Lenspedia Bangla Logo
  • কলকাতা
  • 30℃ Purba Bardhaman

এলএ র উপরে পারমাণবিক ধূলা ভাসাতে চাইনি’: Donald Trump আবার দাবি করলেন ভারত পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির জন্য নিজেই দায়ী; বললেন, দুই দেশে তিনি ৩৫০ % শুল্ক হুমকি দিয়েছিলেন।

Donald Trump যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে এক বার আবার দাবি করেছেন যে, India ও Pakistan‑এর মধ্যকার যুদ্ধকে তিনি থামিয়েছেন। তিনি বলছেন, তিনি উভয় দেশকে “৩৫০ % শুল্ক” (tariff) আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন যাতে তারা পারমাণবিক সংঘাতে না যায় — “আমি না চাইছিলাম লস অ্যাঞ্জেলেস‑এর ওপর পারমাণবিক ধুলো ভাসছে” বলে তাঁর ভাষ্য। তবে ভারত এই দাবি স্পষ্টভাবে ভুল বলে উল্লেখ করেছে, বলেছে যুদ্ধবিরতি তাদের মধ্যকারই একচেটিয়া আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে হয়েছে, কোনো তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা নেই।

এলএ র উপরে পারমাণবিক ধূলা ভাসাতে চাইনি’: Donald Trump আবার দাবি করলেন ভারত পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির জন্য নিজেই দায়ী; বললেন, দুই দেশে তিনি ৩৫০ % শুল্ক হুমকি দিয়েছিলেন।
International Relations

এলএ র উপরে পারমাণবিক ধূলা ভাসাতে চাইনি’: Donald Trump আবার দাবি করলেন ভারত পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির জন্য নিজেই দায়ী; বললেন, দুই দেশে তিনি ৩৫০ % শুল্ক হুমকি দিয়েছিলেন।

Donald Trump যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে এক বার আবার দাবি করেছেন যে, India ও Pakistan‑এর মধ্যকার যুদ্ধকে তিনি থামিয়েছেন। তিনি বলছেন, তিনি উভয় দেশকে “৩৫০ % শুল্ক” (tariff) আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন যাতে তারা পারমাণবিক সংঘাতে না যায় — “আমি না চাইছিলাম লস অ্যাঞ্জেলেস‑এর ওপর পারমাণবিক ধুলো ভাসছে” বলে তাঁর ভাষ্য। তবে ভারত এই দাবি স্পষ্টভাবে ভুল বলে উল্লেখ করেছে, বলেছে যুদ্ধবিরতি তাদের মধ্যকারই একচেটিয়া আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে হয়েছে, কোনো তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা নেই।

 

পটভূমি

১) এপ্রিলে ভারতের কাশ্মীরের পাহালগামের হামলায় ২৬ জন নিহত হয় — এরপর উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়।

২) মে মাসের প্রথম দিকে ভারত পাকিস্তানে ‘Operation Sindoor’ নামের প্রতিরোধমূলক অভিযান চালায়।
৩) শেষে ১০ মে ২০২৫ তারিখে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়।
৪) সেই প্রেক্ষাপটে, ট্রাম্প দাবি করছেন যিনি এটাকে রোধ করেছেন। ভারত ইতিমধ্যে তা প্রত্যাখ্যান করেছে

ট্রাম্পের দাবি

  • ট্রাম্প বলেন: “ভারত ও পাকিস্তান পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে লড়াই করতে যাচ্ছিল — আমি বলেছি, তোমরা যাক, তবে আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য হবে না, ৩৫০ % শুল্ক থাকবে।”
  • তিনি আরও বলেছেন, “আমি লস অ্যাঞ্জেলেসের ওপর পারমাণবিক ধুলো ভেসে যেতে দেব না।”
  • তিনি এ প্রক্রিয়ায় নিজের অবদান নিচ্ছেন এবং বলছেন আন্তর্জাতিকভাবে শান্তিতে ভূমিকা রেখেছেন।

ভারত ও পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া

  • ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, ভারত কোনো বহিরাগত চাপের কারণে যুদ্ধবিরতি আনেনি — তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, “আমরা আমাদের সামরিক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে শেষ করেছি, চাপেই নয়।”
  • পাকিস্তান সরকারের দিকে থেকে ট্রাম্পের দাবিকে ইতিবাচক তালিকায় দেখা হয়েছে — পাকিস্তান তার এই মধ্যস্থতায় সাড়া দিয়েছে। (যেমন – ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য সুপারিশ)
  • ভারতীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছে, দুই দেশের সেনাপ্রধানদের মধ্যেই যোগাযোগ এবং যৌথ প্রস্তুতির ভিত্তিতে যুদ্ধবিরতি হয়েছে, তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ নেই।

·


বিশ্লেষণ এবং গুরুত্ব

কেন এই দাবি গুরুত্বপূর্ণ?

  • ভারত‑পাকিস্তান হল দুটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। যুদ্ধবিরতির ক্ষেত্রে মিডিয়েটরশিপ (মধ্যস্থতা) বা তৃতীয়‑পক্ষীয় চাপের দাবি উঠলে তা পুরো অঞ্চলের স্থিতিশীলতার দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ।
  • ট্রাম্পের দাবির বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের বড় ধরণের কূটনৈতিক সফলতার দাবি হিসেবে ধরা হচ্ছে — যদিও তা বিতর্কের মুখে।
  • ভারত–পাকিস্তান সংকট সাধারণত আলোচনায় আসে কাশ্মীর, সীমান্ত উত্তেজনা, সন্ত্রাসবাদ ইত্যাদি কারণে; এই ক্ষেত্রে ‘শুল্ক হুমকি’সহ দাবি একদম নতুন রূপ নিচ্ছে।

ভয়াবহতা ও সম্ভাব্য বিপদ

  • যদি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের দিকে সংকট গড়ায়, তাহলে শুধু দক্ষিণ এশিয়া নয়, আন্তর্জাতিকভাবে ভয়াবহ ফল হতে পারে। ট্রাম্পের উদ্ধৃতিতে “পারমাণবিক ধুলো লস অ্যাঞ্জেলেসের ওপর ভেসে যাবে” অংশ এই সম্ভাব্য ভয়কে প্রতিফলিত করে।
  • যুদ্ধবিরতির পরও সীমান্ত বর্বরতা বা ছোটখাটো সংঘর্ষ থামে নি — সংকট অব্যাহত থাকতে পারে।
  • প্রশ্নবিদ্ধ দিক
  • একাধিক বিশ্লেষক এবং ভারতীয় সরকার নিশ্চিত করেছেন যে ট্রাম্পের উপস্থিতি বা হস্তক্ষেপের কোনো তথ্য নেই — তাই তার দাবির বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নের মুখে।

 

  • ট্রাম্পের এমন কণ্ঠস্বর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মিডিয়েটর হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করার পটভূমি রাজনৈতিক স্বার্থ বা প্রচারণামূলক থাকতে পারে — যা স্বয়ং যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক নীতির দৃষ্টিকোণ থেকেও আলোচনা সৃষ্টি করেছে।
  • যুদ্ধবিরতির বাস্তব কার্যকরতা ও দীর্ঘস্থায়ী শান্তি স্থাপনের বিষয় এখনও অনিশ্চিত।

বাংলা প্রতিবেদন (চাপা সংলাপ সহ)

নিচে একটি পরিপূর্ণ বাংলা প্রতিবেদন রূপে দেওয়া হলো — সাংবাদিকতার রীতি অনুসরণ করে, প্রাসঙ্গিক তথ্য ও বিশ্লেষণ সহ।

news image
আরও খবর

শিরোনাম:
অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করলেন — ভারত‑পাক যুদ্ধবিরতির মূল নায়ক তিনি, ৩৫০ % শুল্ক হুমকি দিয়েই রোধ করলেন পারমাণবিক সংঘাত

উপশিরোনাম:
ট্রাম্পের এই দাবি ভারত স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে; বিশ্লেষকরা বলছেন—এর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে, শান্তি চিরস্থায়ী কিনা সন্দেহ রয়েছে।

ভূমিকা

২০২৫ সালের মে মাসে ভারতের কাশ্মীরে হামলার পর পরিস্থিতি দ্রুত উত্তেজনায় ভরপুর হয়। পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে কয়েক দিনের তীব্র মোকাবিলার পর ১০ মে দুই পক্ষ যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করে। সেই প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ফের একবার দাবি করেছেন, “আমি ওদের বলেছিলাম — যুদ্ধ করো, তবে আমেরিকার সঙ্গে কোনো বাণিজ্য থাকবে না, ৩৫০ % শুল্ক থাকবে।” তাঁর ভাষ্য: “আমি লস অ্যাঞ্জেলেস‑এর ওপর পারমাণবিক ধুলো ভেসে যেতে দিতে চাইনি।”
এই দাবি প্রকাশ্যে আসতেই বিষয়টি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে আলোচনায় আসে।

ট্রাম্পের দাবির বিবরণ

ট্রাম্প বলছেন, ভারত ও পাকিস্তান পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে সংঘাতে যেতে চলছিল। তিনি সরাসরি হুমকি দিয়েছেন — আমেরিকার বাজার বন্ধ হবে, ৩৫০ % শুল্ক আরোপ করা হবে।
তিনি বলেন, “আমি বলেছিলাম — তোমরা যাক, তবে আমেরিকা আর তোমাদের সঙ্গে ব্যবসা করবে না। আমি লস অ্যাঞ্জেলেস‑এর ওপর পারমাণবিক ধুলো ভেসে যেতে দেব না।”
এই হুমকিই ভারত‑পাকিস্তানকে যুদ্ধবিরতির দিকে নিয়ে গিয়েছিল দাবি করেছেন তিনি।

দুই দেশের প্রতিক্রিয়া

ভারতের প্রতিক্রিয়া:
ভারত সরকার ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্পষ্ট করে বলেছেন — কোনও গোপন বা তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি হয়নি। ভারতের বক্তব্য, তা ছিল “আমাদের শর্তে” বন্ধ হয়েছে। কোনো বিদেশি প্রেসার বা শুল্ক হুমকির কারণে নয়।
এটি ভারতের সার্বভৌম সত্তা ও নীতি‑সিদ্ধান্তের প্রতি গুরুত্ব বহন করে।

পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া:
পাকিস্তান কিছুটা ভিন্ন ভূমিকা নিয়েছে। তারা ট্রাম্পের দাবিকে মর্যাদাপূর্ণভাবে দেখেছে এবং কখনও কখনও তার এই মধ্যস্থতা প্রচার করেছে। এমনকি পাকিস্তান তার নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য সুপারিশ করেছে।
কিন্তু ভারতীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি ভিন্ন — ভারত তাতে রাজি নয়।

বিশ্লেষণ

এই দাবিটিতে কয়েকটি দিক বিবেচনা প্রয়োজন:

  • কূটনৈতিক সিগন্যাল: যদি যুক্তরাষ্ট্র এমন হুমকি বা বাণিজ্যিক চাপ প্রয়োগ করে তাহলে সেটা দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যুক্ত করবে।
  • বিশ্বাসযোগ্যতা ও তথ্যসংগ্রহ: ভারতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রচারমাধ্যম বলছে, তেমন কোনও সমঝোতা বা চুক্তি নেই যা ট্রাম্পের দাবি নিশ্চিত করে। ফলে এই দাবির প্রমাণ‑ভিত্তি কম।
  • পরবর্তী শান্তি ও স্থিতিশীলতা: যুদ্ধবিরতি হলেও সীমান্ত পারস্পরিক অভিযোগ বন্ধ হয়নি। দীর্ঘস্থায়ী শান্তি স্থাপন এখনো চ্যালেঞ্জ।
  • আঞ্চলিক ও গ্লোবাল প্রভাব: যদি একটি পারমাণবিক সংঘাত হয়, দক্ষিণ এশিয়ায় শুধু দেশিক দৃষ্টিকোণেই নয়, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য ভয়াবহ হবে। ট্রাম্পের “পারমাণবিক ধুলো লস অ্যাঞ্জেলেসে ভাসছে” ওই ভয়ই প্রতিফলিত করে।
  • রাজনৈতিক উদ্দেশ্য: ট্রাম্পের দাবি তার ব্যক্তিগত প্রচারণা ক্ষেত্রে, বিদেশনীতিতে নিজের ভূমিকা তুলে ধরার ক্ষেত্রে প্রয়োগ হতে পারে।

ভবিষ্যতের প্রশ্ন

  • এই যুদ্ধবিরতি কি দীর্ঘস্থায়ী হবে, নাকি নতুন উত্তেজনায় পরিণত হবে?
  • ভারতের দৃষ্টিকোণ থেকে, কি প্রমাণ থাকবে যে যুদ্ধবিরতি পুরোপুরি নিজেদের পরিকল্পনায় হয়েছে?
  • যুক্তরাষ্ট্র আবার কি দক্ষিণ এশিয়ার ক্ষেত্রে মধ্যস্থতা করবে — এবং কী ধরনের আর্থিক বা বাণিজ্যিক চাপ প্রয়োগ হতে পারে?
  • সবচেয়ে বড় কথা: এমন দাবির পিছে কি শুধুই প্রচারণা, নাকি বাস্তব কূটনৈতিক পরিবর্তন?

উপসংহার

ট্রাম্পের এই দাবি আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে — যেখানে মূল বিষয় বস্তু শুধু যুদ্ধবিরতি নয়, তার পেছনের প্রভাব, মধ্যস্থতার স্বীকৃতি, ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের মিলছে। ভারত–পাকিস্তান সম্পর্কের ক্ষেত্রে যুদ্ধবিরতি যেকোনো মূল্যবান অগ্রগতি, তবে সেটি কতটা স্থায়ী এবং কার প্রভাবশালী ভূমিকা ছিল — তা এখনও পরিষ্কার নয়।
বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার প্রেক্ষাপটে এই ঘটনার পাঠ একটাই — পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলোর উত্তেজনা শুধুই আঞ্চলিক নয়, গ্লোবাল নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Preview image