সিদ্ধার্থ মলহোত্র ও জয়া আহসানের প্রিয় এই সব্জি শুধুমাত্র স্বাস্থ্যের জন্য নয়, ত্বক ও চুলের যত্নেও কার্যকর। পুষ্টিবিদ ও চিকিৎসকরাও এটির প্রতি উৎসাহী।
রাঙা আলু শুধু স্বাস্থ্যের জন্য নয়, ত্বকের সৌন্দর্য ও পুষ্টির জন্যও অত্যন্ত কার্যকর। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য, টানটান ভাব এবং আর্দ্রতা বজায় রাখতে এর ভূমিকা অনন্য। মুখে বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহার করলেও ত্বকের প্রকৃত দীপ্তি আসে সুষম আহারের মাধ্যমে। রাঙা আলুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি এবং ই থাকায় এটি ত্বকের জন্য অপরিহার্য।
রাঙা আলু ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে, ফলে ত্বক টানটান থাকে এবং বলিরেখা দেরিতে দেখা দেয়। এতে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকারক প্রভাব থেকেও ত্বক রক্ষা পায়। ভিটামিন সি ত্বকের দাগ-ছোপ কমিয়ে ত্বকের রং সমান রাখে, ফলে মুখ মসৃণ দেখায়। ভিটামিন ই ত্বকের ভিতরের জলধারণ ক্ষমতা বাড়িয়ে শুষ্কতা দূর করে, ত্বক থাকে নরম ও হাইড্রেটেড।
রাঙা আলুর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট গুণ প্রদাহ কমাতে সহায়ক, লালচে ভাব ও ফুসকুড়ি প্রশমিত করে, ফলে ত্বক হয় শান্ত ও পরিষ্কার। ভিটামিন এ ত্বকের কোষ পুনর্গঠন করে মৃত কোষ সরিয়ে দেয়, যা বার্ধক্যের ছাপ কমাতে সাহায্য করে এবং ত্বককে নতুন, তরতাজা রাখে। নিয়মিত রাঙা আলু খেলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, ফলে মুখে প্রাকৃতিক গোলাপি আভা এবং দীপ্তি আসে।
রাঙা আলু খাদ্যতালিকায় নানাভাবে অন্তর্ভুক্ত করা যায়—রোস্ট করে, সেদ্ধ করে বা স্যালাডে মিশিয়ে। যে কোনোভাবে সেবন করলে এর পুষ্টি ও ত্বক সম্পর্কিত উপকারিতা বজায় থাকে। এটি শুধু ত্বককে স্বাস্থ্যবান রাখে না, বরং চুল ও পুরো দেহের জন্যও সহায়ক। তাই স্বাভাবিক সৌন্দর্য ধরে রাখতে এবং স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপনের অংশ হিসেবে রাঙা আলু নিয়মিত আহারে রাখা উচিত।
রাঙা আলু প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখলে ত্বক, চুল এবং শরীর সবই উপকৃত হয়, ফলে স্বাভাবিকভাবে উজ্জ্বল ও টানটান ত্বক ফিরে আসে। এটি প্রাকৃতিক, সহজলভ্য এবং কার্যকর একটি সুস্থ জীবনধারার উপাদান।