মেমারির দশ নম্বর ওয়ার্ডে উপপ্রধান সুপ্রিয় সামন্তের নেতৃত্বে আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান প্রকল্পটি নতুন উদ্দীপনায় শুরু হয়েছে। দীর্ঘদিনের জল নিকাশি রাস্তা আলো ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধান করে তিনি এলাকাবাসীর আস্থা অর্জন করেছেন। সরেজমিনে পরিদর্শন মানুষের অংশগ্রহণ এবং সক্রিয় প্রশাসনিক পদক্ষেপের ফলে প্রকল্পটি এখন মেমারির উন্নয়নের সফল মডেল। তাঁর উদ্যোগে পাড়ায় পাড়ায় দৃশ্যমান পরিবর্তন মানুষের জীবনে বাস্তব উন্নয়ন এনে দিচ্ছে।
আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান প্রকল্পটি উপপ্রধান সুপ্রিয় সামন্তের নেতৃত্বে মেমারিতে দশ নম্বর ওয়ার্ডে মতো সহজ ভাবনায় শুরু হয়েছে এবং আজ তা এক বিস্তৃত সামাজিক এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন উদ্যোগে পরিণত হয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের মেমারি অঞ্চলে এই প্রকল্পটি মানুষের দীর্ঘদিনের নিত্যদিনের সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে তৈরি হলেও বাস্তবে এটি মানুষের জীবনে যে গভীর পরিবর্তন এনেছে তা সত্যিই চোখে পড়ার মতো। শুরুতে এই প্রকল্পের লক্ষ্য ছিল প্রতিটি পাড়ায় জমে থাকা সাধারণ অসুবিধাগুলোকে চিহ্নিত করে দ্রুত সমাধান করা কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই প্রকল্প এলাকাবাসীর আস্থা এবং অংশগ্রহণকে কেন্দ্র করে এমন এক শক্তিশালী উন্নয়ন মডেলে পরিণত হয়েছে যা আজ মেমারির পরিচয়কে বদলে দিচ্ছে। উপপ্রধান সুপ্রিয় সামন্ত এই প্রকল্পের মূল ভাবনাটিকে বুঝেছিলেন মানুষের প্রত্যাশা এবং বাস্তব সমস্যার মাটির কাছাকাছি দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। তিনি অনুভব করেছিলেন যে শহরের সমস্যাগুলো শুধু নথি বা ফাইলের মাধ্যমে বোঝা যায় না। তাই দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি নিজে প্রতিটি ওয়ার্ডে গিয়ে মানুষের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন। কোথাও জল পাচ্ছে না মানুষ, কোথাও ড্রেন বন্ধ হয়ে জল জমে আছে, কোথাও রাস্তা ভেঙে চলাফেরা কষ্টকর, কোথাও রাতে অন্ধকার নামে কারণ স্ট্রিট লাইট নেই, এই সব সমস্যার বাস্তব রূপ তিনি কাছ থেকে দেখেছেন। এলাকাবাসীও দেখেছেন একজন প্রশাসনিক প্রতিনিধি তাদের কাছে গিয়ে সমস্যার কথা শুনছেন, পরিস্থিতি অনুভব করছেন এবং সঙ্গে সঙ্গে সমাধানের আশ্বাস দিচ্ছেন। এর ফলে মানুষের মনে উপপ্রধান সুপ্রিয় সামন্তের প্রতি এক বিশেষ আস্থা তৈরি হয়। মেমারি পৌর এলাকার বহু ওয়ার্ডে নিকাশি সমস্যা ছিল দীর্ঘদিনের মাথাব্যথা। বর্ষার সময় ড্রেন উপচে পড়া, পাড়ার রাস্তায় জল আটকানো, দুর্গন্ধ, রোগবালাইয়ের আশঙ্কা—এগুলো যেন নিত্যদিনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সুপ্রিয় সামন্ত দায়িত্ব পাওয়ার পর এই সমস্যাকে প্রাধান্য দিয়েই কাজের সূচনা করেন। তাঁর তত্ত্বাবধানে দ্রুত ড্রেন পরিষ্কারের বিশেষ অভিযান শুরু হয়। বছরের পর বছরের জমে থাকা ময়লা এবং কাদা অপসারণের ফলে ড্রেনগুলি আবার চলাচল সক্ষম হয়। মানুষ সামনাসামনি দেখেছে তাদের পাড়ার সেই জ্যাম হয়ে থাকা ড্রেনগুলো একে একে পরিষ্কার হচ্ছে এবং বর্ষায় আর আগের মতো জল দাঁড়াচ্ছে না। এতে তাদের মনে প্রকল্পটির ওপর আরও গভীর বিশ্বাস জন্মেছে। পরবর্তী বড় সমস্যা ছিল পানীয় জলের অপ্রতুলতা। কোথাও পাইপলাইনে লিকেজ ছিল, কোথাও মোটর নষ্ট হয়ে পড়েছিল, কোথাও ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করা হয়নি অনেক দিন। সুপ্রিয় সামন্ত নিজে এই সমস্যার তালিকা তৈরি করেন এবং একে একে প্রতিটি স্থানে গিয়ে বাস্তব পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন। তিনি দ্রুত নষ্ট মোটর বদলানোর ব্যবস্থা করেন, যেসব ট্যাঙ্কে ময়লা জমেছিল সেখানে পরিষ্কার করে নতুনভাবে সংস্কার করানো হয়। অনেক এলাকায় নতুন পাইপলাইন বসানো হয় এবং কোথাও কোথাও পুরনো লাইন মেরামত করে জলের প্রবাহ স্বাভাবিক করা হয়। এর ফলে মানুষ প্রতিদিন নিয়মিত জল পাওয়ার সুবিধা পেতে শুরু করে। রাস্তা সংস্কারের কাজ ছিল প্রকল্পটির অন্যতম সফল দিক। মেমারির বিভিন্ন ওয়ার্ডে কাঁচা বা ভাঙা রাস্তায় মানুষের চলাচল অত্যন্ত কষ্টদায়ক ছিল। বিশেষ করে স্কুল পড়ুয়া এবং অফিসগামী মানুষ বর্ষাকালে সমস্যায় পড়তেন বেশি। এই বিষয়ে সুপ্রিয় সামন্ত অত্যন্ত উদ্যোগী ভূমিকা পালন করেন। তিনি দ্রুততার সঙ্গে রাস্তা সংস্কারের টেন্ডার অনুমোদন করিয়ে কাজ শুরু করান। কোথাও পাথর বসিয়ে রাস্তা মজবুত করা হয়েছে, কোথাও নতুন সিমেন্টের ঢালাই তৈরি হয়েছে, আবার কোথাও পুরনো রাস্তা সংস্কার করে চলাচল উপযোগী করা হয়েছে। পাড়ায় পাড়ায় এই পরিবর্তন সরাসরি দেখার ফলে মানুষ অনুভব করতে পারেন সত্যিই উন্নয়ন হচ্ছে। স্ট্রিট লাইট সমস্যা মেমারির আরেকটি বড় উদ্বেগ ছিল। রাতে গলি অন্ধকার থাকলে মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেন বিশেষত মহিলারা। সুপ্রিয় সামন্ত অন্ধকার এলাকাগুলি চিহ্নিত করে সেখানে একে একে নতুন এল ই ডি স্ট্রিট লাইট বসানোর ব্যবস্থা করেন। এর ফলে অন্ধকার দূর হয়ে নিরাপত্তা বৃদ্ধি পায় এবং মানুষ নির্ভয়ে চলাফেরা করতে পারেন। অনেক মহিলা রাতের কাজ থেকে ফিরতে এখন আর আগের মতো ভয় পান না। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ক্ষেত্রে প্রকল্পটি এনেছে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন। আগে অনেক এলাকায় প্রতিদিন ভ্যান না যাওয়ায় রাস্তার মোড়ে মোড়ে ময়লা জমে থাকত। এতে দুর্গন্ধ এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ত। উপপ্রধান সুপ্রিয় সামন্ত পৌরসভার কর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় করে বর্জ্য সংগ্রহের কাজে গতি আনেন। তিনি নিয়মিত ভ্যান চলাচল নিশ্চিত করেন এবং বহু এলাকায় নতুন ডাস্টবিন বসানোর নির্দেশ দেন। শুধু তাই নয় তিনি স্থানীয় ক্লাব যুব সমাজ এবং মহিলাদের যুক্ত করে স্বেচ্ছাসেবী পরিচ্ছন্নতা উদ্যোগ গড়ে তোলেন। এতে মানুষ নিজেরাই নিজেদের পাড়া পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব নিতে শুরু করেছে। এই প্রকল্পের সবচেয়ে বড় সাফল্য মানুষের মানসিক পরিবর্তন। আগে মানুষ ভাবতেন কোনো সমস্যা হলে পৌরসভার দপ্তরে অভিযোগ জানাতে হবে আর তারপর অপেক্ষা করতে হবে মাসের পর মাস। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। মানুষ দেখছেন উপপ্রধান নিজেই মাঠে নেমে কাজ করছেন তাই তাঁরা নিজেরাও এগিয়ে আসছেন। কোথাও ড্রেনে ময়লা জমলে তারা সঙ্গে সঙ্গে জানাচ্ছেন কোথাও রাস্তার আলো নষ্ট থাকলে তাতেই অভিযোগ জানাচ্ছেন আবার কোথাও কেউ ময়লা ফেললে প্রতিবাদ করছেন। এই জনসচেতনতা মেমারিকে আরও পরিচ্ছন্ন সুশৃঙ্খল এবং উন্নত করে তুলছে। আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো সামাজিক সচেতনতা কর্মসূচি। সুপ্রিয় সামন্ত বুঝেছিলেন শুধু রাস্তা ড্রেন বা আলো ঠিক করলেই উন্নয়ন সম্পূর্ণ হয় না মানুষের সামাজিক সচেতনতা বাড়ানোও জরুরি। তাই তিনি বিভিন্ন কর্মসূচি আয়োজন করেন। পরিবেশ রক্ষা নিয়ে প্রচার কর্মসূচি কিশোর কিশোরীদের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা মহিলাদের স্বাস্থ্য সচেতনতা শিবির প্লাস্টিকমুক্ত পাড়া গড়ার উদ্যোগ এসবই মানুষের মধ্যে নতুন চিন্তাভাবনার জন্ম দিয়েছে। যুব সমাজকেও বিভিন্ন খেলাধুলার মাধ্যমে সক্রিয় করে তোলা হয়েছে। তিনি একাধিক খেলার মাঠ পরিষ্কার ও সংস্কার করিয়ে খেলাধুলার পরিবেশ তৈরি করেন যাতে যুবকরা সুস্থ ও ইতিবাচক মানসিকতার দিকে এগিয়ে যেতে পারে। প্রকল্পটির পথচলা একেবারে সহজ ছিল না। অনেক এলাকায় মানুষ প্রথমে সহযোগী হতে চাননি আবার কোথাও দীর্ঘদিনের সমস্যার কারণে মানুষের ক্ষোভ ছিল। বাজেটের সীমাবদ্ধতা এবং পুরনো অব্যবস্থার চাপও ছিল অনেক। কিন্তু সুপ্রিয় সামন্তের ধৈর্য আন্তরিকতা জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং নিরলস পরিশ্রম এই সব বাধাকে অতিক্রম করেছে। তিনি মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে প্রমাণ করেছেন প্রশাসন চাইলে মানুষের সঙ্গেই থেকে উন্নয়ন করতে পারে। আজ মেমারির মানুষ গর্বের সঙ্গে বলতে পারেন তাদের পাড়া বদলে গেছে। ভাঙা রাস্তা এখন মসৃণ পথ অন্ধকার গলি এখন উজ্জ্বল আলোতে ভরা বন্ধ ড্রেন এখন পরিষ্কার নিকাশি ব্যবস্থায় রূপান্তরিত। জল সমস্যার সমাধান হয়েছে বেশিরভাগ এলাকায়। মানুষ অনুভব করছেন তারা যেন এই উন্নয়নের অংশ এবং তাই এই প্রকল্প শুধু প্রশাসনের নয় মানুষেরও প্রকল্প হয়ে উঠেছে। উপপ্রধান সুপ্রিয় সামন্তের নেতৃত্বে এই প্রকল্পটি আজ মেমারিতে এক অসাধারণ উদাহরণ সৃষ্টি করেছে যেখানে উন্নয়ন কেবল কাগজে কলমে নেই তা বাস্তবে মানুষের জীবনে স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। তাঁর নিরলস প্রচেষ্টা ভবিষ্যতের মেমারির ভিত্তিকে সুদৃঢ় করছে এবং আগামী প্রজন্মের জন্য একটি আরও সুন্দর পরিচ্ছন্ন নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করছে। এইভাবে আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান প্রকল্প আজ মেমারির মানুষের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিচ্ছে এবং এক নতুন উন্নয়নের দিশা দেখাচ্ছে। সরেজমিনে পরিদর্শন মানুষের অংশগ্রহণ এবং সক্রিয় প্রশাসনিক পদক্ষেপের ফলে প্রকল্পটি এখন মেমারির উন্নয়নের সফল মডেল। তাঁর উদ্যোগে পাড়ায় পাড়ায় দৃশ্যমান পরিবর্তন মানুষের জীবনে বাস্তব উন্নয়ন এনে দিচ্ছে।ফলে প্রকল্পটি আজ মেমারির বাস্তব উন্নয়নের এক উজ্জ্বল মডেলে পরিণত হয়েছে।