চলতি সপ্তাহের শুরুতে প্রথমবার সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা। এই ইমেল সাক্ষাৎকারে তিনি গত বছরের আন্দোলনে ঘটে যাওয়া প্রাণহানির জন্য আন্দোলনকারীদের, পুলিশ-প্রশাসন এবং ‘বিদেশি চক্রান্ত’কে দোষারোপ করেছেন।
১৫ মাস পর প্রথমবার গণমাধ্যমের মুখোমুখি হওয়া বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ঘটে যাওয়া বিপুল প্রাণহানির জন্য রাজনৈতিক নেতৃত্বের দায় স্বীকার করেছেন। চলতি সপ্তাহের শুরুতে ভারত থেকে ইমেলের মাধ্যমে তিনটি সংবাদমাধ্যম—রয়টার্স, এএফপি এবং দ্য ইন্ডিপেনডেন্টকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় তিনি পূর্বে পুলিশ, প্রশাসন, ‘বিদেশি চক্রান্ত’ এবং আন্দোলনকারীদের একাংশকে দায়ারোপ করলেও এবার নিজের নেতৃত্বের দায়িত্ব মেনে নিয়েছেন।
প্রশ্ন করা হয়েছিল, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কি রাষ্ট্র কর্তৃক সংঘটিত হিংসার জন্য দায়িত্ব স্বীকার করেন কি না। জবাবে তিনি বলেছেন, “দেশের নেত্রী হিসেবে, আমি চূড়ান্তভাবে নেতৃত্বের দায়িত্ব গ্রহণ করি।” তবে হত্যাকাণ্ডে আইনরক্ষক বাহিনীকে নিশানা করে বলেন, “আমি নিরাপত্তা বাহিনীকে পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছিলাম, এই অভিযোগ মৌলিকভাবে ভুল।”
আন্তর্জাতিক সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্টের মধ্যে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে প্রায় ১,৪০০ জন নিহত হয়েছেন। তবে হাসিনা হতাহতের সংখ্যা নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করেছেন এবং দাবি করেছেন, বেশিরভাগ নিহতের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকরাও রয়েছেন।