Lenspedia Bangla Logo
  • কলকাতা
  • 30℃ Purba Bardhaman

বাতাসে জেগে ওঠা দৈত্য আগুনের গোলায় ছারখার হয়ে যায় পুরো শহর কোন সেই ভয়ঙ্কর অপারমাণবিক অস্ত্র

থার্মোবারিক অস্ত্র বা ভ্যাকুয়াম বোমা বাতাসে স্পর্শ পেলেই শক্তিশালী বিস্ফোরণে রূপ নেয় এই ভয়ঙ্কর জ্বালানি শত্রুর পুরো শহর মুহূর্তে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারে এবং যুদ্ধে এটি হয়ে উঠতে পারে সবচেয়ে বিধ্বংসী অপারমাণবিক শক্তি

থার্মোবারিক অস্ত্র বা ভ্যাকুয়াম বোমা পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী অ পারমাণবিক বিস্ফোরক হিসেবে পরিচিত কারণ এই বিশেষ ধরনের বিস্ফোরণ প্রযুক্তি এমনই এক ধ্বংসাত্মক শক্তি সৃষ্টি করে যা মুহূর্তের মধ্যে একটি বড় এলাকা ধ্বংস করে দিতে পারে এবং একই সঙ্গে চারপাশের বাতাসকে শুষে নিয়ে আগুনের বিশাল গোলায় রূপ নেয় এই বিধ্বংসী শক্তি কোন বিস্ফোরণ সাধারণভাবে এত ভয়ঙ্কর হয় না কিন্তু থার্মোবারিক বোমার কার্যপ্রণালি অনেকটাই আলাদা এবং এই কারণেই আন্তর্জাতিক মহল এটিকে গণবিধ্বংসী মারণাস্ত্র বলে বিবেচনা করে আসছে বহু দশক ধরে

এই বোমার ভিতরে এমন একটি জ্বালানি থাকে যা বাতাসের সংস্পর্শে এলেই প্রবল প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে ওঠে বিস্ফোরণের আগে এই জ্বালানি চারপাশের অক্সিজেন শুষে নিয়ে একটি মারাত্মক চাপতরঙ্গ তৈরি করে এবং ঠিক সেই মুহূর্তেই ঘটে ভয়াবহ দহন প্রক্রিয়া যার ফলে পুরো এলাকা আগুনের বিশাল গোলায় পরিণত হয় বিস্ফোরণের এই তাপমাত্রা প্রচলিত বিস্ফোরকের তুলনায় বহু গুণ বেশি শক্তিশালী এবং এর ফলে মানবদেহ মুহূর্তেই ছিন্নভিন্ন হয়ে যেতে পারে অথবা সম্পূর্ণভাবে বাষ্পে রূপান্তরিত হতে পারে

১৯৪৯ সালের জেনিভা চুক্তি অনুযায়ী যুদ্ধক্ষেত্রে এই অস্ত্র ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে কারণ থার্মোবারিক বোমা এমনই অমানবিক ধ্বংসের সৃষ্টি করে যা সাধারণ বোমার তুলনায় বহু গুণ বেশি বিধ্বংসী এবং ভয়াবহ বিস্ফোরণের শক্তি এতই প্রবল যে এটি শত্রু দেশের পুরো শহর পর্যন্ত নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারে আর এই কারণেই পরমাণু বোমার ঠিক পরেই এই বিস্ফোরককে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অ পারমাণবিক অস্ত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়

বিশেষজ্ঞদের মতে থার্মোবারিক বোমার সবচেয়ে ভয়ানক দিক হলো এর বিস্ফোরণ তরঙ্গ কারণ এই তরঙ্গ প্রচলিত বিস্ফোরণের তুলনায় বহুগুণ বেশি শক্তিশালী এবং দীর্ঘস্থায়ী হয় সাধারণ বোমার বিস্ফোরণে যে চাপতরঙ্গ সৃষ্টি হয় তা মাত্র কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী থাকে কিন্তু থার্মোবারিক বিস্ফোরণে সেই চাপতরঙ্গ বহুক্ষণ ধরে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং বিস্তৃত এলাকাজুড়ে মারাত্মক ধ্বংস ডেকে আনে এই তরঙ্গের মধ্যে এমন এক শক্তি থাকে যা বিস্ফোরণের পর চারপাশের সবকিছু শোষণ করে নিয়ে বাতাসকে হঠাৎ করে সম্পূর্ণভাবে শূন্য করে দেয় ফলে চারপাশের কাঠামো ভেঙে পড়ে এবং আশপাশের বদ্ধ জায়গা সুড়ঙ্গ কিংবা শক্ত ঘাঁটি কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়

থার্মোবারিক বোমার ভয়ংকর শক্তি শুধু এর আগুন বা তাপেই নয় বরং এই বোমা বাতাসের অক্সিজেন শুষে নিয়ে এক ধরনের বিশাল শূন্যস্থান তৈরি করে এবং এই শূন্যস্থান পুনরায় ভরাট হওয়ার সময় যে তীব্র গতিতে বাতাস ফিরে আসে তা যে কোনও জীবন্ত প্রাণীর শরীর ভেতর থেকে ধ্বংস করে দিতে পারে মানুষ কিংবা পশু পাখি কোনও জীবই এই চাপতরঙ্গের ভয়াবহ প্রভাব থেকে রক্ষা পায় না কারণ হঠাৎ অক্সিজেনহীন পরিবেশে ফুসফুস কাজ করা বন্ধ করে দেয় এবং শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রচণ্ড চাপে মুহূর্তেই ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়

একটি থার্মোবারিক বোমা বিস্ফোরিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রথম ধাপে জ্বালানিযুক্ত ঘন কণা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং বাতাসে মিশে গিয়ে একটি বিশেষ দাহ্য মিশ্রণ তৈরি করে সেই মিশ্রণ যখন দ্বিতীয় ধাপে আগুনের সংস্পর্শে আসে তখন হয় তীব্র দহন এবং সৃষ্টি হয় এক বিরাট আগুনের গোলা এই আগুন শুধু সামনে থাকা বস্তু পোড়ায় না বরং বাতাসের প্রতিটি কণায় আগুন ছড়িয়ে দেয় ফলে বদ্ধ জায়গা সুড়ঙ্গ কিংবা ঘেরা ভবনের ভেতরে থাকা মানুষদের ওপর প্রভাব আরও ভয়ংকর হয়ে পড়ে কারণ তারা পালানোর সুযোগই পায় না তীব্র তাপ এবং তীব্র চাপ তাদের মুহূর্তেই অসহায় করে ফেলে

থার্মোবারিক অস্ত্রের বিস্ফোরণ তরঙ্গ এত শক্তিশালী যে সাধারণ বিস্ফোরক দিয়ে তৈরি বাঙ্কার বা লৌহ কাঠামোও এই চাপের সামনে টিকে থাকতে পারে না উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যখন এই অস্ত্র সুড়ঙ্গ বা ভূগর্ভস্থ ঘাঁটিতে ব্যবহৃত হয় তখন পুরো জায়গাটি আগুনে জ্বলে ওঠে এবং ভেতরের বাতাস সঙ্গে সঙ্গে শূন্য হয়ে যায় ফলে ভিতরে লুকিয়ে থাকা কেউ শ্বাস নিতে না পেরে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই মৃত্যুবরণ করে বেঁচে থাকার কোনও উপায়ই থাকে না কারণ তীব্র তাপ ফুসফুসকে পুড়িয়ে দেয় এবং চাপতরঙ্গ শরীরের ভিতরের রক্তনালি ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ছিন্নভিন্ন করে দেয়

বিশেষজ্ঞরা আরও মনে করেন থার্মোবারিক বিস্ফোরণের ভয়াবহতা শুধু প্রাণহানির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় বরং এর প্রভাব একটি পুরো এলাকার ভূপ্রকৃতি পর্যন্ত পরিবর্তন করে দিতে পারে কারণ বিস্ফোরণের সময় চারপাশের বাতাস শুষে নেওয়ার ফলে একটি বিশাল শূন্যতা সৃষ্টি হয় এবং সেই শূন্যতা দ্রুত ভরাট হওয়ার কারণে ভূমির ওপর এবং নিচের কাঠামো চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায় এই প্রক্রিয়া এতটাই দ্রুত ঘটে যে মানুষ বুঝে ওঠার আগেই পুরো এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়

বিজ্ঞানীরা জানান এই ধরনের বিস্ফোরণ তরঙ্গ মানুষের শরীর যে পরিমাণ চাপ সহ্য করতে পারে তার বহু গুণ বেশি শক্তি ছড়িয়ে দেয় ফলে শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কার্যত ভেতর থেকে বিস্ফোরিত হয় ফুসফুসে জমে থাকা বাতাস অতিরিক্ত চাপের কারণে হঠাৎ বেরিয়ে যেতে পারে না ফলে ফুসফুস ফেটে যায় শরীরের ভিতরের রক্তনালি ছিঁড়ে যায় এবং মানুষ কোনও ক্ষত না থাকলেও মুহূর্তেই মারা যায় এটি এমন একটি বিস্ফোরণ যার শক্তি চোখে দেখা না গেলেও প্রভাব অনুভব করার আগেই মৃত্যু ঘটে যায়

এই কারণে থার্মোবারিক বোমাকে বিশ্বের অন্যতম নিষ্ঠুর এবং অমানবিক অ পারমাণবিক অস্ত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং অনেক দেশ এই অস্ত্রের ব্যবহার আন্তর্জাতিক আইনে নিষিদ্ধ করলেও বাস্তবে যুদ্ধক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশ এই অস্ত্র ব্যবহার করে আসছে এর প্রধান কারণ হলো এই বোমা সাধারণ স্থল অপারেশন বাঙ্কার ধ্বংস এবং ভূগর্ভস্থ স্থাপনা আক্রমণে অতুলনীয় দক্ষতা প্রদর্শন করে এবং সৈন্য মোতায়েন ছাড়াই দূর থেকে শত্রুর শক্ত ঘাঁটি নিশ্চিহ্ন করতে সক্ষম

এই বিস্ফোরণের তরঙ্গ এত দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে যে বিস্ফোরণের কেন্দ্র থেকে কয়েকশ মিটার দূরে থাকা মানুষও তীব্র চাপের শিকার হয় তাদের শ্রবণশক্তি হারিয়ে যেতে পারে শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে এমনকি বড় এলাকা জুড়ে থাকা ভবনগুলিও এই চাপতরঙ্গের ধাক্কায় ভেঙে পড়তে পারে এই অস্ত্রের বিস্ফোরণ কোনও নির্দিষ্ট জায়গা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকে না বরং চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং যা কিছু এর পথে আসে তা ধ্বংস করে দেয়

news image

সব মিলিয়ে বলা যায় থার্মোবারিক বোমার বিস্ফোরণ তরঙ্গই এর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অংশ কারণ এই তরঙ্গ অদৃশ্য শক্তির মতো কাজ করে এবং চারদিকে ছড়িয়ে পড়ার সময় এমন এক নির্মম ধ্বংসের সৃষ্টি করে যা অন্য কোনও অস্ত্র এত সহজে করতে পারে না এবং এই কারণে আন্তর্জাতিক মহল বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে এই অস্ত্রের ব্যবহার ভবিষ্যতে আরও বড় মানবিক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে

এফএই বা ফুয়েল এয়ার এক্সপ্লোসিভ নামেও পরিচিত এই বোমার অভ্যন্তরীণ গঠন খুবই জটিল এখানে ব্যবহৃত বিস্ফোরক ব্ল্যাক পাউডারের মতো আচরণ করে এবং এর মধ্যে ২৫ শতাংশ জ্বালানি ও ৭৫ শতাংশ অক্সিডাইজার থাকে বিস্ফোরক বাতাসের সংস্পর্শে এলেই অক্সিজেন শোষণ শুরু করে এবং তখনই তৈরি হয় ভয়ংকর আগুনের ঘূর্ণিঝড় চাপতরঙ্গ এতটাই শক্তিশালী হয় যে পাশের এলাকায় থাকা যেকোনও প্রাণী বা মানুষ মুহূর্তেই ভেতর থেকে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় এমনকি এই অস্ত্রে কোনও সঠিক বিস্ফোরণ না ঘটলেও হঠাৎই শিখা তৈরি হতে পারে যা সামনে থাকা মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে ফেলতে সক্ষম

বদ্ধ জায়গায় এই বোমার শক্তি আরও বেড়ে যায় যেমন সুড়ঙ্গ বাঙ্কার বা পাথরে ঢাকা সামরিক ঘাঁটি কারণ ভ্যাকুয়াম বোমা যখন বিস্ফোরিত হয় তখন তা চারদিক থেকে বাতাস টেনে নেয় ফলে ঘরের ভেতরে থাকা মানুষ তীব্র চাপের কারণে বাঁচার কোনও সুযোগই পায় না এবং বাস্তবে ধ্বংসাবশেষের নিচে থাকা মানুষ কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে মারা যায় চাপতরঙ্গের এই প্রভাব পরমাণু বিস্ফোরণের শকওয়েভের মতো কিন্তু বিকিরণ বা রেডিয়েশন নেই তাই এটিকে অ পারমাণবিক অস্ত্র বললেও এর ধ্বংসক্ষমতা প্রায় সমান রকম ভয়ঙ্কর

রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালীন বিশ্বজুড়ে সমালোচনা শুরু হয় যখন অভিযোগ ওঠে যে রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে থার্মোবারিক বোমা ব্যবহার করেছে ইউক্রেনের মানবাধিকার সংস্থাগুলি দাবি করে নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও রাশিয়া সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে এই নিষিদ্ধ অস্ত্র নিক্ষেপ করেছে এবং বহু বেসামরিক এলাকা আগুনে ছারখার হয়ে গেছে এই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে রাশিয়া তবে উপগ্রহচিত্র এবং স্থানীয় ভিডিও ফুটেজ থেকে বিস্ফোরণের তীব্রতা বিচার করে অনেক সামরিক বিশেষজ্ঞই ধারণা করেন থার্মোবারিক বোমার মতো অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল

রাশিয়ার কাছে রয়েছে ভয়ঙ্কর এক থার্মোবারিক বোমা যার নাম এফওএবি বা ফোয়াব যা ফাদার অফ অল বম্ব নামে পরিচিত এটি এখন পর্যন্ত পরীক্ষিত সবচেয়ে বড় থার্মোবারিক বোমা বলে দাবি করা হয় এই বোমার বিস্ফোরণে ৪৪ টনের টিএনটির সমতুল্য শক্তি তৈরি হয় এবং পরীক্ষার সময় নাকি বিশাল আগুনের মেঘ তৈরি হয়েছিল যা কয়েক কিলোমিটার দূর থেকেও দেখা গিয়েছিল বিস্ফোরণের ফলে তাপমাত্রা এতটাই বেশি হয় যে সেখানে থাকা যেকোনও বস্তু মুহূর্তেই দগ্ধ হয়ে যায়

অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তৈরি করেছে এমওএবি বা ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স এয়ার ব্লাস্ট বোমা এটি মোয়াব নামে পরিচিত এবং দীর্ঘদিন ধরে এটিকেই বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী অ পারমাণবিক বোমা বলা হতো তবে রাশিয়া ফোয়াব পরীক্ষার পর দাবি করে তাদের বোমা আরও শক্তিশালী মোয়াবের বিস্ফোরক ক্ষমতা প্রায় আড়াই কিলোমিটার এলাকার উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে এবং বিস্ফোরণের পর তৈরি হওয়া মাশরুম আকৃতির মেঘ কয়েক কিলোমিটার দূর থেকেও দৃশ্যমান হয়

চিনও পিছিয়ে নেই এই অস্ত্র সম্ভারে তাদের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থায় থার্মোবারিক ওয়ারহেড যুক্ত করা হয়েছে যার উদ্দেশ্য বাঙ্কার ধ্বংস বিমানঘাঁটি উড়িয়ে দেওয়া অথবা সাধারণ দূর্গম এলাকায় শত্রুকে নিশ্চিহ্ন করা এবং পারমাণবিক বিস্ফোরণের মতো ধ্বংস ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হওয়া চিন সাম্প্রতিক সময়ে ওয়ারহেড প্রযুক্তির উপর জোর দিচ্ছে এবং থার্মোবারিক বোমাকে আরও উন্নত করার চেষ্টা করছে

থার্মোবারিক অস্ত্রের সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা হলো জল বা অত্যন্ত ঠান্ডা আবহাওয়া কারণ এই অঞ্চলগুলিতে বাতাসে থাকা অক্সিজেন অথবা উপযুক্ত কণা যথেষ্ট পরিমাণে পাওয়া যায় না ফলে বোমাটি পুরো শক্তিতে বিস্ফোরিত হতে পারে না কিন্তু স্থলযুদ্ধে সুড়ঙ্গ বাঙ্কার পাহাড়ি ঘাঁটি কিংবা শহুরে এলাকা উড়িয়ে দিতে এর কোনো বিকল্প নেই এই কারণেই আধুনিক বিশ্বে অনেক দেশই নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও গোপনে এই ধরনের অস্ত্র নিজেদের অস্ত্রভান্ডারে জমা করছে

ভিয়েতনাম যুদ্ধেও থার্মোবারিক বোমার মতো ফুয়েল এয়ার এক্সপ্লোসিভ ব্যবহার করার অভিযোগ ওঠে আমেরিকার বিরুদ্ধে পরবর্তীতে মানবাধিকার সংগঠনের রিপোর্টে এই অভিযোগের কথা উল্লেখ করা হয় এবং দাবি করা হয় পাহাড়ি এলাকা ও জঙ্গল উড়িয়ে দেওয়ার জন্য এই অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল

এখন রাশিয়ার হাতে রয়েছে তৃতীয় প্রজন্মের ভ্যাকুয়াম বোমার ওয়ারহেড যা আরও উন্নত বিধ্বংসী এবং দ্রুতগতিতে লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে সক্ষম এবং আন্তর্জাতিক মহল এই অস্ত্রের প্রতি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে কারণ এই অস্ত্র বিশ্বে মানবিক সংকট বাড়াতে পারে এবং যেকোনও যুদ্ধে ভয়াবহ দুর্যোগ সৃষ্টি করতে পারে

Preview image