সাগ্নিক জানালেন, প্রাক্তন স্ত্রীর প্রসঙ্গ শম্পার নামে প্রচার করায় তিনি চরম বিরক্ত। সত্যতা যাচাই না করে এমন ভুল তথ্য ছড়ানো অনুচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।অভিনেতা সাগ্নিকের দাবি, ব্যক্তিগত জীবনের কিছু বক্তব্য ভুলভাবে শম্পার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে তিনি ও তাঁর পরিবার মানসিকভাবে প্রভাবিত।সাগ্নিক বলেন, তাঁর আগের স্ত্রীর বিষয়ে করা মন্তব্যগুলি বিকৃত করে শম্পার নামে ছড়ানো হচ্ছে। তিনি জানান, চার সন্তান নিয়ে বর্তমানে সুখেই আছেন।প্রাক্তন স্ত্রী ও সন্তানদের প্রসঙ্গে মুখ খুলে সাগ্নিক বলেন, সত্য না জেনে গুজব ছড়ানো বন্ধ হোক। ভুল তথ্য তাঁর মেয়েকেও কষ্ট দিয়েছে।সাগ্নিক স্পষ্ট করেছেন, তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের ঘটনা শম্পার সঙ্গে গুলিয়ে ফেলায় বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। তিনি চান, সঠিক তথ্যই সামনে আসুক।
অভিনেতা সাগ্নিক তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সম্প্রতি ছড়ানো কিছু বিভ্রান্তিকর খবরে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাঁর দাবি, নিজের প্রাক্তন স্ত্রীর বিষয়ে যেসব মন্তব্য তিনি এক সাক্ষাৎকারে করেছিলেন, তা বিকৃতভাবে তুলে ধরা হচ্ছে এবং সেই প্রসঙ্গে বর্তমান স্ত্রী শম্পার নাম জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এই ভুল তথ্যচালনা তাঁকে যেমন বিরক্ত করেছে, তেমনই কষ্ট পেয়েছে তাঁর পরিবারও।
সাগ্নিক বলেন, “আমার আগের স্ত্রীর সম্পর্কে যে কথাগুলো বলেছিলাম, সেটা শম্পার নাম দিয়ে চালিয়ে দিচ্ছে সবাই। এটা অত্যন্ত বিরক্তিকর এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন। সত্যিটা না জেনে এমন কথা ছড়ানো উচিত নয়।”
তিনি জানান, তাঁর প্রথম পক্ষের সঙ্গে বিয়ের সম্পর্ক ১০ বছর পর ভেঙে যায়, যখন তিনি জানতে পারেন স্ত্রীর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার কথা। প্রাক্তন স্ত্রীর ইচ্ছাতেই তাঁরা পরস্পরের সম্মতিতে বিচ্ছেদে যান। তবে তাঁদের দুই সন্তান আজও সাগ্নিকের সঙ্গেই রয়েছে।
বর্তমানে সাগ্নিক ও তাঁর স্ত্রী শম্পা মিলিয়ে চার সন্তানকে নিয়ে সুখে সংসার করছেন। তাঁর ভাষায়, “আমার আগের পক্ষের দুই ছেলেমেয়ে আছে, শম্পার আগের পক্ষের একটি মেয়ে এবং আমার ভাগ্নে ছোট থেকেই আমার সঙ্গেই থাকে। হিসেব মতো আমাদের চার সন্তান। আমরা সবাই মিলে ভালই আছি।”
এই ভুল খবর দেখে তাঁর বড় মেয়ে পর্যন্ত বিরক্তি প্রকাশ করেছে বলে জানান অভিনেতা। “আমার বড় মেয়ে এই খবর দেখে বলেছে, ‘সত্যিটা জেনে তবে ভুল কথা প্রচার করুন।’” — জানান সাগ্নিক।
সবশেষে, সাগ্নিক অনুরোধ করেছেন, ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা বা গুজব না ছড়িয়ে সঠিক তথ্য প্রচারে যেন সংবাদমাধ্যম ও সাধারণ মানুষ সচেতন ভূমিকা নেয়।
