জ্যাভলিনের মতোই এক প্রশিক্ষিত জওয়ান একাই এই ক্ষেপণাস্ত্রটি চালাতে পারে; তবে ট্রাইপড ও কমান্ড লঞ্চ ইউনিটসহ সম্পূর্ণ ব্যবস্থা বহন ও পরিচালনার জন্য দুই জনের প্রয়োজন।
ডিআরডিওর তৈরি ম্যান-পোর্টেবল অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল এমপিএটিজিএম পরীক্ষামূলক ধাপ থেকে সফলভাবে উত্তўীর্ণ হয়ে সেনা ব্যবহারের দিকে অগ্রসর। প্রাথমিক স্তর থেকে চূড়ান্ত পর্যায়ের সব পরীক্ষামূলক আর গুণগত মূল্যায়ন শেষ হয়েছে এবং সেনা এই ক্ষেপণাস্ত্রের কার্যকারিতায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা যায়, আগামী বছরের মধ্যে ইউনিটগুলো হাতে তুলে দেওয়া শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এমপিএটিজিএমকে জ্যাভলিনের অনুরূপ ক্ষমতার কথা বিবেচনায় রেখে তৈরি করা হয়েছে—একজন প্রশিক্ষিত জওয়ান কাঁধে লঞ্চার নিয়ে লক্ষ্যভিত্তিক নিখুঁত নিস্তরণ করতে পারবেন। তবে পুরো কিট — ট্রাইপড এবং কমান্ড লাঞ্চ ইউনিট সিএলইউ — বহন ও নিয়ন্ত্রণ করতে সাধারণত দুইজন সেনা প্রয়োজন হয়। ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ৩০ কেজি ওজনের এবং সহজে বহনযোগ্য; এতে ইনফ্রারেড ভিশন রয়েছে, ফলে রাত ও অগোছালো পরিবেশেও ট্যাঙ্ক বা লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করা যায়। পাল্লা প্রায় ২০০ মিটার থেকে ৪ কিলোমিটার পর্যন্ত; পাশাপাশি ফায়ার-এন্ড-ফরগেট প্রযুক্তির কারণে লঞ্চ করার পর সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে লক্ষ্য নির্ধারণে সক্ষম এবং সিংহভাগ ক্ষেত্রে লঞ্চ করেই যে ব্যক্তি সেখানে ছিল, দ্রুত নিরাপদ জায়গায় সরে যেতে পারবেন—ট্যাঙ্ক নিশানাকারী জওয়ানের সুরক্ষাও বেড়ে যায়।
সরকারি সূত্র বলছে, ক্ষেপণাস্ত্রটির বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হলে আমেরিকার জ্যাভলিন যোগানের পরিপূরক বা বিকল্প হিসেবে এমপিএটিজিএম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ইতিমধ্যে জরুরি ক্রয় কর্মসূচির মাধ্যমে জ্যাভলিনের কিছু ইউনিট ও ক্ষেপণাস্ত্রও সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে—যাতে দেশের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
বর্তমান সৌরভূমির ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী ক্ষমতা কনকার ও মিলান সহ পুরোনো প্রজন্মের সিস্টেম থেকে সামনের সারিতে উত্তরণ ঘটাচ্ছে—বিশেষত ‘ফায়ার-এন্ড-ফরগেট’ ও উন্নত দৃষ্টি প্রযুক্তির কারণে। ফলে ভবিষ্যতে ক্ষেত্রের সৈন্যরা অধিক কার্যকরভাবে বিপজ্জনক লক্ষ্য মোকাবিলা করতে পারবে এবং তাদের প্রাণহানি ঝুঁকিও কমবে।