Lenspedia Bangla Logo
  • কলকাতা
  • 30℃ Purba Bardhaman

গর্ভধারণের আগে কি পরীক্ষা করানো উচিত? সন্তানের সুস্থতা ও মায়ের নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সব স্বাস্থ্য পরীক্ষা

“বয়স বেড়ে গেলে প্রথম সন্তানের পরিকল্পনা করার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ মেডিক্যাল টেস্ট করানো জরুরি, যা মা ও শিশুর সুস্থতা নিশ্চিত করে।”

গর্ভধারণের আগে কি পরীক্ষা করানো উচিত? সন্তানের সুস্থতা ও মায়ের নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সব স্বাস্থ্য পরীক্ষা
স্বাস্থ্য ও জীবনধারা

প্রথম সন্তান হওয়ার পরিকল্পনা অন্য কোনো জীবনের বড় সিদ্ধান্তের মতোই পর্যায়ক্রমে করা উচিত। পড়াশোনা, চাকরি বা বিয়ের মতোই মা হওয়ার ক্ষেত্রেও আগাম প্রস্তুতির প্রয়োজন থাকে। ফ্যামিলি প্ল্যানিং বা পরিবার পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে মা এবং শিশুর সুস্থতা নিশ্চিত করা। বিশেষ করে বর্তমানে অনেকেই বেশি বয়সে সন্তান নেওয়ার কথা ভাবছেন, তাই গর্ভধারণের আগে বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো অত্যন্ত জরুরি।

একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা হল ‘এএমএইচ টেস্ট’, যা নারী জরায়ু এবং ডিম্বাণুর কার্যকারিতা যাচাই করে। এই পরীক্ষার মাধ্যমে বোঝা যায়, জরায়ু সন্তান ধারণের জন্য কতটা প্রস্তুত, ডিম্বাণুর সংখ্যা এবং মান কেমন। এছাড়া হাইপোথাইরয়েড থাকলে শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে সমস্যা হতে পারে, তাই থাইরয়েড পরীক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রক্তের হিমোগ্লোবিন ইলেকট্রোফোরেসিস পরীক্ষা হবু মা থ্যালাসেমিয়ার বাহক কিনা তা জানাতে সাহায্য করে; প্রয়োজন হলে বাবাকেও পরীক্ষা করানো হয়।

news image
আরও খবর

রুবেলা আইজিজি পরীক্ষা মা ও শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নির্ণয় করে, সংক্রমণ থাকলে তার চিকিৎসা আগে হবে। ফাইব্রয়েড, পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম (পিসিওএস) বা এন্ডোমেট্রিয়োসিসের মতো সমস্যা থাকলে এগুলো আগে ধরা পড়লে চিকিৎসা সহজ হয় এবং গর্ভধারণের ঝুঁকি কমে। বয়স ৩৫ পেরিয়ে গেলে এনআইপিটি টেস্ট করানো গুরুত্বপূর্ণ, যাতে শিশুর ডাউন সিন্ড্রোমের ঝুঁকি যাচাই করা যায়। পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিস এবং অতীতে ক্যানসারের চিকিৎসা নিয়ে থাকলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

সংক্ষেপে, মা হওয়ার আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো শুধুমাত্র সন্তানের সুস্থতার জন্য নয়, বরং ভবিষ্যতের জন্য মায়ের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করে। এগুলোকে সময়মতো করালে গর্ভধারণ সহজ, নিরাপদ এবং ঝুঁকিমুক্ত হয়।

Preview image