Lenspedia Bangla Logo
  • কলকাতা
  • 30℃ Purba Bardhaman

কেন্দ্রীয় প্রকল্পে অনিয়মের ছাপ: ১৭৮ প্রশিক্ষণকেন্দ্র কালো তালিকাভুক্ত, সর্বাধিক উত্তরপ্রদেশে

অভিযোগ উঠেছে, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বাস্তবায়নে অনেক ক্ষেত্রে নিয়ম উলঙ্ঘন করা হচ্ছে। কোথাও ভুয়ো নথিপত্র দেখানো হয়েছে, কোথাও এমন প্রশিক্ষণকেন্দ্র দেখানো হয়েছে যার বাস্তবিক কোনও অস্তিত্ব নেই। এছাড়া পড়ুয়াসংখ্যা ভুল দেখিয়ে অতিরিক্ত বিল জমা দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

কেন্দ্রীয় প্রকল্পে অনিয়মের ছাপ: ১৭৮ প্রশিক্ষণকেন্দ্র কালো তালিকাভুক্ত, সর্বাধিক উত্তরপ্রদেশে
সরকারি প্রকল্প

কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনার বাস্তবায়নে বড়সড় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, বেশ কিছু প্রশিক্ষণকেন্দ্রে নিয়ম মেনে কাজ হচ্ছে না। কোথাও ভুয়ো নথিপত্র দেখানো হয়েছে, কোথাও এমন কেন্দ্র চালু দেখানো হয়েছে যার বাস্তবিক কোনও অস্তিত্ব নেই। এছাড়া পড়ুয়াসংখ্যা ভুল দেখিয়ে অতিরিক্ত বিল জমা দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র ইতিমধ্যেই ১৭৮টি ‘ট্রেনিং সেন্টার’ এবং ‘ট্রেনিং পার্টনার’-কে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সবচেয়ে বেশি অনিয়ম ধরা পড়েছে উত্তরপ্রদেশে (৫৯টি), এরপর দিল্লি (২৫টি), মধ্যপ্রদেশ (২৪টি) এবং রাজস্থান (২০টি)। উল্লেখযোগ্যভাবে, এই চারটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বর্তমানে বিজেপি সরকার রয়েছে। এছাড়া জম্মু ও কাশ্মীর, মহারাষ্ট্র, ছত্তীসগঢ়, মিজোরাম, তেলঙ্গানা এবং তামিলনাড়ুরও একটি করে প্রশিক্ষণকেন্দ্রকে কালো তালিকায় ফেলা হয়েছে।

‘ট্রেনিং সেন্টার’ বলতে বোঝায় যেখানে প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, আর ‘ট্রেনিং পার্টনার’ হলো সেই সংস্থা বা ব্যক্তি যারা প্রশিক্ষণ প্রদান করে। এই ১৭৮টির মধ্যে ১২২টি ক্ষেত্রে কেন্দ্র এবং পার্টনার ভিন্ন নামে নথিভুক্ত, বাকি ৫৬টির ক্ষেত্রে একই নামে।

news image
আরও খবর

কেন্দ্র জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির দফতরের প্রিন্সিপাল সচিব এবং প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের চিঠি পাঠানো হয়েছে। কালো তালিকাভুক্ত প্রশিক্ষণকেন্দ্রগুলির থেকে টাকা পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপও গ্রহণ করা হচ্ছে।

‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন পর্ষদ ও মন্ত্রক নিয়ম ভাঙা প্রশিক্ষণকেন্দ্রগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করেছে। তথ্যের অধিকার আইনের আওতাতেও সংবাদমাধ্যম তথ্য চেয়েছিল, কিন্তু গোপনীয়তা এবং তদন্তের স্বার্থে তা সরবরাহ করা হয়নি। তবে আঞ্চলিক কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কালো তালিকার তথ্য পাওয়া গেছে।

Preview image