মিশরের রাজধানী কায়রো আবারও আন্তর্জাতিক মনোযোগের কেন্দ্রে, কারণ সেখানে আয়োজন করা হচ্ছে দ্বিতীয় আঞ্চলিক টেকসই উন্নয়ন ফোরাম বা Regional Sustainable Development Forum-এর দ্বিতীয় সংস্করণ। Aspire Community Transformation যা Aspire Consulting International-এর কমিউনিটি-নির্ভর শাখা-এই বহুল প্রতীক্ষিত ফোরামটি আয়োজন করছে। ফোরামের ভেন্যু হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে Heliopolis University for Sustainable Development, যা মিশরসহ পুরো অঞ্চলে টেকসই শিক্ষা ও গবেষণার জন্য বিশেষ পরিচিত। টেকসই উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, সামাজিক দায়িত্ব এবং যুব নেতৃত্ব এই চারটি বড় ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে এই বছরের ফোরাম গড়ে উঠেছে।
মিশরের রাজধানী কায়রো ফের একবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ২০২৫ সালের নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে দ্বিতীয় “Regional Sustainable Development Forum”, যা শুধুই একটি অনুষ্ঠান নয়—বরং মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা অঞ্চলের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন, পরিবেশ রক্ষা, সবুজ অর্থনীতি, সামাজিক দায়িত্ব এবং যুব নেতৃত্বের বিশাল মিলনমেলা। এই ফোরাম আয়োজন করেছে Aspire Community Transformation (Aspire Consulting International-এর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট শাখা), এবং ফোরামের ভেন্যু হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে Heliopolis University for Sustainable Development, যা আধুনিক গবেষণা, শিক্ষা এবং টেকসই উন্নয়ন দর্শনের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত একটি কেন্দ্র।
এই ফোরাম এমন এক সময় অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তন, সামাজিক বৈষম্য, বৈশ্বিক সংঘাত, খাদ্য সংকট, যুব বেকারত্ব, পরিবেশগত দুর্যোগ এবং অর্থনৈতিক অস্থিরতা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অর্থাৎ টেকসই উন্নয়ন আর কোনো বিলাসবস্তু নয়—এখন এটি অস্তিত্ব রক্ষার পথ। শুধু উন্নয়ন নয়, দায়িত্বশীল উন্নয়নই আজকের চাহিদা। আর ঠিক সেই কারণেই কায়রোর এই ফোরাম আন্তর্জাতিক গুরুত্ব পেয়েছে।
এই আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে এমনভাবে যাতে আপনার বাংলা নিউজ চ্যানেল বা নিউজ ওয়েবসাইটে এটি সরাসরি প্রকাশযোগ্য হয়—গভীর বিশ্লেষণ, আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট, নীতি-পরিকল্পনা, ফোরামের উদ্দেশ্য, অংশগ্রহণকারী, চ্যালেঞ্জ-সম্ভাবনা এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার পূর্ণাঙ্গ চিত্রসহ।
এই ফোরামে উপস্থিত থাকছেন সরকারের বিভিন্ন শীর্ষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি, কর্পোরেট প্রধান, শিক্ষাবিদ, সমাজকর্মী, গবেষক এবং বিভিন্ন দেশের যুব নেতৃত্ব। প্রধান আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে সবুজ অর্থনীতি, জলবায়ু নীতি, কার্বন নির্গমন কমানো, নবায়নযোগ্য শক্তির প্রসার, সামাজিক উদ্যোগ, নারী ক্ষমতায়ন, সামাজিক ন্যায়বিচার, কর্মসংস্থান, শিক্ষা সংস্কার এবং আগামী দিনের নেতৃত্ব গঠনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিভিন্ন প্যানেল আলোচনা, রাউন্ড-টেবিল মিটিং, কর্মশালা এবং উদ্ভাবনী প্রদর্শনীর মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা অভিজ্ঞতা, প্রযুক্তি, সমাধান এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা একে অন্যের সাথে ভাগ করে নেবেন।
বিশ্বব্যাপী এখন জলবায়ু পরিবর্তন, যুব বেকারত্ব, সামাজিক বৈষম্য, খাদ্য সংকট এবং পরিবেশের অবনতি এক বড় সংকটে পরিণত হয়েছে। তাই আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং যৌথ পরিকল্পনার গুরুত্ব আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। কায়রোর এই ফোরাম সেই যৌথ সহযোগিতা এবং সমস্যা সমাধানের পথ খুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বিশেষ করে যুবকদের নেতৃত্বের মাধ্যমে আগামী দিনের টেকসই সমাজ গড়ে তোলাই এই আয়োজনের অন্যতম বড় উদ্দেশ্য।
এই ফোরাম মিশরের জন্যও বড় কৌশলগত সুযোগ। মিশর গত কয়েক বছরে সবুজ উন্নয়ন, স্মার্ট সিটি, নবায়নযোগ্য শক্তি, সামাজিক দায়িত্ব এবং শিক্ষা সংস্কারে বিশাল বিনিয়োগ করছে। এই ফোরাম দেশের আঞ্চলিক নেতৃত্বকে আরও শক্তিশালী করবে এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তাদের অবস্থানকে দৃঢ় করবে।
সব মিলিয়ে, Regional Sustainable Development Forum-এর দ্বিতীয় সংস্করণ শুধু একটি অনুষ্ঠান নয়—এটি টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ার একটি আঞ্চলিক প্রতিশ্রুতি, যা পরিবেশ, সমাজ, অর্থনীতি এবং যুবশক্তিকে একসূত্রে বেঁধে একটি উন্নত আগামী গড়ার পথ দেখাচ্ছে।
এই বছরের ফোরাম আয়োজন করছে Aspire Community Transformation—যারা ইতিপূর্বে বহু আঞ্চলিক প্রকল্পে নেতৃত্ব দিয়েছে। তারা সামাজিক দায়িত্ব, যুব-উন্নয়ন, টেকসই ব্যবসা, শিক্ষা-উন্নয়ন, নারী ক্ষমতায়ন এবং পরিবেশ বিষয়ক গবেষণার ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে কাজ করেছে।
ফোরামের প্রধান অংশীদার Heliopolis University for Sustainable Development, যা মিশরের প্রথম ‘‘সবুজ বিশ্ববিদ্যালয়’’ হিসেবে পরিচিত। বিশ্ববিদ্যালয়টি একটি স্বতন্ত্র মডেল—যেখানে পরিবেশ, সমাজ এবং অর্থনীতি তিনটি স্তম্ভকে ভিত্তি করে শিক্ষাদান পরিচালিত হয়। তাদের Social Responsibility Lab, Innovation Center, এবং Green Economy Department আন্তর্জাতিকভাবে বিশেষ প্রশংসিত।
এই ফোরামে উপস্থিত থাকবেন:
মিশরের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি
পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি
আঞ্চলিক সরকারগুলোর নীতি-নির্ধারক
আন্তর্জাতিক সংস্থা যেমন UNDP, ILO, WFP, Save the Children, IOM
বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত
শিক্ষাবিদ, গবেষক, উদ্যোক্তা
বৃহত্তর কর্পোরেট সেক্টরের CSR প্রধানেরা
যুব প্রতিনিধিরা, ছাত্রছাত্রী, সামাজিক নেতৃত্ব
সব মিলিয়ে এটি একটি ‘‘মাল্টি-স্টেকহোল্ডার প্লাটফর্ম’’—যেখানে একই টেবিলে সরকার, কর্পোরেট, গবেষক, আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং নাগরিক সমাজ বসে ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করবে।
দ্বিতীয় আঞ্চলিক টেকসই উন্নয়ন ফোরামের মূল লক্ষ্য চারটি বড় ক্ষেত্রে কেন্দ্রীভূত:
বিশ্বের ১৭টি SDG লক্ষ্য অর্জনকে কেন্দ্র করে এর পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে।
ﺭ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা
ﺭ দারিদ্র্য হ্রাস
ﺭ স্বাস্থ্য-শিক্ষা-জল নিরাপত্তা
ﺭ গ্রিন টেকনোলজি
ﺭ নবায়নযোগ্য শক্তি
ﺭ সামাজিক ন্যায্যতা
এসব লক্ষ্য অর্জনে মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা এবং দক্ষিণ এশিয়া একসঙ্গে কাজ করার প্রয়োজন রয়েছে।
কর্পোরেট সেক্টরকে শুধু ব্যবসা নয়, বরং সামাজিক উন্নয়নেও সরাসরি যুক্ত করার জন্য নতুন মডেল নিয়ে আলোচনা হবে।
Corporates are now expected to be “partners in development” — শুধু দাতা নয়, বরং পরিবর্তনের সক্রিয় চালক।
যুব সমাজ কোনো দেশের উন্নয়নে সবচেয়ে বড় শক্তি। কিন্তু সঠিক দিকনির্দেশনা, দক্ষতা, শিক্ষা, নেতৃত্ব এবং সুযোগের অভাবে তারা পিছিয়ে পড়ে।
এই ফোরাম পুরোপুরি Youth-Centric Approach নিচ্ছে—
যুব প্যানেল
উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা
নেটওয়ার্কিং সেশন
সামাজিক উদ্যোগ আইডিয়া প্রদর্শন
এগুলো মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের নেতৃত্ব উঠে আসবে।
জলবায়ু পরিবর্তন এখন জাতীয় সীমারেখা মানে না।
এর মোকাবিলায়
নবায়নযোগ্য শক্তি
পানি ব্যবস্থাপনা
বর্জ্য পুনর্ব্যবহার
কৃষিতে সবুজ প্রযুক্তি
টেকসই নগরায়ন
এসব বিষয় বড় ভূমিকা রাখবে।
এই ফোরাম শুধুমাত্র বক্তৃতার মঞ্চ নয়—বরং সমাধানের মঞ্চ। কয়েকটি মূল সেশন:
নবায়নযোগ্য শক্তির ভবিষ্যৎ
পরিবেশ-বান্ধব শিল্প
কার্বন নির্গমন কমানোর পথ
নগর সবুজায়ন
নারী নেতৃত্ব
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন
সামাজিক উদ্যোগের অর্থায়ন
স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম
ভবিষ্যতের শিক্ষা
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং শিক্ষায় প্রযুক্তি
নৈতিকতা এবং সামাজিক আচরণ
কর্মসংস্থানের ভবিষ্যৎ
যুব নেতৃত্ব বিকাশ
আঞ্চলিক নীতিনির্ধারণে যুব অবদান
তরুণ উদ্যোক্তাদের সুযোগ
আজ আমাদের পৃথিবী এক কঠিন বাস্তবতার মধ্যে দাঁড়িয়ে:
বরফ গলছে
নদী শুকাচ্ছে
খাদ্য সংকট বাড়ছে
বেকারত্ব ভয়ংকর
দারিদ্র্য বাড়ছে
যুদ্ধ–রাজনৈতিক সংঘাত অস্থিরতা বাড়াচ্ছে
বিশ্বের কোনও দেশই একা এই সমস্যার সমাধান করতে পারবে না।
তাই অঞ্চলভিত্তিক সহযোগিতা, যৌথ কৌশল, প্রযুক্তি ভাগাভাগি এবং সমন্বিত উন্নয়ন পরিকল্পনা ছাড়া ভবিষ্যতে এগোনো অসম্ভব।
এই ফোরাম সেই কারণেই খুব গুরুত্বপূর্ণ—এটি আঞ্চলিক সংহতি তৈরি করছে।
মিশর এই ফোরাম আয়োজন করে বিশ্বের সামনে একটি বার্তা দিচ্ছে:
— আমরা শুধু দর্শক নই, আমরা নেতৃত্ব দেব।
মিশর গত কয়েক বছর ধরে:
স্মার্ট সিটি
সবুজ শক্তি
তরুণ সমাজ গঠন
শিক্ষা রূপান্তর
নারীর ক্ষমতায়ন
স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম
এ সব ক্ষেত্রে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে।
এ ফোরাম তাদের আঞ্চলিক নেতৃত্ব আরও শক্তিশালী করবে।
এই বিশ্ববিদ্যালয়টি টেকসই উন্নয়ন শিক্ষার অনন্য উদাহরণ।
এখানে—
প্রকৃতি–সম্মত গবেষণা
Green Tech Lab
পরিবেশ-বান্ধব স্থাপত্য
বর্জ্য পুনর্ব্যবহার ব্যবস্থা
ছাত্র-ছাত্রীদের বাস্তব অভিজ্ঞতা
এসবই টেকসই উন্নয়নের ভবিষ্যৎ গড়ছে।
ফোরামের সেশনগুলোও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস জুড়ে অনুষ্ঠিত হবে—যেখানে বাস্তব গবেষণা, উদ্ভাবন এবং আন্তর্জাতিক মতবিনিময় চলবে।
মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার অনেক দেশই একই সমস্যার সম্মুখীন—
পানি সংকট
খাদ্য উৎপাদন সমস্যা
শিক্ষা সংকট
যুব বেকারত্ব
জলবায়ু সমস্যা
ফোরামের আলোচনায় যৌথ পরিকল্পনা তৈরি হবে।
যুব উদ্যোক্তাদের জন্য নতুন দরজা খুলে যাবে।
CSR, ইনকিউবেশন, ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টমেন্ট—সব মিলিয়ে উন্নয়নের নতুন বাজার তৈরি হবে।
আগে CSR মানে ছিল দান বা অনুদান।
এখন CSR হলো বিনিয়োগ—উন্নয়ন-ব্যবসার অংশ।
ফোরাম কর্পোরেটদের বড় ভূমিকা নিতে উৎসাহিত করবে।
এই ফোরাম শুধু দুই দিনের অনুষ্ঠান নয়—
এটি আগামী দশকের উন্নয়ন–দর্শনের ভিত্তি।
বৈশ্বিক সংকট, পরিবেশ বিপর্যয়, সামাজিক বৈষম্য—এসব মোকাবিলা করতে হলে সরকার, কর্পোরেট, সমাজ এবং যুবক সমাজকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
কায়রোর এই ফোরাম সেই পথ তৈরি করছে।
দ্বিতীয় Regional Sustainable Development Forum নিয়ে উত্তেজনা শুধু মিশর বা মধ্যপ্রাচ্যে নয়—এশিয়া, আফ্রিকা এবং আন্তর্জাতিক মহলেও এই আলোচনার ঢেউ ছড়িয়ে পড়ছে।
টেকসই ভবিষ্যৎ গড়তে হলে সমন্বিত পরিকল্পনা, বৈজ্ঞানিক গবেষণা, সবুজ প্রযুক্তি, জলবায়ু নীতি এবং যুব নেতৃত্ব—এগুলোই মূল স্তম্ভ।
এই ফোরাম একটি অঞ্চলের নয়, বরং পুরো বিশ্বের ভবিষ্যতের সাথী হতে চলেছে।