Lenspedia Bangla Logo
  • কলকাতা
  • 30℃ Purba Bardhaman

ইন্ডিগো ফ্লাইট বাতিল সংকট তীব্রতর: টানা চার দিনে ৫৫০টিরও বেশি উড়ান বাতিল, দেশজুড়ে যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে

দেশের সর্ববৃহৎ বিমান সংস্থা ইন্ডিগোর তীব্র অপারেশনাল বিপর্যয়ে ভারতজুড়ে যাত্রীদের মধ্যে নেমেছে চরম বিশৃঙ্খলা। টানা চার দিন ধরে শতাধিক ফ্লাইট বাতিল ও দীর্ঘ দেরির ফলে বিমানবন্দরগুলিতে দেখা দিয়েছে অরাজক পরিস্থিতি। নতুন FDTL নিয়ম অনুযায়ী পাইলটদের ডিউটি আওয়ার ও বিশ্রাম সংক্রান্ত বিধিনিষেধ কার্যকর হওয়ায় পাইলট স্বল্পতা তৈরি হয়েছে, আর সেই কারণেই ইন্ডিগোর সময়সূচি পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মুম্বই বিমানবন্দরে একদিনেই ১১৮টি ইন্ডিগো ফ্লাইট বাতিল হয়। বহু যাত্রী কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করেও কোনও স্পষ্ট তথ্য পাননি। যাদের জরুরি কাজে দিল্লি বা অন্যান্য শহরে যেতে হয়েছিল, তারা টিকিটের জন্য ২০–২৩ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ করেও ফ্লাইটে উঠতে পারেননি। বোর্ডিং জোনে লম্বা লাইন, বিশৃঙ্খলা, এবং খাবার-জল ছাড়াই অপেক্ষায় থাকা যাত্রীদের অভিযোগ সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। অন্যদিকে, দিল্লি বিমানবন্দরে অভূতপূর্ব সিদ্ধান্তে ইন্ডিগো ঘোষণা করে—দিনভর সমস্ত দেশীয় উড়ান রাত ১১:৫৯ পর্যন্ত বাতিল। সংস্থার তরফে যাত্রীদের জন্য রিফান্ড, রিবুকিং, হোটেল থাকার ব্যবস্থা, লাগেজ সংগ্রহে সহায়তা ও রিফ্রেশমেন্ট দেওয়ার কথা জানানো হলেও বাস্তবে বহু যাত্রী জানান, ইন্ডিগোর কাউন্টার ফাঁকা এবং তথ্য পেতে প্রচুর দেরি হচ্ছে। হায়দরাবাদে প্রায় ৪৯টি বহির্গামী এবং ৪৩টি আগত ফ্লাইট বাতিলের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। গোয়া বিমানবন্দরে সকালেই ৩০টি ফ্লাইট বাতিল হয়, আর আহমেদাবাদে দেখা গেছে ৮৬টি নির্ধারিত ফ্লাইট বাতিলের ঘটনা। চেন্নাই বিমানবন্দরে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সমস্ত ইন্ডিগো ফ্লাইট স্থগিত করা হয়। প্রতিটি বিমানবন্দরেই যাত্রী চাপ, লাগেজ জট, এবং বিভ্রান্তির পরিবেশ তৈরি হয়। বিশৃঙ্খলার মধ্যেই আন্তর্জাতিক কূটনীতিকরাও সমস্যায় পড়েন। সিঙ্গাপুরের হাই কমিশনার সাইমন ওং নিজেও ইন্ডিগোর ফ্লাইট বাতিলের কারণে যাত্রা করতে পারেননি এবং সামাজিক মাধ্যমে তার অসুবিধার কথা জানান। DGCA জানায়—ইন্ডিগো নতুন FDTL নিয়ম অনুযায়ী পাইলট প্রয়োজনীয়তা ভুলভাবে অনুমান করায় এই বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আগামী ৮ ডিসেম্বর থেকে ইন্ডিগো কম সংখ্যক ফ্লাইট চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংস্থাটি ফেব্রুয়ারি ২০২৬ পর্যন্ত কিছু বিশেষ ছাড় চেয়েছে যাতে ধীরে ধীরে সময়সূচি স্বাভাবিক করা যায়।

দেশের বৃহত্তম বিমান সংস্থা ইন্ডিগো টানা চার দিন ধরে ব্যাপক ফ্লাইট বাতিল, দেরি এবং বিভিন্ন বিমানবন্দরে অরাজকতার মুখোমুখি হয়েছে। নতুন পাইলট ডিউটি নিয়ম (FDTL Phase-2) বাস্তবায়নের পর যে রোস্টারিং সমস্যার সূত্রপাত হয়েছিল, তা এখন দেশব্যাপী বিমান পরিবহন ব্যবস্থায় তীব্র সংকটে পরিণত হয়েছে। হাজার হাজার যাত্রী অনিশ্চয়তায় আটকে পড়েছেন—অনেকেই সময়মতো তথ্য, সহায়তা কিংবা বিকল্প ভ্রমণের সুযোগ পাচ্ছেন না।

শুধু মুম্বই বিমানবন্দরেই বৃহস্পতিবার ১১৮টি ইন্ডিগো ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। অধিকাংশ উড়ানই দুই থেকে তিন ঘণ্টা বা তার বেশি দেরিতে ছাড়ছিল। দিল্লি, হায়দরাবাদ, গোয়া, চেন্নাই, আহমেদাবাদ ও রাজকোট—প্রায় সব ব্যস্ত বিমানবন্দরে একই চিত্র: হঠাৎ বাতিল ঘোষণা, লম্বা লাইন, ঠাসাঠাসি ভিড়, অল্প সময়ে টিকিট জোগাড়ের ব্যস্ততা এবং আকাশছোঁয়া ভাড়া।

 

মুম্বই বিমানবন্দর: ১১৮টি ফ্লাইট বাতিল, ভাড়ায় আগুন

বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠে। সূত্র অনুযায়ী, ৭৪টি প্রস্থানকারী এবং ৪৪টি আগত ফ্লাইট বাতিল হয়। টার্মিনাল জুড়ে ছিল ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা, ভিড় এবং বিশৃঙ্খলা।

জরুরি প্রয়োজনের যাত্রীরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন। যেহেতু ইন্ডিগো দেশের ৬৫% অভ্যন্তরীণ বাজার দখল করে, তাই তাদের ফ্লাইট বাতিলের সরাসরি প্রভাব পড়ে অন্যান্য সংস্থার ভাড়ায়।

  • মুম্বই–দিল্লি শেষ মুহূর্তের ভাড়া পৌঁছে যায় ২৩,০০০
  • গোয়া, আহমেদাবাদ, কোচি, তিরুবনন্তপুরমের ফ্লাইট প্রায় সম্পূর্ণ বুকড
  • বহু যাত্রী বিবাহ, চিকিৎসা ও জরুরি কাজ মিস করেছেন

চোখে দেখা যাত্রীদের অভিজ্ঞতা—
"বোর্ডিং জোনে বিশৃঙ্খলা", "কর্মীদের থেকে তথ্য পাওয়া যাচ্ছিল না", "মেঝেতে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা"

 

দিল্লি বিমানবন্দর: রাত ১১:৫৯ পর্যন্ত সব ইন্ডিগো দেশীয় উড়ান বাতিল

অভূতপূর্ব ঘোষণা করে ইন্ডিগো জানায়—
ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে দিল্লি বিমানবন্দর থেকে সব দেশীয় উড়ান রাত ১১:৫৯ পর্যন্ত বাতিল।

সংস্থার বিবৃতি:

“আমাদের সম্মানিত যাত্রী ও স্টেকহোল্ডারদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। এই অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিতে সবাইকে আমরা প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করছি।”

যাত্রীদের জন্য সংস্থাটি জানিয়েছে:

  • হোটেল থাকার ব্যবস্থা
  • রিফ্রেশমেন্ট
  • পরবর্তী ফ্লাইটে রিবুকিং
  • লাগেজ সংগ্রহে সহায়তা
  • প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে পুরো রিফান্ড

তবুও বহু যাত্রী অভিযোগ করেন:

  • কাউন্টার ফাঁকা
  • লাগেজ কোথায় পাবেন সে বিষয়ে বিভ্রান্তি
  • সময়মতো তথ্য নেই

 

রাজকোট বিমানবন্দর: সব ইন্ডিগো ফ্লাইট বাতিল

রাজকোট বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়—
দিনভর ইন্ডিগোর সব আটটি উড়ান বাতিল।

যাত্রীরা অভিযোগ করেন,
“স্টাফ খুব কম ছিল, ভবিষ্যৎ ফ্লাইট সম্পর্কে কোনও স্পষ্ট তথ্য দেওয়া হয়নি।”

 

হায়দরাবাদ বিমানবন্দর: ৪৯টি প্রস্থানকারী ৪৩টি আগত ফ্লাইট বাতিলের সম্ভাবনা

রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়:

  • ৪৯টি outbound ফ্লাইট বাতিল হতে পারে
  • ৪৩টি inbound ফ্লাইট বাতিল হওয়ার আশঙ্কা

এর আগের দিন ৩৭টি outbound ফ্লাইট বাতিল হয়। ফলে দু’দিন ধরে:

  • যাত্রীদের আটকে পড়া
  • কোনও proactive যোগাযোগ নেই
  • বিকল্প ভ্রমণ ব্যবস্থার অভাব

অনেক যাত্রী জানান,
ফ্লাইট বাতিলের নোটিফিকেশন বোর্ডিংয়ের ঠিক কয়েক মিনিট আগে এসেছে।

 

গোয়া বিমানবন্দর: ৩০টি ইন্ডিগো উড়ান বাতিল

ডাবোলিম বিমানবন্দরে সকালে একটানা ৩০টি ফ্লাইট বাতিল হয়।

গন্তব্যগুলোর মধ্যে ছিল:

বেঙ্গালুরু, সুরাট, চেন্নাই, হায়দরাবাদ, আহমেদাবাদ, জয়পুর, দিল্লি, ইন্দোর, মুম্বই, ভোপাল।

উইকেন্ড ভ্রমণের কারণে অন্যান্য সংস্থায় সিট পাওয়া আরও কঠিন হয়ে পড়ে।

 

আহমেদাবাদ বিমানবন্দর: ৮৬টি ফ্লাইট বাতিল

এসভিপিআই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়:

  • রাত ১২টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে ৮৬টি নির্ধারিত ফ্লাইট বাতিল
  • দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সংখ্যা আরও বাড়তে পারে

অপারেশন অস্থিতিশীল হওয়ায় যাত্রীদের বারবার স্টেটাস চেক করে বেরোতে বলা হয়েছে।

 

চেন্নাই বিমানবন্দর: সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সব ইন্ডিগো উড়ান স্থগিত

এখানেও দেখা যায়:

  • হেল্পডেস্কে দীর্ঘ লাইন
  • পরিবারগুলো ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাগেজ নিয়ে অপেক্ষা
  • প্রবীণ যাত্রীরা তথ্য না পেয়ে সমস্যায়

 

পাটনা বিমানবন্দর: ঘন ভিড়, সম্পূর্ণ বিভ্রান্তি

পাটনার টার্মিনালগুলোতে ছিল:

  • বোর্ডিং গেটে ভিড়
  • দেরি ও বাতিলের লম্বা তালিকা
  • কোনও ঘোষণা নেই
  • খাবার বা বসার জায়গা ছাড়াই ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা

 

উচ্চ পর্যায়ের কূটনীতিকও আটকে: সিঙ্গাপুরের হাই কমিশনার

সিঙ্গাপুরের হাই কমিশনার সাইমন ওং নিজেও বাতিল ফ্লাইটের কারণে আটকে পড়েন। তার দেওঘরগামী ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় তিনি একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যেতে পারেননি।

তিনি X-এ লিখেছেন:

“আমি সেই হাজার হাজার যাত্রীর একজন, যারা #Indigo ফ্লাইট বাতিলের কারণে আটকে পড়েছি… এগিয়ে যাওয়ার মতো কথা নেই।”

news image
আরও খবর

 

 

DGCA সাপ্তাহিক বিশ্রাম সংক্রান্ত নির্দেশ শিথিল করল

চাপ বাড়তেই DGCA ঘোষণা করে:

“বর্তমান অপারেশনাল পরিস্থিতি বিবেচনায় সাপ্তাহিক বিশ্রামের জায়গায় ছুটি ব্যবহার করতে পারা যাবে।”

এতে সাময়িকভাবে পাইলট সংখ্যা বাড়তে পারে।

 

 নতুন FDTL Phase-2 নিয়মে পাইলট স্বল্পতা

ইন্ডিগো দৈনিক প্রায় ২,৩০০টি ফ্লাইট চালায়। সংস্থাটি স্বীকার করেছে—
নতুন ডিউটি-বিশ্রাম নিয়ম অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পাইলট সংখ্যা ভুলভাবে অনুমান করেছিল।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী:

  • ১ নভেম্বর ২০২৫ থেকে কার্যকর
  • রাত ১২টা থেকে সকাল ৬টার মধ্যে ল্যান্ডিং সীমিত
  • পাইলটদের পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিশ্চিত
  • আগেই এক বছর পিছিয়েছিল
  • দিল্লি হাইকোর্ট নির্দেশ দেওয়ায় তা বাধ্যতামূলকভাবে কার্যকর হয়

ফলে:

  • পাইলট সংখ্যা কম
  • রোস্টারে অতিরিক্ত চাপ
  • শীতকালীন বাড়তি ফ্লাইট সামলানোর ক্ষমতা কম

এক DGCA কর্মকর্তা বলেন:
ইন্ডিগো ভুল পরিকল্পনা করেছিল, যার ফলেই এই চেইন-রিঅ্যাকশন।”

 

দেশব্যাপী প্রভাব: একদিনে ৫৫০টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল

সাধারণ দিনে যেখানে ১৭০–২০০টি ফ্লাইট বাতিল হয়, সেখানে বৃহস্পতিবার বাতিল হয় ৫৫০+ উড়ান

সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বিমানবন্দর:

  • পুনে
  • বেঙ্গালুরু
  • মুম্বই
  • দিল্লি
  • হায়দরাবাদ
  • গোয়া

দিল্লির টার্মিনাল ১-এ:

  • অগণিত লাগেজ পড়ে থাকে
  • যাত্রীরা মেঝেতে বসে থাকে
  • রিফান্ড বা রিবুকিং সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নেই

DGCA নির্দেশ দেয়:

  • যাত্রী সহায়তা বাড়াতে
  • বিমানবন্দরে অতিরিক্ত কর্মী মোতায়েন করতে
  • সময়মতো আপডেট দিতে
  • ভিড় নিয়ন্ত্রণে বিমানবন্দরগুলির সঙ্গে সমন্বয় রাখতে

মন্ত্রী রাম মোহন নাইডু তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন।

 

অন্যান্য বিমান সংস্থাও প্রভাবিত

যদিও সমস্যার কেন্দ্র ইন্ডিগো, তবে প্রভাব পড়ে অন্যদের ওপরে:

  • ব্যস্ত বিমানবন্দরে গেট সংকট
  • লাগেজ সিস্টেমে চাপ
  • টার্মিনাল অপারেশন ধীর হয়ে যায়

 

ডিসেম্বর থেকে ফ্লাইট সংখ্যা কমাবে ইন্ডিগো

সংস্থা DGCA-কে জানিয়েছে:

  • ৮ ডিসেম্বর থেকে উড়ান সংখ্যা কমানো হবে
  • পাইলট পরিস্থিতি স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত কম ক্ষমতায় চলবে
  • শীতকালে বাড়তি সেফটি বাফার রাখা হবে

দ্রুত স্বাভাবিক হতে তারা ফেব্রুয়ারি ২০২৬ পর্যন্ত বিশেষ ছাড়ও চেয়েছে।

 

রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া

সামাজবাদী পার্টির সাংসদ ডিম্পল যাদব বলেন:

“যাত্রীরা প্রচুর সমস্যায় পড়ছেন। সরকারের উচিত দ্রুত হস্তক্ষেপ করা।

 

 যে সংকট উন্মোচিত করল বৃহত্তর দুর্বলতা

ইন্ডিগোর এই চার দিনের ভেঙে পড়া পরিস্থিতি দেখিয়ে দিল—

  • এককভাবে একটি এয়ারলাইনে অতিরিক্ত নির্ভরতা
  • পর্যাপ্ত মানবসম্পদ বাফারের অভাব
  • যাত্রী যোগাযোগে বড় ঘাটতি
  • ফ্লাইট ম্যানেজমেন্টে প্রস্তুতির ঘাটতি

আগামী ৭২ ঘণ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ—এই সময়ের মধ্যেই বোঝা যাবে ইন্ডিগো কত দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পারে।

এদিকে যাত্রীরা এখনও অনিশ্চয়তা, বাড়তি ভাড়া এবং দেরির মধ্যে দিয়ে ভ্রমণ করছেন—
একটি ভয়াবহ এভিয়েশন সংকটের দ্রুত সমাধানের আশায়

বিশৃঙ্খলার মধ্যেই আন্তর্জাতিক কূটনীতিকরাও সমস্যায় পড়েন। সিঙ্গাপুরের হাই কমিশনার সাইমন ওং নিজেও ইন্ডিগোর ফ্লাইট বাতিলের কারণে যাত্রা করতে পারেননি এবং সামাজিক মাধ্যমে তার অসুবিধার কথা জানান।

DGCA জানায়—ইন্ডিগো নতুন FDTL নিয়ম অনুযায়ী পাইলট প্রয়োজনীয়তা ভুলভাবে অনুমান করায় এই বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আগামী ৮ ডিসেম্বর থেকে ইন্ডিগো কম সংখ্যক ফ্লাইট চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংস্থাটি ফেব্রুয়ারি ২০২৬ পর্যন্ত কিছু বিশেষ ছাড় চেয়েছে যাতে ধীরে ধীরে সময়সূচি স্বাভাবিক করা যায়।

 

 

 

Preview image