা আন্তর্জাতিক পরিসরে ভারতের সম্মান এবং জাতীয় সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন তুলে ধরেছে

পেমার ঘটনায় ভারতের বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে চীন এবং ভারতের সম্পর্ক নিয়ে নতুন আলোচনার সূচনা হয়েছে। বিশেষ করে অরুণাচল প্রদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য এই ঘটনার ফলে যে জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন উত্থিত হয়েছে, তা নিয়ে দেশজুড়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষার্থীরা তাদের নিরাপত্তা এবং বিদেশে সঠিকভাবে চলাফেরা করার অধিকার নিয়ে নতুন করে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।

অরুণাচল প্রদেশের প্রতি চীনের আগ্রাসী মনোভাব শুধু সেই অঞ্চলের মানুষের জন্যই নয়, বরং পুরো ভারতের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এটি ভারতের নাগরিকদের মধ্যে জাতীয় নিরাপত্তা ও সম্মান নিয়ে নতুন ধরনের উদ্বেগ তৈরি করেছে। এমনকি অনেক শিক্ষার্থী এখন বুঝতে পারছেন যে তাদের দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কীভাবে তারা ভূমিকা রাখতে পারেন, এবং কিভাবে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের অবস্থান আরও শক্তিশালী করা যেতে পারে

ভারতের সরকারের জন্য এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। চীনের বিরুদ্ধে দেশের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য সরকারের নানা পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রক ইতিমধ্যে চীনের এই আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে জানিয়েছে যে অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং চীনের দাবি তা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। তবে, প্রশ্ন ওঠে, ভবিষ্যতে এই ধরনের পরিস্থিতির মোকাবেলা করার জন্য ভারত কী ধরনের আন্তর্জাতিক কূটনীতি অবলম্বন করবে।

ভারতের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়, তবে এই ঘটনার পর অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, ভারতকে আন্তর্জাতিক আইন এবং মানবাধিকার বিষয়ে আরও শক্ত অবস্থান নিতে হবে। চীনের এই ধরনের আগ্রাসী মনোভাবকে মোকাবেলা করতে সরকার হয়তো কূটনৈতিক সম্পর্ক আরো শক্তিশালী করবে, এবং চীনের আন্তর্জাতিক কর্মকাণ্ডের প্রতি নজরদারি বাড়াবে

পেমা ওয়াংজম থংডকের ঘটনা মানবাধিকার এবং আন্তর্জাতিক কূটনীতি নিয়ে নতুন আলোচনা শুরু করেছে। মানবাধিকার সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি এই ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং ভারতীয় নাগরিকদের প্রতি চীনের আচরণকে নিন্দা জানিয়েছে। তবে, আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে ভারতের কৌশল কী হবে, তা গুরুত্বপূর্ণ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য এই ঘটনাটি শুধু একটি জাতিগত এবং রাজনৈতিক সমস্যার বাইরে গিয়ে মানবাধিকার এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের নতুন দিক উন্মোচন করেছে। যেভাবে চীন ভারতীয় নাগরিকদের বিরুদ্ধে হেনস্থা করেছে, তা আন্তর্জাতিক নিয়মাবলীর লঙ্ঘন। এই ঘটনায় একদিকে ভারতের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ তো বটেই, অন্যদিকে ভারতের পক্ষ থেকে শক্ত অবস্থান নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা সামনে এসেছে।

চীন দাবি করেছে যে অরুণাচল প্রদেশ তাদের ভূখণ্ডের অংশ এবং ভারত কখনও এটিকে অবৈধভাবে দাবি করে এসেছে। তবে, ভারতের বিদেশ মন্ত্রক এই দাবি অগ্রাহ্য করে জানিয়েছে যে অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। চীনের পক্ষ থেকে এই ধরনের মন্তব্য আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী, যা ভারতের সার্বভৌমত্বের প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশ করে।

চীন এবং ভারতের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই ধরনের ঘটনাগুলি ভবিষ্যতে আরও বড় আকারে পরিণত হতে পারে। বিশেষত, যখন আন্তর্জাতিক কূটনীতি, মানবাধিকার, এবং রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন আসে, তখন এই ধরনের ঘটনা কেবল দুই দেশের সম্পর্ককেই নয়, পুরো দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করতে পারে।

পেমা ওয়াংজম থংডকের এই অভিজ্ঞতা ভারতের জন্য একটি বড় শিক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি প্রমাণ করেছে যে দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা এবং অধিকারকে গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষত, অরুণাচল প্রদেশের মতো সীমান্তবর্তী অঞ্চলের নাগরিকদের জন্য আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মধ্যে সতর্কতা অবলম্বন করা অত্যন্ত জরুরি।

ভারতের জন্য এটি একটি সময়োপযোগী সতর্কবার্তা, যেখানে সরকারের পাশাপাশি দেশের নাগরিকদেরও সচেতন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে। এই ঘটনা কেবল ভারতের জন্য নয়, বরং দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা এবং মানবাধিকার সম্পর্কিত বিষয়গুলির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ এক মোড় নিয়ে এসেছে।

ভারতীয় তরুণী পেমা ওয়াংজম থংডকের এই ঘটনার পর, চীন এবং ভারতের সম্পর্কের একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়েছে। অরুণাচল প্রদেশের উপর চীনের দাবি নিয়ে আন্তর্জাতিক কূটনীতি এবং মানবাধিকার বিষয়ে নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে। এটি ভারতের সার্বভৌমত্ব রক্ষার ক্ষেত্রে এক বড় দিক নির্দেশনা হয়েছে। ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনার মোকাবেলা করার জন্য ভারতকে আরও শক্ত অবস্থান নিতে হবে, এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে সাবধানী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

Preview image