Lenspedia Bangla Logo
  • কলকাতা
  • 30℃ Purba Bardhaman

ভারতের হাইওয়েকে জরুরি রানওয়ে: বারমের অনুশীলনে বিমান বাহিনীর কৌশলগত সাফল্য

ভারতীয় বিমান বাহিনী বারমেরের ন্যাশনাল হাইওয়ে ৯২৫-কে জরুরি রানওয়ে হিসেবে ব্যবহার করে সফলভাবে যুদ্ধবিমান ও পরিবহন বিমানের অবতরণ সম্পন্ন করেছে। এই উদ্যোগ সীমান্ত নিরাপত্তা ও দুর্যোগ মোকাবেলায় নতুন কৌশল প্রবর্তন করেছে। হাইওয়ে-রানওয়ে দেশের সামরিক সক্ষমতা বাড়াচ্ছে, দ্রুত সাড়া দেওয়া সম্ভব করছে এবং প্রতিরক্ষা ও অবকাঠামোর মধ্যে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে।  

আন্তর্জাতিক

হাইওয়েকে রানওয়ে: ভারতের প্রতিরক্ষা সক্ষমতার নতুন মাত্রা
বারমের, রাজস্থান থেকে বিশেষ প্রতিবেদন ২০২৫ সালের নভেম্বরে ভারতের প্রতিরক্ষা ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায় রচিত হয়েছে। রাজস্থানের বারমের জেলার ন্যাশনাল হাইওয়ে ৯২৫-এর তিন কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ৩৩ মিটার চওড়া একটি অংশে ভারতীয় বিমান বাহিনী (আইএএফ) সফলভাবে যুদ্ধবিমান ও পরিবহন বিমানের অবতরণ ও উড্ডয়ন সম্পন্ন করেছে। এই অভূতপূর্ব উদ্যোগ কেবল একটি সামরিক অনুশীলন নয়, বরং দেশের সীমান্ত নিরাপত্তা এবং দুর্যোগ মোকাবেলায় নতুন কৌশলগত দিগন্ত উন্মোচন করেছে।ভারতের দীর্ঘ সীমান্ত এবং বৈচিত্র্যময় ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সর্বদা সতর্ক ও প্রস্তুত থাকার দাবি রাখে। বিশেষত পাকিস্তান ও চীন সীমান্তবর্তী এলাকায়, যেখানে ঐতিহ্যবাহী বিমানঘাঁটিগুলো সীমিত এবং দূরত্ব অনেক বেশি, সেখানে বিকল্প বিমান অবতরণ সুবিধা তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। এই প্রেক্ষাপটেই ন্যাশনাল হাইওয়েকে জরুরি রানওয়ে হিসেবে ব্যবহারের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে ভারত এই ধরনের হাইওয়ে-রানওয়ে প্রকল্প শুরু করলেও, ২০২৫ সালের বারমের অনুশীলন এর মধ্যে সবচেয়ে ব্যাপক এবং সফল। এখানে C-130J হারকিউলিস যুদ্ধ-পরিবহন বিমান নিরাপদে অবতরণ ও উড্ডয়ন করে প্রমাণ করেছে যে, প্রয়োজনে দেশের যেকোনো হাইওয়ে অস্থায়ী বিমানঘাঁটিতে রূপান্তরিত হতে পারে।
হাইওয়েকে রানওয়ে হিসেবে ব্যবহার করা মোটেই সহজ কাজ নয়। এর জন্য প্রয়োজন বিশেষায়িত প্রকৌশল এবং নিখুঁত পরিকল্পনা। বারমের প্রকল্পে হাইওয়ের নির্বাচিত অংশটিকে উচ্চমানের কংক্রিট এবং মজবুত পিচ দিয়ে শক্তিশালী করা হয়েছে, যা ভারী যুদ্ধবিমানের ওজন সহ্য করতে সক্ষম। সাধারণ সড়কের তুলনায় এই অংশের বহন ক্ষমতা কয়েকগুণ বেশি, কারণ একটি যুদ্ধবিমানের ওজন ৫০ থেকে ৮০ টন পর্যন্ত হতে পারে। রানওয়ের দুই পাশে নিরাপত্তা জোন তৈরি করা হয়েছে, যেখানে কোনো বাধা বা বস্তু রাখা নিষিদ্ধ। আলোকসজ্জা, দিকনির্দেশক চিহ্ন এবং জরুরি যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করা হয়েছে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করে। বিমান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা (এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল) মোবাইল ইউনিট দিয়ে পরিচালিত হয়েছে, যা নিকটতম বিমানঘাঁটির সাথে সমন্বিত।এই অনুশীলনের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং দিক ছিল নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সাধারণ যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা। স্থানীয় পুলিশ, সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসন এবং বিমান বাহিনীর মধ্যে নিখুঁত সমন্বয় ছাড়া এটি সম্ভব ছিল না। অনুশীলনের সময় হাইওয়ের নির্দিষ্ট অংশ কয়েক ঘণ্টার জন্য সাধারণ যানবাহনের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছিল এবং বিকল্প পথের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। স্থানীয় জনগণকে আগেভাগে জানানো হয়েছিল এবং তাদের সহযোগিতা পাওয়া গেছে। এই ধরনের অনুশীলন জনমনে দেশপ্রেম ও নিরাপত্তার গুরুত্ব বোঝাতেও সহায়ক হয়েছে।হাইওয়ে-রানওয়ে প্রকল্পের কৌশলগত গুরুত্ব বহুমাত্রিক। যুদ্ধ বা সংঘাতের সময় প্রথাগত বিমানঘাঁটিগুলো শত্রুপক্ষের প্রথম লক্ষ্য হয়। যদি প্রধান বিমানঘাঁটিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে হাইওয়ে-রানওয়ে বিকল্প হিসেবে অপারেশন অব্যাহত রাখতে সাহায্য করবে। সীমান্তবর্তী দুর্গম এলাকায় দ্রুত সৈন্য, অস্ত্র ও সরঞ্জাম পৌঁছানো সহজ হবে। দুর্যোগকালীন পরিস্থিতিতে, যেমন বন্যা, ভূমিকম্প বা সুনামি, যখন বিমানবন্দর ক্ষতিগ্রস্ত বা বন্ধ হয়ে যায়, তখন এই হাইওয়ে-রানওয়ে জরুরি ত্রাণ সামগ্রী ও উদ্ধারকারী দল পৌঁছানোর মাধ্যম হতে পারে। ২০০৪ সালের সুনামি বা ২০১৩ সালের উত্তরাখণ্ড বন্যার মতো পরিস্থিতিতে এই ধরনের বিকল্প সুবিধা হাজার হাজার জীবন বাঁচাতে পারত।হাইওয়ে-রানওয়ে ব্যবহার নতুন ধারণা নয়। সুইডেন, সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান এবং পাকিস্তানও এই ধরনের ব্যবস্থা ব্যবহার করে। বিশেষত ছোট দেশ বা দ্বীপরাষ্ট্রগুলো, যাদের সীমিত ভূমি রয়েছে, তারা এই কৌশল অবলম্বন করেছে। তবে ভারতের মতো বিশাল দেশে, যেখানে প্রতিটি রাজ্যের ভূ-প্রকৃতি ও পরিস্থিতি ভিন্ন, সেখানে এটি বাস্তবায়ন অনেক বেশি জটিল এবং একই সাথে কার্যকর।এই প্রকল্প বাস্তবায়নে কিছু স্পষ্ট চ্যালেঞ্জ রয়েছে। রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়বহুল এবং নিয়মিত প্রয়োজন। ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে হাইওয়ের বিশেষ অংশ দ্রুত ক্ষয়প্রাপ্ত হতে পারে। অনুশীলনের সময় সাধারণ যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় জনজীবনে সাময়িক অসুবিধা হয়। সমস্ত হাইওয়ে এই উদ্দেশ্যে উপযুক্ত নয়, শুধুমাত্র যেসব হাইওয়ে সরল, প্রশস্ত এবং বাধামুক্ত, শুধুমাত্র সেগুলোই ব্যবহার করা সম্ভব। তবে সরকার এবং প্রতিরক্ষা বিভাগ এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিচ্ছে। নির্মাণ ব্যয় কমাতে, নতুন হাইওয়ে নির্মাণের সময়ই কিছু অংশ রানওয়ে-মানের করা হচ্ছে। জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং স্থানীয় প্রশাসনের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অনুশীলনের সময় অসুবিধা কমানো সম্ভব।বারমেরের সফলতার পর, ভারত সরকার সারাদেশে আরও কয়েকটি হাইওয়ে-রানওয়ে তৈরি করার পরিকল্পনা করছে। উত্তরপ্রদেশ, অসম, অরুণাচল প্রদেশ এবং জম্মু-কাশ্মীরের মতো সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোতে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন, আগামী পাঁচ বছরে দেশে অন্তত ১৫-২০টি হাইওয়ে-রানওয়ে সক্রিয় হবে। প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে মোবাইল এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ার, দ্রুত জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থা এবং স্বয়ংক্রিয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংযুক্ত করা হবে, যা অনুশীলনকে আরও কার্যকর ও নিরাপদ করবে।হাইওয়েকে রানওয়ে হিসেবে ব্যবহারের এই উদ্যোগ ভারতের প্রতিরক্ষা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এটি শুধু সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি নয়, বরং দেশের অবকাঠামো ব্যবহারে সৃজনশীলতা ও দূরদর্শিতার প্রমাণ। সীমান্ত নিরাপত্তা, দুর্যোগ মোকাবেলা এবং দ্রুত সাড়া প্রদানের সক্ষমতা, এই তিন ক্ষেত্রেই এটি দেশকে আরও শক্তিশালী করেছে। আগামী দিনে এই প্রকল্পের সম্প্রসারণ ভারতের প্রতিরক্ষা কৌশলে নতুন মাত্রা যোগ করবে এবং দেশকে যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় আরও প্রস্তুত করবে।জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং স্থানীয় প্রশাসনের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অনুশীলনের সময় অসুবিধা কমানো সম্ভব।বারমেরের সফলতার পর, ভারত সরকার সারাদেশে আরও কয়েকটি হাইওয়ে-রানওয়ে তৈরি করার পরিকল্পনা করছে। উত্তরপ্রদেশ, অসম, অরুণাচল প্রদেশ এবং জম্মু-কাশ্মীরের মতো সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোতে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন, আগামী পাঁচ বছরে দেশে অন্তত ১৫-২০টি হাইওয়ে-রানওয়ে সক্রিয় হবে। প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে মোবাইল এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ার, দ্রুত জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থা এবং স্বয়ংক্রিয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংযুক্ত করা হবে, যা অনুশীলনকে আরও কার্যকর ও নিরাপদ করবে।হাইওয়েকে রানওয়ে হিসেবে ব্যবহারের এই উদ্যোগ ভারতের প্রতিরক্ষা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এটি শুধু সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি নয়, বরং দেশের অবকাঠামো ব্যবহারে সৃজনশীলতা ও দূরদর্শিতার প্রমাণ। সীমান্ত নিরাপত্তা, দুর্যোগ মোকাবেলা এবং দ্রুত সাড়া প্রদানের সক্ষমতা, এই তিন ক্ষেত্রেই এটি দেশকে আরও শক্তিশালী করেছে। আগামী দিনে এই প্রকল্পের সম্প্রসারণ ভারতের প্রতিরক্ষা কৌশলে নতুন মাত্রা যোগ করবে এবং দেশকে যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় আরও প্রস্তুত করবে।প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে মোবাইল এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ার, দ্রুত জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থা এবং স্বয়ংক্রিয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংযুক্ত করা হবে, যা অনুশীলনকে আরও কার্যকর ও নিরাপদ করবে।হাইওয়েকে রানওয়ে হিসেবে ব্যবহারের এই উদ্যোগ ভারতের প্রতিরক্ষা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এটি শুধু সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি নয়, বরং দেশের অবকাঠামো ব্যবহারে সৃজনশীলতা ও দূরদর্শিতার প্রমাণ। সীমান্ত নিরাপত্তা, দুর্যোগ মোকাবেলা এবং দ্রুত সাড়া প্রদানের সক্ষমতা, এই তিন ক্ষেত্রেই এটি দেশকে আরও শক্তিশালী করেছে। আগামী দিনে এই প্রকল্পের সম্প্রসারণ ভারতের প্রতিরক্ষা কৌশলে নতুন মাত্রা যোগ করবে এবং দেশকে যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় আরও প্রস্তুত করবে।সীমান্ত নিরাপত্তা, দুর্যোগ মোকাবেলা এবং দ্রুত সাড়া প্রদানের সক্ষমতা, এই তিন ক্ষেত্রেই এটি দেশকে আরও শক্তিশালী করেছে। আগামী দিনে এই প্রকল্পের সম্প্রসারণ ভারতের প্রতিরক্ষা কৌশলে নতুন মাত্রা যোগ করবে এবং দেশকে যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় আরও প্রস্তুত করবে।সীমান্ত নিরাপত্তা, দুর্যোগ মোকাবেলা এবং দ্রুত সাড়া প্রদানের সক্ষমতা, এই তিন ক্ষেত্রেই এটি দেশকে আরও শক্তিশালী করেছে। আগামী দিনে এই প্রকল্পের সম্প্রসারণ ভারতের প্রতিরক্ষা কৌশলে নতুন মাত্রা যোগ করবে এবং দেশকে যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় আরও প্রস্তুত করবে।সীমান্ত নিরাপত্তা, দুর্যোগ মোকাবেলা এবং দ্রুত সাড়া প্রদানের সক্ষমতা, এই তিন ক্ষেত্রেই এটি দেশকে আরও শক্তিশালী করেছে। আগামী দিনে এই প্রকল্পের সম্প্রসারণ ভারতের প্রতিরক্ষা কৌশলে নতুন মাত্রা যোগ করবে এবং দেশকে যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় আরও প্রস্তুত করবে।

news image
আরও খবর
Preview image