Lenspedia Bangla Logo
  • কলকাতা
  • 30℃ Purba Bardhaman

দায়িত্বের ৩ বছর পূর্ণ, রাজ্যপাল এবার গণবিবাহ করবেন রাজভবনে, আবেদন প্রক্রিয়া চালু

চলতি মাসের ২৩ তারিখে রাজভবনের উদ্যোগে ১০০ জন দুঃস্থ যুবক-যুবতীর গণবিবাহ অনুষ্ঠিত হবে। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৬ নভেম্বর।

দায়িত্বের ৩ বছর পূর্ণ, রাজ্যপাল এবার গণবিবাহ করবেন রাজভবনে, আবেদন প্রক্রিয়া চালু
বিনোদন

রাজভবনের উদ্যোগে ১০০ দুঃস্থ যুগলের গণবিবাহ, শুরু আবেদন গ্রহণ

২৩ নভেম্বর। তিন বছর আগে এই দিনেই পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসাবে দায়িত্বগ্রহণ করেছিলেন সিভি আনন্দ বোস। সেই তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এবার রাজভবন আয়োজন করছে বিশেষ উদ্যোগ— ১০০ জন দুঃস্থ যুবক-যুবতীর গণবিবাহ। এই অনুষ্ঠানের জন্য আবেদনগ্রহণের প্রক্রিয়াও ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ নভেম্বর।

রাজভবনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এই গণবিবাহের জন্য আবেদন করতে পারবেন স্পেশ্যাল ম্যারেজ অ্যাক্টের আওতাভুক্ত নন এমন বিবাহযোগ্য যুগলের অভিভাবক। আবেদনে উল্লেখ করতে হবে বর ও কনের নাম, ঠিকানা, পেশা, বয়সের বৈধ প্রমাণের নথি, আধার নম্বর, পিতামাতা বা আইনি অভিভাবকের বিবরণ, পরিবারের বাৎসরিক আয় ইত্যাদি। এছাড়া আবেদনে উল্লেখ থাকতে হবে বর-কনের সম্মতি, বিয়ের রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে কি না এবং ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে থাকলে সংশ্লিষ্ট নথি সংযুক্ত করতে হবে। সবশেষে, গ্রামীণ প্রশাসনিক আধিকারিক বা কোনো গেজেটেড অফিসারের প্রদত্ত সার্টিফিকেটের মাধ্যমে তথ্যগুলির সত্যতা যাচাই করতে হবে।

news image
আরও খবর

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, রাজভবন শুধুমাত্র বিবাহ অনুষ্ঠান আয়োজন এবং তার ব্যয়ভার বহন করবে। প্রতিটি যুগলকে প্রতীকী উপহারও প্রদান করা হবে। প্রত্যেক যুগলের সঙ্গে তাদের বাবা-মা ও আত্মীয়স্বজন মিলিয়ে সর্বোচ্চ ১০ জন অতিথি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারবেন। অনুষ্ঠানটিতে সর্বাধিক ১০০ জন যুগলের বিবাহের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

ঐতিহ্যবাহী রাজভবনে এর আগে বহু সাংস্কৃতিক ও আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে গণবিবাহের এই আয়োজন এবারের প্রথম। রাজভবনের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, রাজ্যপাল পদে সিভি আনন্দ বোসের তৃতীয় বর্ষপূর্তির প্রেক্ষিতে এমন কিছু কর্মসূচি ভাবা হয়েছিল যা একাধারে গঠনমূলক এবং কল্যাণকর। তাই শেষমেষ গণবিবাহকে এই উদ্যোগের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে।

এই উদ্যোগের মাধ্যমে রাজভবন শুধু সামাজিক দায়িত্ব পালন করছে না, বরং সুবিধাবঞ্চিত যুবক-যুবতীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ গঠনমূলক অনুষ্ঠানও বাস্তবায়িত হচ্ছে। অনুষ্ঠানের আয়োজন, ব্যবস্থাপনা ও আবেদনের প্রক্রিয়া সকলেই দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে—যাতে কল্যাণকর উদ্যোগের মাধ্যমে সমাজের অন্তর্ভুক্তি ও সমতা নিশ্চিত করা যায়।

Preview image