Donald Trump যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে এক বার আবার দাবি করেছেন যে, India ও Pakistan‑এর মধ্যকার যুদ্ধকে তিনি থামিয়েছেন। তিনি বলছেন, তিনি উভয় দেশকে “৩৫০ % শুল্ক” (tariff) আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন যাতে তারা পারমাণবিক সংঘাতে না যায় — “আমি না চাইছিলাম লস অ্যাঞ্জেলেস‑এর ওপর পারমাণবিক ধুলো ভাসছে” বলে তাঁর ভাষ্য। তবে ভারত এই দাবি স্পষ্টভাবে ভুল বলে উল্লেখ করেছে, বলেছে যুদ্ধবিরতি তাদের মধ্যকারই একচেটিয়া আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে হয়েছে, কোনো তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা নেই।
এলএ র উপরে পারমাণবিক ধূলা ভাসাতে চাইনি’: Donald Trump আবার দাবি করলেন ভারত পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির জন্য নিজেই দায়ী; বললেন, দুই দেশে তিনি ৩৫০ % শুল্ক হুমকি দিয়েছিলেন।
Donald Trump যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে এক বার আবার দাবি করেছেন যে, India ও Pakistan‑এর মধ্যকার যুদ্ধকে তিনি থামিয়েছেন। তিনি বলছেন, তিনি উভয় দেশকে “৩৫০ % শুল্ক” (tariff) আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন যাতে তারা পারমাণবিক সংঘাতে না যায় — “আমি না চাইছিলাম লস অ্যাঞ্জেলেস‑এর ওপর পারমাণবিক ধুলো ভাসছে” বলে তাঁর ভাষ্য। তবে ভারত এই দাবি স্পষ্টভাবে ভুল বলে উল্লেখ করেছে, বলেছে যুদ্ধবিরতি তাদের মধ্যকারই একচেটিয়া আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে হয়েছে, কোনো তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা নেই।
পটভূমি
১) এপ্রিলে ভারতের কাশ্মীরের পাহালগামের হামলায় ২৬ জন নিহত হয় — এরপর উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়।
২) মে মাসের প্রথম দিকে ভারত পাকিস্তানে ‘Operation Sindoor’ নামের প্রতিরোধমূলক অভিযান চালায়।
৩) শেষে ১০ মে ২০২৫ তারিখে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়।
৪) সেই প্রেক্ষাপটে, ট্রাম্প দাবি করছেন যিনি এটাকে রোধ করেছেন। ভারত ইতিমধ্যে তা প্রত্যাখ্যান করেছে
·
নিচে একটি পরিপূর্ণ বাংলা প্রতিবেদন রূপে দেওয়া হলো — সাংবাদিকতার রীতি অনুসরণ করে, প্রাসঙ্গিক তথ্য ও বিশ্লেষণ সহ।
শিরোনাম:
অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করলেন — ভারত‑পাক যুদ্ধবিরতির মূল নায়ক তিনি, ৩৫০ % শুল্ক হুমকি দিয়েই রোধ করলেন পারমাণবিক সংঘাত
উপশিরোনাম:
ট্রাম্পের এই দাবি ভারত স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে; বিশ্লেষকরা বলছেন—এর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে, শান্তি চিরস্থায়ী কিনা সন্দেহ রয়েছে।
২০২৫ সালের মে মাসে ভারতের কাশ্মীরে হামলার পর পরিস্থিতি দ্রুত উত্তেজনায় ভরপুর হয়। পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে কয়েক দিনের তীব্র মোকাবিলার পর ১০ মে দুই পক্ষ যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করে। সেই প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ফের একবার দাবি করেছেন, “আমি ওদের বলেছিলাম — যুদ্ধ করো, তবে আমেরিকার সঙ্গে কোনো বাণিজ্য থাকবে না, ৩৫০ % শুল্ক থাকবে।” তাঁর ভাষ্য: “আমি লস অ্যাঞ্জেলেস‑এর ওপর পারমাণবিক ধুলো ভেসে যেতে দিতে চাইনি।”
এই দাবি প্রকাশ্যে আসতেই বিষয়টি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে আলোচনায় আসে।
ট্রাম্প বলছেন, ভারত ও পাকিস্তান পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে সংঘাতে যেতে চলছিল। তিনি সরাসরি হুমকি দিয়েছেন — আমেরিকার বাজার বন্ধ হবে, ৩৫০ % শুল্ক আরোপ করা হবে।
তিনি বলেন, “আমি বলেছিলাম — তোমরা যাক, তবে আমেরিকা আর তোমাদের সঙ্গে ব্যবসা করবে না। আমি লস অ্যাঞ্জেলেস‑এর ওপর পারমাণবিক ধুলো ভেসে যেতে দেব না।”
এই হুমকিই ভারত‑পাকিস্তানকে যুদ্ধবিরতির দিকে নিয়ে গিয়েছিল দাবি করেছেন তিনি।
ভারতের প্রতিক্রিয়া:
ভারত সরকার ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্পষ্ট করে বলেছেন — কোনও গোপন বা তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি হয়নি। ভারতের বক্তব্য, তা ছিল “আমাদের শর্তে” বন্ধ হয়েছে। কোনো বিদেশি প্রেসার বা শুল্ক হুমকির কারণে নয়।
এটি ভারতের সার্বভৌম সত্তা ও নীতি‑সিদ্ধান্তের প্রতি গুরুত্ব বহন করে।
পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া:
পাকিস্তান কিছুটা ভিন্ন ভূমিকা নিয়েছে। তারা ট্রাম্পের দাবিকে মর্যাদাপূর্ণভাবে দেখেছে এবং কখনও কখনও তার এই মধ্যস্থতা প্রচার করেছে। এমনকি পাকিস্তান তার নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য সুপারিশ করেছে।
কিন্তু ভারতীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি ভিন্ন — ভারত তাতে রাজি নয়।
এই দাবিটিতে কয়েকটি দিক বিবেচনা প্রয়োজন:
ট্রাম্পের এই দাবি আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে — যেখানে মূল বিষয় বস্তু শুধু যুদ্ধবিরতি নয়, তার পেছনের প্রভাব, মধ্যস্থতার স্বীকৃতি, ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের মিলছে। ভারত–পাকিস্তান সম্পর্কের ক্ষেত্রে যুদ্ধবিরতি যেকোনো মূল্যবান অগ্রগতি, তবে সেটি কতটা স্থায়ী এবং কার প্রভাবশালী ভূমিকা ছিল — তা এখনও পরিষ্কার নয়।
বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার প্রেক্ষাপটে এই ঘটনার পাঠ একটাই — পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলোর উত্তেজনা শুধুই আঞ্চলিক নয়, গ্লোবাল নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।