স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি দীর্ঘদিন ধরে চলা শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অবশেষে গতি ফিরিয়ে আনতে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক নিয়োগে নতুন করে চারটি বিষয়ে ইন্টারভিউ নেওয়া শুরু হয়েছে, যা পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নতুন আশার সঞ্চার করেছে হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থীর মনে। দীর্ঘদিন ধরে আদালত, প্রশাসনিক জটিলতা এবং নানান অভিযোগের কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া বারবার স্থগিত হওয়ায় চাকরিপ্রার্থীরা চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিলেন। তবে সম্প্রতি শিক্ষাদপ্তরের উদ্যোগে এসএসসি নতুন করে নিয়োগের গতি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। সেই সিদ্ধান্তের পরই উচ্চমাধ্যমিকে চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ইন্টারভিউয়ের সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। ইন্টারভিউ শুরু হওয়ায় প্রার্থীদের মধ্যে নতুন করে উদ্দীপনা দেখা গেছে। বহু প্রার্থী বহু বছর ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছেন, এবং তারা মনে করছেন এই নতুন উদ্যোগ তাদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটাতে পারে। এসএসসি জানিয়েছে, ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে করা হবে। ইন্টারভিউ বোর্ডে থাকবেন অভিজ্ঞ শিক্ষক, বিষয় বিশেষজ্ঞ এবং প্রশাসনিক প্রতিনিধিরা। প্রার্থীদের যোগ্যতা, বিষয় জ্ঞান, ক্লাস নেওয়ার দক্ষতা, যোগাযোগ ক্ষমতা এবং শিক্ষার প্রতি মনোভাবকে গুরুত্ব দিয়ে মূল্যায়ন করা হবে। এই চারটি বিষয়ে কোন কোন বিষয়ে ইন্টারভিউ চলছে তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে, এবং প্রতিটি বিষয়ের তারিখ ও কেন্দ্রও প্রকাশ করা হয়েছে। প্রার্থীরা এসএসসির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে তাদের ইন্টারভিউ স্লট, তারিখ ও প্রয়োজনীয় নথিপত্র সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারছেন। এদিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া আবার শুরু হওয়ায় শিক্ষাক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। স্কুলগুলিতে শিক্ষক সংকট দীর্ঘদিন ধরেই সমস্যা হিসেবে দেখা দিচ্ছিল। বিশেষ করে বিজ্ঞান ও মানবিক বিভাগের বেশ কয়েকটি বিষয়ে শিক্ষক না থাকায় অনেক স্কুলে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছিল। নতুন করে ইন্টারভিউ শুরুর ফলে আশা করা হচ্ছে খুব শীঘ্রই শূন্য পদগুলো পূরণ হবে এবং ক্লাসরুমে শিক্ষার মান উন্নত হবে। চাকরিপ্রার্থীদের জন্য এই মুহূর্তটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বহু বছর ধরে যাঁরা যোগ্যতার সনদ নিয়েও অপেক্ষা করছেন, তাঁরা মনে করছেন এই ইন্টারভিউ শুরু হওয়া শুধুই একটি প্রক্রিয়াগত ধাপ নয়, বরং তাদের স্বপ্নের পথে এক বড় অগ্রগতি। এসএসসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইন্টারভিউ শেষ হলেই খুব দ্রুত তালিকা প্রকাশ করা হবে এবং যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগপত্র দেওয়ার কাজ শুরু হবে। ফলে দীর্ঘদিনের দুশ্চিন্তা কাটিয়ে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া অবশেষে সঠিক পথে এগোচ্ছে, এমনটাই মনে করছেন সবাই।
এসএসসি শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাক্ষেত্রে যে দীর্ঘ অনিশ্চয়তা ও প্রতীক্ষার আবহ তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে কাটতে শুরু করেছে। দীর্ঘ বছর ধরে বিভিন্ন মামলার ধাক্কা, অনুমোদন প্রক্রিয়ার ধীরগতি, প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের দেরি, নথি যাচাই এবং অভিযোগের পাহাড় সবকিছুর মধ্যেই শিক্ষক নিয়োগ যেন এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগোচ্ছিল। অসংখ্য প্রশিক্ষিত ও যোগ্য প্রার্থী নিজেদের পরিশ্রম, আশা এবং স্বপ্নকে ধরে রেখেছিলেন এই আশায় যে একদিন এই প্রক্রিয়ার স্থবিরতা কাটবে। অবশেষে বহুদিনের সেই অপেক্ষার পর এসএসসি শিক্ষক নিয়োগে আবার নতুন গতি এসেছে এবং উচ্চমাধ্যমিকে চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ইন্টারভিউ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। এটি শুধু একটি ঘোষণা নয়, বরং হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থীর মনে নতুন আলো জ্বালানোর মতো এক বাস্তব আশার প্রতীক হয়ে উঠেছে।
যে অফিসটিতে দিনের পর দিন প্রার্থীরা ভিড় করতেন, যেটি একসময় চাপ, কান্না, ক্ষোভ এবং আশা মিশ্রিত অনুভূতিতে ভরে থাকত, আজ সেখানে যেন নতুন চিত্র। ইন্টারভিউ শুরু হওয়ার খবর জানার সঙ্গে সঙ্গেই বহুজন নতুন করে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। কেউ আবার তাদের পুরোনো নোট খুলে পড়ছেন, কেউ বন্ধুদের সঙ্গে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করছেন, কেউ আবার মানসিকভাবে নিজেকে তৈরি করছেন। কারণ ইন্টারভিউ মানে শুধু জ্ঞান যাচাই নয়, এটি নিজেকে প্রকাশ করার একটি বড় সুযোগ। কোন শিক্ষক ক্লাসরুমে কেমন আচরণ করবেন, কীভাবে ছাত্রদের সামলাবেন, কীভাবে ব্যাখ্যা দেবেন, তার একটি স্পষ্ট ধারণা পায় ইন্টারভিউ বোর্ড। তাই নিয়োগে গতি আসার পাশাপাশি প্রার্থীরা বুঝতে পারছেন যে তাদের দক্ষতা, আত্মবিশ্বাস এবং বিষয়জ্ঞানকে যথাযথভাবে প্রকাশ করতে হবে।
এসএসসি তাদের অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এই চার বিষয়ে ইন্টারভিউ সম্পূর্ণ স্বচ্ছ, ডিজিটালি রেকর্ড করা এবং নজরদারির মধ্যে করা হবে। প্রার্থী যাচাইয়ের জন্য পৃথক প্যানেল বসানো হয়েছে, যেখানে থাকবেন সহকারী শিক্ষক, বিষয় বিশেষজ্ঞ এবং প্রশাসনিক পর্যায়ের কর্মকর্তারা। এই ব্যবস্থাটি বহু বছর ধরে প্রার্থীদের যেসব অভিযোগ ছিল, যেমন নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার অভাব বা পক্ষপাতিত্ব সেসবের সমাধান হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে। প্যানেলে যারা থাকবেন তারা জ্ঞান যাচাইয়ের পাশাপাশি প্রার্থীর শিক্ষাদান পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা নেওয়ার চেষ্টা করবেন। কারণ উচ্চমাধ্যমিক স্তর এমন একটি পর্যায় যেখানে শিক্ষকরা শুধু পড়ান না, বরং ছাত্রদের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার কাজে একটি বড় ভূমিকা পালন করেন।
ইন্টারভিউ কেন্দ্রে ভোর থেকেই ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে। অনেকে পরিবার নিয়ে আসছেন, কেউ আসছেন একা। ভেতরে প্রবেশের আগেই উদ্বেগ, উত্তেজনা এবং আশা মিশ্রিত অনুভূতি দেখা যায়। কেউ মুখস্থ করা বিষয়বস্তুর তালিকা মনে মনে ঘুরে দেখছেন, কেউ গভীর শ্বাস নিচ্ছেন, কেউ আবার নীরবে ঈশ্বরের নাম জপ করছেন। অনেকের চোখেমুখে ক্লান্তি, কারণ বছরের পর বছর ধরে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ থাকায় তাদের মানসিক চাপ বেড়ে গিয়েছিল। তবুও আজ তারা আশাবাদী। কারণ অবশেষে তাদের অপেক্ষা ফল দিচ্ছে, অন্তত প্রক্রিয়াটি এগোচ্ছে।
এদিকে শিক্ষাক্ষেত্রে এই ইন্টারভিউ শুরু হওয়াকে বিশেষজ্ঞরা একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় পরিবর্তনের সূচনা হিসেবে দেখছেন। বহু স্কুলে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক সংকট দেখা দিয়েছে, বিশেষ করে বিজ্ঞান, গণিত, বাংলা, ইতিহাস এবং অন্যান্য মানবিক বিষয়ে। ছাত্রদের ক্লাস নিয়মিত না হওয়ায় শিক্ষা ব্যবস্থার মানও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। শিক্ষকের অভাবে অনেক স্কুলে একটি শিক্ষক একাধিক বিষয় তত্ত্বাবধানে বাধ্য হচ্ছিলেন। কেউ আবার নিজের বিষয় ছেড়ে অন্য বিষয় পড়াচ্ছিলেন শুধুমাত্র ছাত্রদের পড়াশোনা চালিয়ে নেওয়ার জন্য। কিন্তু নতুন শিক্ষক নিয়োগ শুরু হওয়ায় এই সংকট কাটবে বলে আশা করছেন শিক্ষাবিদরা। নতুন শিক্ষকরা যোগ দিলে ছাত্রদের উপকার হবে, ক্লাসরুমে নতুন উদ্দীপনা আসবে এবং শিক্ষার মানও উন্নত হবে।
প্রার্থীরা জানাচ্ছেন, ইন্টারভিউয়ের আগে তাদের নথিপত্র যাচাই করা হচ্ছে যথেষ্ট কঠোরভাবে। টেট নম্বর, শিক্ষাগত যোগ্যতা, প্রশিক্ষণ সনদ, বয়সসীমা সবকিছু খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে। যেকোনো ভুল নথি বা অমিল থাকলেই প্রার্থীকে বাতিল করা হচ্ছে। এসএসসি এই প্রক্রিয়াকে কঠোর করার কারণ হিসেবে বলেছে যে, তারা চায় ভবিষ্যতে আর কোনো অভিযোগ যেন ওঠে না, নিয়োগ প্রক্রিয়া যেন আদালতে না যায় এবং নির্বাচিত প্রার্থী সত্যিই যোগ্য হন। এই কঠোরতা যদিও কিছু প্রার্থীর মনে উদ্বেগ তৈরি করেছে, তবে বেশিরভাগই বলছেন স্বচ্ছ নিয়োগ হলে তাতেই আমরা খুশি।
ইন্টারভিউ বোর্ডে বসা কয়েকজন অভিজ্ঞ শিক্ষক বলেছেন যে, তারা কেবল বই মুখস্থ জ্ঞান দিয়ে কাউকে নম্বর দিচ্ছেন না। বরং তারা প্রার্থীর যুক্তি দেওয়ার ক্ষমতা, একটি বিষয়কে সহজভাবে ব্যাখ্যা করার দক্ষতা, ছাত্রদের সঙ্গে যোগাযোগের মনোভাব সবকিছু গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন। কেউ কেউ প্রশ্ন করছেন, যদি কোনো ছাত্র প্রশ্নটি বুঝতে না পারে, আপনি কীভাবে তাকে ব্যাখ্যা করবেন? আবার কেউ প্রশ্ন করছেন, অনলাইন ক্লাসে যদি ছাত্ররা মনোযোগ না দেয়, তখন আপনি কী করবেন? এসব প্রশ্নের জবাব প্রার্থীর পড়ানোর ব্যাকরণকে স্পষ্ট করে তোলে।
ইন্টারভিউয়ের বাইরে অপেক্ষা করা প্রার্থীদের মধ্যে নানা আলোচনাও চলছে। কেউ বলছেন তাদের নম্বর ভালো হয়েছে, কেউ বলছেন আত্মবিশ্বাস কমে গেছে। আবার কেউ বলছেন তারা প্রথমবার ইন্টারভিউ দিতে এসেছেন এবং অভিজ্ঞতা নিতে এসেছেন। অনেকেই জানিয়েছেন যে, তারা বিভিন্ন মক ইন্টারভিউ দিয়েছেন যাতে প্রশ্নের ধরণ বোঝা যায়। অনেক কোচিং সেন্টারও ইন্টারভিউ প্রস্তুতির জন্য বিশেষ ক্লাস নিয়েছে। কারণ সবাই জানেন, আজকের এই ইন্টারভিউ তাদের ভবিষ্যত গড়তে পারে।
ইন্টারভিউ শুরু হওয়ায় শুধু প্রার্থীদের নয়, শিক্ষাক্ষেত্রের বিভিন্ন মহলে এই খবর আলোড়ন ফেলেছে। বহু স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেছেন যে, নতুন শিক্ষক আসলে স্কুলের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন প্রাণ ফিরে আসবে। ছাত্রদের শেখার পরিবেশ উন্নত হবে, তাদের ওপর লক্ষ্য রাখা সহজ হবে এবং পরীক্ষার প্রস্তুতিও ভালো হবে। উচ্চমাধ্যমিক স্তরে সঠিক শিক্ষক পাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই স্তরের পড়াশোনা ছাত্রদের উচ্চশিক্ষা এবং জীবনগঠনের গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি তৈরি করে।
অন্যদিকে, প্রার্থীরা বলছেন এসএসসি যদি এই গতিতে পুরো ইন্টারভিউ প্রক্রিয়াটি শেষ করে ফেলতে পারে, তাহলে খুব দ্রুত নিয়োগপত্র পাবেন নতুন শিক্ষকরা। এদিকে এসএসসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা ইন্টারভিউ শেষ হওয়ার পর দ্রুততার সঙ্গে মার্কশিট প্রকাশ করবে এবং চূড়ান্ত মেধাতালিকা তুলে ধরবে। এরপর যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগপত্র প্রদান করা হবে।
এই পুরো প্রক্রিয়ার মধ্যেও প্রার্থীদের ধৈর্য, পরিশ্রম এবং মানসিক শক্তি সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করছে। বহু বছর ধরে যারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন, যাদের জীবনে একমাত্র লক্ষ্য ছিল শিক্ষকতা তারা আজকের এই পরিবর্তনের মুহূর্তকে ভবিষ্যতের সবচেয়ে বড় সুযোগ হিসেবে দেখছেন। তারা বিশ্বাস করছেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে এবং তারা ক্লাসরুমে দাঁড়িয়ে ছাত্রদের সামনে নতুন জীবন শুরু করবেন।
এসএসসি শিক্ষক নিয়োগে এই নতুন গতি কেবল একটি প্রশাসনিক পদক্ষেপ নয় এটি একটি প্রজন্মের স্বপ্নকে পুনরুজ্জীবিত করার মতো এক ইতিবাচক পরিবর্তন। উচ্চমাধ্যমিকে চারটি বিষয়ে ইন্টারভিউ শুরু হওয়ায় যেমন প্রার্থীরা স্বস্তি পেয়েছেন, তেমনি শিক্ষাক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা ফিরতে শুরু করেছে। শিক্ষা শুধু চাকরি নয়, এটি দায়িত্ব, আদর্শ এবং সমাজ গঠনের ভিত্তি। আর সেই ভিত্তিকে আরও শক্তিশালী করতে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার এই অগ্রগতি শিক্ষাব্যবস্থাকে নতুন দিক দেখাতে চলেছে।
এভাবে উচ্চমাধ্যমিকে চার বিষয়ে ইন্টারভিউ শুরু হওয়া শুধুই একটি খবর নয় এটি হলো ভরসার পুনর্জন্ম, স্বপ্নের পুনর্জাগরণ। বছরের পর বছর ধরে অপেক্ষা, ধৈর্য আর পরিশ্রমের প্রতিদান হিসেবে আবারো সামনে এগিয়ে চলার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষকতার মহৎ পেশায় প্রবেশ করবেন নতুনরা, আর সেই পথ ধরে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে পড়বে প্রতিটি স্কুলে, প্রতিটি ছাত্রের মনে।