Lenspedia Bangla Logo
  • কলকাতা
  • 30℃ Purba Bardhaman

প্রায় ৩৬ ঘণ্টা ধীরে ধীরে বন্ধের পর বিমান পরিষেবা স্বাভাবিক দিল্লি বিমানবন্দরে

শনিবার সকালেও দিল্লি বিমানবন্দরে ১২৯টি ফ্লাইটের ওঠানামায় দেরি, যার মধ্যে ৫৩টি অবতরণে ও ৭৬টি উড়ান ছাড়তে বিলম্ব হয়েছে।

দিল্লি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় ৩৬ ঘণ্টার দীর্ঘ ভোগান্তির পর উড়ান পরিষেবা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়েছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ শনিবার সকাল ১১টা ৫৫ মিনিটে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যে প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে দেশজুড়ে বিমান পরিষেবায় বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছিল, তা আপাতত সমাধান করা হয়েছে। যদিও পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে, শনিবার সকালেও কিছু বিমানের ওঠানামায় দেরি হয়েছে। ফ্লাইটরাডার ২৪-এর তথ্য অনুযায়ী, শনিবার ১২৯টি ফ্লাইট দেরিতে চলেছে, যার মধ্যে ৫৩টি অবতরণে এবং ৭৬টি উড়ান ছাড়তে দেরি হয়েছে। তবে গত শুক্রবার পরিস্থিতি আরও মারাত্মক ছিল, যখন প্রায় ৮০০টি বিমান ওঠানামায় বিলম্বিত হয়।

বিমান পরিষেবায় বিঘ্নের মূল কারণ ছিল অটোমেটিক মেসেজ সুইচিং সিস্টেম (এএমএসএস)-এর প্রযুক্তিগত ত্রুটি। এএমএসএস মূলত এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) ব্যবস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত এবং দেশের বিভিন্ন প্রধান বিমানবন্দর যেমন দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু ও হায়দরাবাদে এ সমস্যার কারণে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে বিমান ওঠানামার কাজ পরিচালনা করতে হয়েছিল। এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এএআই) জানিয়েছে, স্বয়ংক্রিয় মেসেজিং ব্যবস্থা এখন কাজ করছে, তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে কিছুটা সময় লাগবে।

news image
আরও খবর

ফলে, শনিবারও কিছু ফ্লাইটের ওঠানামায় ১৯ থেকে ৫ মিনিটের দেরি দেখা গেছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতি এড়ানো যেত যদি এএআই সময়মতো এএমএসএস ব্যবস্থার আপডেট ও উন্নতি করত। এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদেরও পূর্বে সতর্কবার্তা ছিল যে দিল্লি ও মুম্বইয়ের মতো ব্যস্ত বিমানবন্দরগুলিতে ব্যবহৃত পদ্ধতি যে কোনও সময় বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে। গত দুই দিনের এই ভোগান্তি দেশের বিমান পরিষেবার উপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে এবং যাত্রীদের বড় ধরণের অসুবিধার মুখে পড়তে হয়েছে। তবে বর্তমানে ধীরে ধীরে সমস্ত পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়ার পথে রয়েছে, এবং বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ নিয়মিত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।

Preview image