Lenspedia Bangla Logo
  • কলকাতা
  • 30℃ Purba Bardhaman

হরিয়ানার কিশোর অ্যাথলেটের প্রাণহানি, ক্রীড়াঙ্গনে শোকের ছায়া

হরিয়ানার ক্রীড়াঙ্গনে নেমে এসেছে গভীর শোক ও হতবাক নীরবতা। অল্প বয়সেই অসাধারণ প্রতিভার পরিচয় দেওয়া এক কিশোর অ্যাথলেটের আকস্মিক প্রাণহানিতে হতবিহ্বল তার পরিবার, কোচ, সতীর্থ এবং পুরো ক্রীড়া সম্প্রদায়। মাত্র ১৬ বছর বয়সেই তিনি বাস্কেটবলে শক্ত ভিত তৈরি করেছিলেন, নিজের পরিশ্রম, শৃঙ্খলা এবং নিষ্ঠার মাধ্যমে স্থানীয় ও রাজ্যস্তরের প্রতিযোগিতায় নজর কেড়েছিলেন। প্রতিদিন ভোরে উঠে অনুশীলন করা থেকে শুরু করে পড়াশোনা ও খেলাধুলার ভারসাম্য সবকিছুই ছিল তার জীবনের পরিপাটি অংশ। ভবিষ্যতে জাতীয় পর্যায়ে খেলার স্বপ্ন দেখতেন তিনি, এবং কোচিং স্টাফের বিশ্বাস ছিল সঠিক দিকনির্দেশনা ও প্রচেষ্টায় সেই স্বপ্ন বাস্তব হওয়া সময়ের অপেক্ষা মাত্র। কিন্তু সেই সম্ভাবনা, সেই স্বপ্ন সবকিছু হঠাৎই থেমে গেল এক মর্মান্তিক ঘটনার মধ্য দিয়ে। ঘটনাটি ঘটেছে অনুশীলনের পর বা কোনও প্রতিযোগিতা চলাকালে সূত্র অনুযায়ী, শরীরচাপ, ক্ষণিকের শারীরিক জটিলতা বা কোনও অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনা তার এই অকালের পরিণতির কারণ হতে পারে তবে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে, এবং কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ ঘটনার নেপথ্য কারণ অনুসন্ধানে কাজ করছে। পরিবার শোকে ভেঙে পড়েছে, আর তার সহখেলোয়াড়েরা এখনও বিশ্বাস করতে পারছে না যে প্রতিদিন হাসিমুখে কোর্টে আসা সেই সাথী আর কখনো ফেরা হবে না। স্থানীয় ক্রীড়া সংগঠন, বিদ্যালয় এবং বাস্কেটবল অ্যাসোসিয়েশন শোকবার্তা জানিয়েছে, পাশাপাশি তরুণ খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্যসুরক্ষা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার দিকে আরও মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্রীড়াবিদদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, যথাযথ পর্যবেক্ষণ এবং অনুশীলনের সময় নিরাপত্তা বিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করলে অনেক ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। এই ঘটনার পর এলাকার ক্রীড়া পরিকাঠামো ও চিকিৎসা সহায়তা ব্যবস্থার ঘাটতি নিয়েও আলোচনার ঝড় উঠেছে। এই হৃদয়বিদারক ঘটনা মনে করিয়ে দেয় স্বপ্ন যত বড়ই হোক তরুণ অ্যাথলেটদের শারীরিক নিরাপত্তা ও সুস্থতা সর্বাগ্রে গুরুত্ব পাওয়া উচিত। হরিয়ানার এই কিশোর অ্যাথলেটের প্রাণহানি শুধু একটি পরিবারের নয়  পুরো ক্রীড়াজগতের অপূরণীয় ক্ষতি। স্বপ্নের পথে হেঁটে চলা এক প্রতিভাবান জীবনের এমন অকাল পরিসমাপ্তি সবাইকে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছে, রেখে গেছে শূন্যতা, শোক এবং অসংখ্য অম্লান স্মৃতি।

হরিয়ানার বিস্তীর্ণ সবুজ মাঠ আর ধুলো ঝরা খেলার কোর্টে প্রতিদিন যে প্রাণচাঞ্চল্য দেখা যেত, তার কেন্দ্রে ছিল এক কিশোর। মাত্র ষোলো বছরের এক উদ্যমী বাস্কেটবল খেলোয়াড়, যার চোখে ছিল ভবিষ্যতের ঝলমলে স্বপ্ন, যার ভেতরে ছিল নিজেকে প্রমাণ করার তীব্র আগ্রহ আর অপরিসীম সম্ভাবনা। তাকে ঘিরে বহু মানুষের আশা, উচ্ছ্বাস আর প্রত্যাশা জন্মেছিল। কোচরা মনে করতেন ছেলেটি ভবিষ্যতে বড় কিছু করবে। পরিবার ভাবত সে হবে তাদের গর্ব। আর সে নিজে প্রতিটি ড্রিবল, প্রতিটি পাস, প্রতিটি শটের মধ্য দিয়ে তার সামনে রেখে দেওয়া লক্ষ্যকে একটু একটু করে ছুঁতে চাইত। কিন্তু জীবন কখনো কখনো এমন নির্মম মোড় নেয় যে কোনও পূর্বাভাস, কোনও প্রস্তুতি বা কোনও ইচ্ছাশক্তিই তাকে আটকাতে পারে না। একদিন সকালবেলার এক প্রশিক্ষণ সেশনেই তার দৌড় থেমে গেল, সেই খেলার মাঠে যেখানে সে প্রতিদিন স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে উঠত, যেখানে ঘাম আর পরিশ্রম মিশে তৈরি হয়েছিল তার সাফল্যের ভিত্তি।

তার এই আকস্মিক মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়তেই হরিয়ানার ক্রীড়াঙ্গনে নেমে আসে গভীর শোক আর বিষণ্ণতা। কোর্টে যেভাবে তার পায়ের আওয়াজ প্রতিধ্বনিত হতো, সেই শব্দ হঠাৎই থেমে যায়। সতীর্থরা যে ছেলেটির সঙ্গে গতকাল পর্যন্ত প্রাণ খুলে হাসাহাসি করেছে, আজ তারা নিশ্চুপ হয়ে যায় স্মৃতির বোঝা বয়ে। কোচ তাকিয়ে থাকেন শূন্য কোর্টের দিকে, যেন দেখছেন তার শিষ্যের হাসিমুখ, লাফানোর ভঙ্গি, গেমের প্রতি তার অসাধারণ মনোযোগ। পরিবারের মানুষজনও বুঝতে পারছিল না কীভাবে এত কম সময়ে তাদের দুনিয়া তছনছ হয়ে যেতে পারে। যে ছেলেটি কয়েক ঘণ্টা আগেও বাড়ি থেকে বেরিয়েছে খেলতে, স্বপ্ন আঁকড়ে ধরার লড়াই চালাতে, সে আর ফিরবে না এই বাস্তবতা মেনে নেওয়া তাদের কাছে ছিল পাহাড়সম কঠিন।

ছেলেটির জীবনের প্রতিটি দিন এক ধরনের শৃঙ্খলা দিয়ে শুরু হতো। ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই সে উঠে পড়ত। দ্রুত তৈরি হয়ে সাইকেলে করে চলে যেত মাঠে। শীতের সকালে যখন ঠাণ্ডা বাতাসে মাঠ কুয়াশায় ঢেকে থাকত, তখনও তার অনুশীলন থামত না। শরীর ঠাণ্ডায় জমে গেলেও, সে জানত এই নিয়মিত অনুশীলনই তাকে এগিয়ে দেবে, এই সযত্নে গড়া কৌশলই তাকে একদিন বড় খেলোয়াড় হওয়ার পথে নিয়ে যাবে। বাসায় ফিরে সে পড়াশোনারও যথেষ্ট গুরুত্ব দিত। পরিবার তাকে শুধু খেলোয়াড় হিসেবে নয়, একজন ভারসাম্যপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চাইত ছেলেটিও তাদের আশা পূরণ করতে চাইত মনের আনন্দে। স্কুলের শিক্ষকরা বলতেন যে পড়াশোনায় সে মাঝারি হলেও তার শৃঙ্খলা, সময় মেনে কাজ করার অভ্যাস এবং নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা তাকে সবার থেকে আলাদা করে।

বাস্কেটবল তার কাছে ছিল শুধু খেলা নয় এটা ছিল তার ভাষা, তার প্রকাশভঙ্গি, তার জীবনের আনন্দ। কখনো সে বল পেলে চারদিকে তাকিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিত, কখনো আবার সঠিক মুহূর্তে সঠিক পাস দিয়ে পুরো দলের খেলা বদলে দিত। তার স্পিড এবং লাফানোর ক্ষমতা ছিল অসাধারণ। কোচ তাকে বলতেন একটি  নির্মল প্রতিভা  কিন্তু সেই প্রতিভাকে আরও ধারালো করার জন্য ছেলেটির নিজের ইচ্ছা ও অধ্যবসায়ই ছিল বিশেষ। প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে সে কখনো পিছপা হতো না। জয় তার কাছে ছিল আনন্দের উৎস, কিন্তু পরাজয়ও তাকে ভেঙে দিত না। বরং পরেরবার আরও ভালো করার সাহস দিত।

কিন্তু সেই প্রতিভাবান, আশাবাদী কিশোরের জীবন থেমে যায় হঠাৎই। ঘটনার দিনটিও ছিল অন্য দিনের মতোই। সকালবেলা সে হাসিমুখে মাঠে পৌঁছেছিল। তার হাতে ছিল সেই বাস্কেটবল, যা তার জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। প্রথমে হালকা ওয়ার্ম আপ, তারপর ড্রিবলিং, তারপর দ্রুতগতির স্প্রিন্ট সবকিছু সে প্রায় নিখুঁতভাবেই করে যাচ্ছিল। কোচ তখন দলকে ভাগ করে অনুশীলনী ম্যাচ শুরু করান। প্রত্যেকের চোখ ছিল খেলায় কেউ ভাবতেও পারেনি শীঘ্রই ঘটে যাবে এমন একটি ঘটনা যা তাদের জীবনেও দাগ কেটে যাবে।

খেলার মধ্যেই হঠাৎ ছেলেটি থমকে দাঁড়ায়। মনে হয়েছিল শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। সেকেন্ডের মধ্যে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। প্রথমে সবাই ভেবেছিল হয়তো মাথা ঘুরেছে বা অতিরিক্ত পরিশ্রমে সাময়িক অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। কিন্তু কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে তারা বুঝতে পারে পরিস্থিতি গুরুতর। কোচ দ্রুত তাকে তুলে নেন, পানি ছিটান, প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করেন। সতীর্থরা আতঙ্কে দৌড়াদৌড়ি করতে থাকে। কেউ চারপাশে চিৎকার করে সাহায্য চাইতে থাকে। মাঠের পরিবেশ মুহূর্তেই পরিবর্তিত হয়ে যায় প্রাণবন্ত খেলা থেকে আতঙ্কে ভরা এক দৃশ্যে। তৎক্ষণাৎ তাকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ডাক্তাররা তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও তাকে ফিরিয়ে আনতে পারেননি। তারা জানান ছেলেটিকে মৃত অবস্থাতেই আনা হয়েছে।

এই সংবাদটি বজ্রাঘাতের মতো আঘাত করে সবাইকে। পরিবার ভেঙে পড়ে যেন আকাশ মাথায় ভেঙে পড়েছে। তার মা যেদিন সকালে তাকে খাবার খাইয়ে বিদায় দিয়েছেন, তিনি কল্পনাও করতে পারেননি এত দ্রুত ছেলের জীবন এমন অকাল ইতি পাবে। বাবা চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি। বন্ধুরা, প্রতিবেশীরা, সতীর্থরা কেউই বিশ্বাস করতে পারছিল না এমন একটি সজীব, উদ্যমী, প্রাণোচ্ছল ছেলে আর নেই তাদের মাঝে।

news image
আরও খবর

ঘটনাটি তদন্তে নেমেছে স্থানীয় প্রশাসন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে হয়তো আচমকা হৃদ্‌রোগ, শারীরিক জটিলতা বা অতিরিক্ত পরিশ্রম তার মৃত্যুর কারণ। কিন্তু সঠিক কারণ জানতে মেডিক্যাল পরীক্ষার রিপোর্টের অপেক্ষা করতে হচ্ছে। অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন যে খেলোয়াড়দের নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষা, বিশেষ করে তরুণ অ্যাথলেটদের ক্ষেত্রে, অত্যন্ত জরুরি। কারণ তারা শারীরিকভাবে দ্রুত বিকশিত হচ্ছে, এবং এই সময়ে তাদের শরীরের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়লে বিপদের সম্ভাবনা থাকতেই পারে। বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠনও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তরুণ খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দিক পুনর্মূল্যায়নের আহ্বান জানিয়েছে। তারা বলছে মাঠে জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জামের ব্যবস্থা, প্রশিক্ষকদের প্রাথমিক চিকিৎসার দক্ষতা এবং খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ আরও কঠোর হওয়া উচিত।

ছেলেটির মৃত্যু শুধু পরিবারের নয়, পুরো এলাকায় শোকের ছায়া ফেলেছে। তার ছবি সাঁটা হয়েছে ক্লাবের দেয়ালে, ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে তার নামের নিচে রাখা ফ্রেম। বন্ধুরা এসে বসে থাকে কোর্টের সিঁড়িতে, যেখানে তারা একসঙ্গে বসে গল্প করত। সবার মনে পড়ে যায় তার হাসির শব্দ, তার দুষ্টুমি, তার কান্না, তার স্বপ্নের কথা। তার জায়গাটি আজও খালি পড়ে আছে, আর সেই খালি জায়গা যেন আরও বড় করে তুলে ধরে তার অনুপস্থিতি।

এই ঘটনা তরুণ খেলোয়াড়দের পরিবারের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তারা ভাবছে তাদের সন্তানেরাও কি একই ঝুঁকির মুখে? কেউ কেউ খেলোয়াড়দের ওপর অতিরিক্ত চাপ কমানোর পরামর্শ দিচ্ছেন। কেউ আবার বলছেন নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা উচিত। অনেকের মত, খেলাধুলা জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলেও স্বাস্থ্যের যত্নই হওয়া উচিত প্রথম অগ্রাধিকার।

এই কিশোরের মৃত্যু যে গভীর ক্ষতি ডেকে এনেছে, তা শব্দে প্রকাশ করা কঠিন। এমন একজন প্রতিভা, যে অল্প বয়সেই দেখিয়েছিল কত বড় স্বপ্ন দেখা যায়, যে তার পরিশ্রম দিয়ে সবাইকে মুগ্ধ করেছিল তার অনুপস্থিতি এক বিশাল শূন্যতা তৈরি করেছে। কিন্তু তার স্মৃতি, তার খেলার প্রতি ভালোবাসা, তার পরিশ্রম, তার লড়াই এসবই আজও অনুপ্রেরণা হয়ে আছে। যারা তাকে চিনত, তারা জানে সে কখনো হাল ছাড়ত না, মাঠে নিজের সবটুকু দিয়ে লড়াই করত। তাই তার স্মরণে অনেকেই প্রতিজ্ঞা করেছে তারা নিজেদের জীবনেও সেই একই লড়াই চালিয়ে যাবে, নিজেদের স্বপ্নকে তাড়া করবে সেই একই দৃঢ়তা নিয়ে।

গোটা হরিয়ানা আজও শোকাহত। তার সহপাঠীরা এখনও স্কুলের বেঞ্চে বসে কল্পনা করে সে হয়তো পাশের সিটে বসে আছে। কোচের মনে এখনও ভাসে তার হাসিমুখ। পরিবার রাতে ঘুমোতে গেলে শুনতে পায় তার বল নিয়ে দৌড়ানোর শব্দের মতো প্রতিধ্বনি। কিন্তু তারা জানে সময় বাঁধা যায় না, এবং কিছু শোক কখনো সত্যিকারের সান্ত্বনা খুঁজে পায় না।

এভাবেই শেষ হয়ে গেল এক ছোট্ট জীবনের বড় স্বপ্নের পথচলা। কিন্তু তার গল্প থেমে যায়নি। বরং তার চলে যাওয়া আরও একবার মনে করিয়ে দিল  তরুণ প্রতিভাদের বেড়ে ওঠার পথে যত্ন, স্বাস্থ্যসুরক্ষা এবং নিরাপত্তা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এক কিশোরের অকাল মৃত্যু তাই শুধু ট্র্যাজেডিই নয়, এক গভীর শিক্ষা, যা সমাজকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করবে। তার জীবন হয়তো সংক্ষিপ্ত ছিল, কিন্তু তার অনুপস্থিতি যে শূন্যতা সৃষ্টি করেছে তা দীর্ঘদিন হৃদয়ে থেকে যাবে।

Preview image