ChrysCapital-এর ঐতিহাসিক পদক্ষেপ — ২.২ বিলিয়ন ডলারের ফান্ড সংগ্রহে ভারতীয় প্রাইভেট ইক্যুইটি খাতে নতুন রেকর্ড ভারতের শীর্ষ প্রাইভেট ইক্যুইটি সংস্থা ChrysCapital ইতিহাস গড়েছে। সংস্থাটি তাদের দশম বিনিয়োগ ফান্ড (Fund X)-এর জন্য $২.২ বিলিয়ন (প্রায় ₹১৯,৫০০ কোটি) মূলধন সংগ্রহ করেছে, যা ভারতের প্রাইভেট ইক্যুইটি খাতের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এই নতুন ফান্ড আগের Fund IX ($১.৩৫ বিলিয়ন)-এর তুলনায় প্রায় ৬০% বেশি। সংস্থাটি জানিয়েছে, ফান্ডটিতে অংশ নিয়েছে আন্তর্জাতিক পেনশন ফান্ড, ইনস্যুরেন্স কোম্পানি, ফ্যামিলি অফিস এবং প্রথমবারের মতো দেশীয় বিনিয়োগকারীরাও (Indian LPs)। এটি ভারতীয় বিনিয়োগ বাজারে একটি নতুন যুগের সূচনা। ChrysCapital-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৌরভ চট্টোপাধ্যায় বলেন — “এই ফান্ড আমাদের বিনিয়োগ দর্শন ও ভারতের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার প্রতি আন্তর্জাতিক আস্থার প্রতিফলন।” নতুন ফান্ডের লক্ষ্য মূলত প্রযুক্তি, স্বাস্থ্যসেবা, আর্থিক পরিষেবা, কনজিউমার প্রোডাক্টস ও শিল্প পরিষেবা খাতে বিনিয়োগ। সংস্থাটি বলেছে, তারা সাধারণত প্রতিটি প্রকল্পে $৭৫–২০০ মিলিয়ন বিনিয়োগ করবে, যা ভারতের দ্রুত বর্ধনশীল শিল্পগুলিকে শক্তিশালী করবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদক্ষেপ দেখাচ্ছে যে ভারত এখন বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের কাছে “high-growth, low-risk” বাজার হিসেবে উঠে এসেছে। যদিও বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অস্থিরতা, সুদের হার বৃদ্ধি এবং রাজনৈতিক ঝুঁকি একটি বড় চ্যালেঞ্জ, তবুও ChrysCapital-এর এই সাফল্য ভারতের প্রাইভেট ইক্যুইটি ইকোসিস্টেমে আস্থা ফিরিয়ে এনেছে। সব মিলিয়ে, ChrysCapital Fund X ভারতীয় মূলধনের বিকাশ, আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ ও আর্থিক আত্মবিশ্বাসের প্রতীক হয়ে উঠেছে। এই পদক্ষেপ দেশীয় প্রাইভেট ইক্যুইটি খাতকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে এবং ভারতকে বৈশ্বিক বিনিয়োগ মানচিত্রে আরও সুদৃঢ় অবস্থানে স্থাপন করবে।
ভারতের অন্যতম শীর্ষ প্রাইভেট ইক্যুইটি (PE) সংস্থা ChrysCapital এক নজিরবিহীন সাফল্য অর্জন করেছে। সংস্থাটি ঘোষণা করেছে, তারা তাদের দশম বিনিয়োগ ফান্ড (Fund X) এর জন্য $২.২ বিলিয়ন (প্রায় ₹১৯,৫০০ কোটি) সংগ্রহ সম্পন্ন করেছে। এটি ভারতভিত্তিক কোনো প্রাইভেট ইক্যুইটি ফার্মের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ফান্ড ক্লোজিং।
এই বিশাল অর্থসংগ্রহ শুধু ChrysCapital-এর সক্ষমতা নয়, বরং ভারতের ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগ ইকোসিস্টেমে গ্লোবাল বিনিয়োগকারীদের আস্থার প্রতিফলনও।
ChrysCapital-এর এই Fund X আগের ফান্ড Fund IX ($১.৩৫ বিলিয়ন)-এর তুলনায় ৬০ শতাংশ বেশি মূলধন সংগ্রহ করেছে। সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৌরভ চট্টোপাধ্যায় Fortune India-কে জানিয়েছেন —
“এই ফান্ড আমাদের বিনিয়োগ দর্শন ও ভারতীয় অর্থনীতির প্রতি আন্তর্জাতিক আস্থা দুই-ই প্রকাশ করছে।”
ফান্ডটিতে অংশ নিয়েছে একাধিক আন্তর্জাতিক পেনশন ফান্ড, ইনস্যুরেন্স কোম্পানি, এন্ডাওমেন্ট, পরিবারভিত্তিক অফিস এবং ফান্ড অফ ফান্ডস। বিশেষ বিষয় হলো — এই প্রথমবারের মতো ভারতীয় (domestic) বিনিয়োগকারীরাও ChrysCapital-এর ফান্ডে উল্লেখযোগ্য অংশ নিয়েছে।
এটি দেখাচ্ছে যে ভারতের নিজস্ব বিনিয়োগ ক্ষমতা এখন আন্তর্জাতিক স্তরে পা রেখেছে।
ChrysCapital ভারতের প্রাইভেট ইক্যুইটি দুনিয়ার এক অগ্রগণ্য নাম। ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে সংস্থাটি ১৫০-রও বেশি কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে Infosys, Hero Fincorp, Axis Bank, Mankind Pharma, Theobroma এবং Xpressbees-এর মতো নাম।
এই নতুন ফান্ডের অর্থ মূলত প্রযুক্তি, আর্থিক পরিষেবা, স্বাস্থ্যসেবা, কনজিউমার প্রোডাক্টস ও শিল্প পরিষেবা খাতে বিনিয়োগের জন্য ব্যবহৃত হবে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপ ভারতের স্টার্টআপ ও মাঝারি-আকারের কোম্পানিগুলিকে বৈশ্বিক স্কেলে প্রতিযোগিতামূলক করে তুলতে সাহায্য করবে।
একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত এখন এশিয়ার দ্রুততম বর্ধনশীল প্রাইভেট ইক্যুইটি বাজারগুলির মধ্যে অন্যতম। ২০২4 সালে দেশে প্রাইভেট ইক্যুইটি ও ভেঞ্চার ক্যাপিটাল বিনিয়োগের মোট পরিমাণ ছাড়িয়েছে $৫০ বিলিয়ন।
বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক অস্থিরতা, মুদ্রাস্ফীতি এবং সুদের হার বৃদ্ধি সত্ত্বেও ChrysCapital-এর এই সাফল্য ভারতের অর্থনীতির প্রতি বিশ্ববাজারের দৃঢ় আস্থা প্রদর্শন করে।
সৌরভ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন —
“ভারতের অর্থনীতি বর্তমানে এক স্থিতিশীল বৃদ্ধি পথে রয়েছে। সরকারী নীতি, ডিজিটাল রূপান্তর এবং জনবিনিয়োগের সম্প্রসারণ এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিনিয়োগ বাজারে পরিণত করেছে।”
একই সঙ্গে ChrysCapital জানায়, আগামী তিন থেকে চার বছরের মধ্যে তারা প্রতি বিনিয়োগে $৭৫ থেকে $২০০ মিলিয়ন পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারে।
এই ফান্ডের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, প্রথমবারের মতো ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের (LPs) অংশগ্রহণ। এতদিন পর্যন্ত বেশিরভাগ প্রাইভেট ইক্যুইটি ফান্ড আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের উপর নির্ভর করত। কিন্তু এখন ভারতের আর্থিক সংস্থা, পরিবারিক অফিস ও উচ্চ সম্পদশালী বিনিয়োগকারীরাও এই খাতে প্রবেশ করছে।
এটি ভারতের আর্থিক স্বাধীনতা ও বিনিয়োগের পরিপক্বতার প্রতীক।
ChrysCapital জানিয়েছে, Fund X-এর মূল লক্ষ্য হবে “value creation through operational excellence” — অর্থাৎ শুধুমাত্র অর্থ বিনিয়োগ নয়, বরং কোম্পানিগুলিকে টেকসই বৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
তারা ইতিমধ্যেই ভারতের কিছু শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিতে নতুন বিনিয়োগ পরিকল্পনা নিয়েছে, বিশেষ করে প্রযুক্তি ও স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্রে।
চট্টোপাধ্যায় বলেন,
“আমরা দীর্ঘমেয়াদে এমন ব্যবসাগুলিতে বিনিয়োগ করতে চাই যা ভারতের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং সমাজে বাস্তব প্রভাব ফেলবে।”
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ChrysCapital-এর এই রেকর্ড ফান্ড ক্লোজিং ভারতের Private Equity Ecosystem-এর জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
বিশেষজ্ঞ অভিষেক মিত্র বলেন,
“এই সাফল্য দেখায় যে ভারত এখন বিনিয়োগকারীদের কাছে শুধু বাজার নয়, বরং এক দীর্ঘমেয়াদি সুযোগের ক্ষেত্র।”
তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, “এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে এই বিশাল মূলধনকে যথাযথভাবে প্রয়োগ করা ও রিটার্ন নিশ্চিত করা।”
