রাহুল গান্ধী বলছেন — মোদিজি ভোট পেতে মঞ্চে নাচ পর্যন্ত করতে রাজি। বিজেপি বলছে — এটা অপমান এবং রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতার সীমা পার হয়েছে। বিহার নির্বাচনের প্রাক্কালে এই বাক্য বিনিময় রাজনৈতিক আবহাকে এমন এক জায়গায় নিয়ে গেল যেখানে ব্যক্তিগত ও মঞ্চীয় অভিনয় একসাথে আলোচনায়। বিহার নির্বাচনের আগে রাজনীতির মাঠ গরম হয়ে উঠেছে রাহুল গান্ধীর এক মন্তব্যকে ঘিরে। বুধবার বিহারের মুৎসরপুরে এক নির্বাচনী জনসভায় রাহুল বলেন — “মোদিজি ভোট পেলে মঞ্চে নাচতেও পারবেন, কিন্তু দেশের জন্য কাজ করবেন না।” এই বক্তব্যে মুহূর্তে চাঞ্চল্য ছড়ায় রাজনৈতিক মহলে। দর্শক ও সামাজিক মাধ্যমে মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে রাহুলের বক্তব্যের ভিডিও। কেউ এটিকে “অসাধারণ রসবোধ”, কেউ আবার “চরম অসম্মান” বলছেন।
রাহুলের দাবি — মোদির নেতৃত্বে দেশজুড়ে বেড়েছে বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতি ও বৈষম্য। বিহারে বহু বছর ধরে নীতীশ কুমারের সরকার থাকলেও উন্নয়ন হয়নি বলেও তিনি অভিযোগ তোলেন।
তিনি বলেন,
“যুবকদের কাজ নেই, কৃষকদের দাম নেই, অথচ প্রধানমন্ত্রী ভোট চাইতে নাটক করতে পারেন, গাইতে পারেন, এমনকি নাচতেও পারেন!”
এই বক্তব্যেই উস্কে যায় বিতর্কের আগুন।
বিজেপি সরাসরি আক্রমণ করে জানায়, রাহুল গান্ধী তাঁর রাজনীতির ব্যর্থতা ঢাকতে প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করছেন।
দলের মুখপাত্র বলেন —
“রাহুলের এই মন্তব্য কেবল মোদিজিকে নয়, দেশের কোটি কোটি গরিব ও ভোটারকে অপমান করেছে। জনগণই এর জবাব দেবে।”
রাহুলের বক্তব্য ভাইরাল হতে সময় লাগেনি। X (Twitter), Instagram, YouTube-এ ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে।
#RahulGandhi এবং #ModiDanceForVotes — দুই হ্যাশট্যাগই ট্রেন্ড করতে শুরু করে ভারতের টুইটার টাইমলাইনে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, রাহুলের বক্তব্য কৌশলগতভাবে মিডিয়া-সার্কাস তৈরি করতে সক্ষম।
বিহারের মতো রাজ্যে যেখানে প্রতিটি ভোট গুরুত্বপূর্ণ, এমন নাটকীয় মন্তব্য নির্বাচনের আবহ আরও তীব্র করে তুলেছে।
বিরোধীরা রাহুলের পক্ষে বলছেন — “তিনি শুধু প্রতীকী ভাষায় বোঝাতে চেয়েছেন, বর্তমান সরকার শুধু অভিনয় করছে, কাজ নয়।”অন্যদিকে বিজেপি বলছে — “এটি কেবল হাস্যরস নয়, প্রধানমন্ত্রী পদে থাকা ব্যক্তির মর্যাদা নষ্ট করার চেষ্টা।”
? উপসংহার
রাহুল গান্ধীর এই বক্তব্যে একদিকে যেমন ভোট রাজনীতি উত্তপ্ত হচ্ছে, তেমনই মিডিয়ায় চলছে অবিরাম বিতর্ক। বিহারের মাটিতে মোদী বনাম রাহুলের লড়াই যেন আবারও জাতীয় পর্যায়ে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে।
