দু’বছর আগে এক দিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছিল অহমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে। খেলাপ্রেমীরা সেই ম্যাচের উত্তেজনা এখনও মনে রাখেন। সব পরিকল্পনা ঠিক থাকলে আগামী বছর আবারও সেই আইকনিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চূড়ান্ত ফাইনাল। শুধুমাত্র ফাইনালই নয়, এই বিশ্বকাপের জন্য দেশের বিভিন্ন শহরের কয়েকটি প্রধান স্টেডিয়ামে ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বোর্ড ইতিমধ্যেই মাঠগুলোর তালিকা চূড়ান্ত করেছে, যা ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য উত্তেজনার নতুন ধারা সৃষ্টি করবে।
দু’বছর আগে এক দিনের বিশ্বকাপের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছিল অহমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে। সেই উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচের স্মৃতি এখনও ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে জাগ্রত। সব পরিকল্পনা ঠিক থাকলে আগামী বছর আবারও সেই আইকনিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চূড়ান্ত ফাইনাল। কয়েক দিনের মধ্যে বিশ্বকাপের সম্পূর্ণ সূচি প্রকাশিত হবে, এবং তখনই পুরো বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে।
ভারতীয় বোর্ড ইতিমধ্যেই কোন কোন মাঠে ম্যাচ আয়োজন হবে তা চূড়ান্ত করেছে। ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি বোর্ডকর্তাদের একটি বৈঠকে বিশ্বকাপের আয়োজন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০২৩ সালের বিশ্বকাপে যেখানে যেখানে ম্যাচ হয়েছিল, তার তুলনায় এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কম সংখ্যক মাঠে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি নির্বাচিত মাঠে অন্তত ছ’টি করে ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।
বর্তমানে অহমদাবাদ, দিল্লি, কলকাতা, চেন্নাই এবং মুম্বইকে মূল ভেন্যু হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ভারতের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কাও সহ-আয়োজক হিসেবে থাকছে, তবে সেখানে কোন শহরে ম্যাচ হবে তা এখনও নির্ধারণ হয়নি। বেঙ্গালুরু ও লখনউতে ম্যাচ হবে কি না, তাও নিশ্চিত নয়। মহিলাদের বিশ্বকাপ আয়োজন করা কিছু মাঠে এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে না—যার কারণে গুয়াহাটি, বিশাখাপত্তনম, ইন্দওর এবং নবী মুম্বই কোনো ম্যাচের জন্য নির্বাচিত হয়নি।
বিশেষ নিয়ম অনুযায়ী, যদি শ্রীলঙ্কা সেমিফাইনালে ওঠে, তাদের ম্যাচটি কলম্বোয় অনুষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে, পাকিস্তান যদি সেমিফাইনাল বা ফাইনালে ওঠে, তবে তাদের ম্যাচটি অন্য কোনো নিরপেক্ষ দেশে আয়োজন করা হবে। ভারত এবং পাকিস্তানের বোর্ড ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, আইসিসি প্রতিযোগিতায় দু’দেশের মধ্যে কোনো ম্যাচের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ মাঠ বেছে নেওয়া হবে। এখন দেখার বিষয়, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য শেষ পর্যন্ত কোন কোন মাঠ বেছে নেওয়া হবে এবং কীভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের উত্তেজনা আবারো দর্শকদের জন্য তৈরি হবে।
