Lenspedia Bangla Logo
  • কলকাতা
  • 30℃ Purba Bardhaman

ভূমিকম্পে ১৪৪ জন নিহত, ধসে পড়ে ভবন—মধ্য মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে আতঙ্ক

মধ্য মিয়ানমার এবং থাইল্যান্ডের কিছু অংশে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ভবন ধসে ১৪৪ জন নিহত হয়েছে। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে বহু মানুষ আহত এবং হাজার হাজার বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। উদ্ধার কাজ চলছে, তবে পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটাপন্ন।

বিপর্যয়

মধ্য মিয়ানমার এবং থাইল্যান্ডের কিছু অংশে গতকাল এক ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে, যা ব্যাপক ধ্বংস সাধন করেছে। ভূমিকম্পের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, একাধিক শহর এবং গ্রামগুলি কার্যত ধ্বংস হয়ে গেছে। বিশেষ করে মিয়ানমারের কিছু প্রদেশ এবং থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শক্তিশালী ভূমিকম্পের কারণে বহু বাড়ি, ভবন, হাসপাতাল এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ভেঙে পড়েছে। ভূমিকম্পের ফলে অন্তত ১৪৪ জন নিহত এবং শতাধিক মানুষ গুরুতর আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সংবাদ অনুযায়ী, ভূমি থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার গভীরে কেন্দ্রিত এই ভূমিকম্পটি, প্রাথমিকভাবে ৭.৮ মাত্রার ছিল এবং তা একাধিক শহরকে একদম চূর্ণবিচূর্ণ করে দেয়। আহতদের মধ্যে অনেকেই ভেঙে পড়া ভবনের নিচে চাপা পড়ে আছেন, এবং উদ্ধারকারীরা তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। উদ্ধার কাজ অত্যন্ত জটিল এবং ধীর গতিতে চলছে, কারণ ভূমিকম্পের পর বিভিন্ন অঞ্চলে মাটির নিচে বড় বড় ফাটল সৃষ্টি হয়েছে এবং রাস্তা ও সেতুগুলি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের সরকারগুলির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলিও উদ্ধার কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান করছে। ত্রাণ বিতরণ, চিকিৎসা সহায়তা, আশ্রয়স্থল নির্মাণ এবং প্রাথমিক জরুরি পরিষেবাগুলি শুরু হয়েছে, তবে পরিস্থিতি এখনও অনেকটা অস্থিতিশীল। ভূমিকম্পের কারণে হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন এবং তাদের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে, স্থানীয় হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসা চলছে, এবং উদ্ধারকর্মীরা জীবিতদের খোঁজে বিভিন্ন ভবনের ধ্বংসস্তূপ সরাচ্ছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে জরুরি সাহায্য পাঠাতে শুরু করেছে। এই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগে, দুর্যোগ মোকাবিলা পরিকল্পনা এবং দ্রুত ত্রাণ কাজ পরিচালনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখন পর্যন্ত প্রায় ১০০০ এরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে এবং ভবন ধ্বসে পড়ার কারণে এখনও বহু মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়া, ভূমিকম্পের কারণে অঞ্চলটিতে পানির সরবরাহ, বিদ্যুৎ, এবং অন্যান্য মৌলিক সেবা ব্যবস্থায় মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটেছে, যা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে আরও কঠিন করে তুলেছে। মিয়ানমার এবং থাইল্যান্ডের মানুষ বর্তমানে একটি বড় বিপর্যয়ের সম্মুখীন, এবং তাদের জীবন পুনর্গঠন করতে আরও সময় এবং প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

news image
আরও খবর
Preview image