Lenspedia Bangla Logo
  • কলকাতা
  • 30℃ Purba Bardhaman

হিসারের দুরন্ত ড্র্যাগ-ফ্লিকার! হরমনপ্রীতের অনুপ্রেরণায় ভারতকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন অধিনায়ক রোহিত

এবারের হকি জুনিয়র বিশ্বকাপে ভারতের অধিনায়ক হিসেবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন হিসারের দুরন্ত ড্র্যাগ ফ্লিকার রোহিত। ছোটবেলা থেকেই হরমনপ্রীত সিংকে আইডল মানা রোহিত আজ দেশের হয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, যা তাঁর কঠোর পরিশ্রম, অনুশাসন এবং অবিশ্বাস্য প্রতিভার প্রমাণ। ভারতের জুনিয়র দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার ও শক্তিশালী পেনাল্টি কর্নার বিশেষজ্ঞ হিসেবে তিনি ইতিমধ্যেই নিজের আলাদা পরিচিতি তৈরি করেছেন। হরিয়ানার হিসারে জন্ম নেওয়া রোহিতের হকি যাত্রা শুরু হয় স্থানীয় একটি ছোট মাঠে, যেখানে কোচদের নজরে আসে তাঁর শক্তিশালী স্কুপ ও নিখুঁত ড্র্যাগ ফ্লিকিং দক্ষতা। পরিবারিক সংগ্রাম, সীমিত সুযোগ সুবিধা এবং প্রতিযোগিতার চাপ সবকিছুই অতিক্রম করে তিনি আজ ভারতের জুনিয়র দলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাঁর নেতৃত্বে দল আরও শৃঙ্খলাবদ্ধ, দ্রুত ট্রান্সিশন ভিত্তিক ও আক্রমণাত্মক হকি খেলছে। হরমনপ্রীতের মতোই রোহিতের লক্ষ্য একটাই ভারতকে জুনিয়র বিশ্বকাপ জেতানো এবং সামনে সিনিয়র জাতীয় দলে নিজের জায়গা পাকা করা। তাঁর আত্মবিশ্বাস, আগ্রাসন এবং দক্ষতা ভারতীয় হকির ভবিষ্যৎকে নতুন আলো দেখাচ্ছে। সমর্থকদের আশা, রোহিত নতুন প্রজন্মের হকি তারকা হিসেবে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের নাম আরও উজ্জ্বল করবেন।

হকি জুনিয়র বিশ্বকাপ: হিসারের গর্ব রোহিত—হরমনপ্রীত সিংকে আদর্শ মানা ভারতের দুরন্ত ড্র্যাগ-ফ্লিকার অধিনায়কের অনুপ্রেরণার গল্প

 

ভারতের ক্রীড়া মানচিত্রে হরিয়ানার হিসার জেলার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কুস্তি, বক্সিং, অ্যাথলেটিক্স—সব ক্ষেত্রেই অসংখ্য প্রতিভা দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে সাফল্য অর্জন করেছে। আর এখন এই তালিকায় নতুন করে যোগ হয়েছে আরেকটি উজ্জ্বল নাম—রোহিত, ভারতের জুনিয়র হকি দলের অধিনায়ক। দুরন্ত ড্র্যাগ-ফ্লিকিং দক্ষতা, শৃঙ্খলা, এবং অনুপ্রেরণাময় যাত্রা তাঁকে দেশের হাজারো হকি-প্রেমীর হৃদয়ে বিশেষ জায়গা করে দিয়েছে।

এবারের জুনিয়র বিশ্বকাপে ভারতকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি—এটা শুধু তাঁর ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, পুরো দেশের আবেগের সঙ্গে জড়িত একটি গর্বের মুহূর্ত। রোহিতের গল্পটা সাধারণ নয়। এটি সংগ্রাম, ত্যাগ, অনুশাসন, এবং অদম্য স্বপ্নের গল্প—যা আজকের প্রজন্মের ক্রীড়াবিদদের জন্য দারুণ অনুপ্রেরণা। রোহিতের উত্থান প্রমাণ করে যে সঠিক পরিবেশ এবং তীব্র আকাঙ্ক্ষা থাকলে ভারতের ছোট শহর বা গ্রাম থেকেও বিশ্বমানের প্রতিভা উঠে আসা সম্ভব। ভারতীয় হকির ভবিষ্যৎ যে কত উজ্জ্বল, তা রোহিতের মতো তরুণ নেতাদের দেখলেই বোঝা যায়।


 

১.  শুরুর গল্প: হিসারের এক সাধারণ মাঠ থেকে বিশ্বমঞ্চে উঠে আসা

 

হরিয়ানার হিসারে বড় হয়েছেন রোহিত। এই অঞ্চলের ক্রীড়া সংস্কৃতিতে হকি হয়তো কুস্তি বা বক্সিংয়ের মতো মূলধারা ছিল না, কিন্তু রোহিত ছোটবেলা থেকেই বল-স্টিক নিয়ে খেলা শুরু করেন। এলাকার সীমিত সুযোগ-সুবিধা সত্ত্বেও তাঁর অসাধারণ বল-স্টিক নিয়ন্ত্রণ (Ball-Stick Control) দেখেই স্থানীয় কোচেরা তাঁর ভেতরের সম্ভাবনাকে চিনতে পারেন।

 

প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অদম্য স্বপ্ন

 

রোহিতের শুরুর দিনগুলো ছিল চ্যালেঞ্জে পূর্ণ:

  • পুরনো সরঞ্জাম: তিনি পুরোনো স্টিক এবং ভাঙা সরঞ্জাম নিয়ে অনুশীলন করতেন।

  • পাথুরে মাঠ: অনুশীলনের জন্য ছিল পাথুরে এবং অসমান মাঠ, যা আধুনিক হকি খেলার জন্য একেবারেই উপযুক্ত ছিল না।

  • পারিবারিক চাপ: রোহিতের বাবার ইচ্ছে ছিল ছেলে পড়াশোনা করে কোনো সরকারি চাকরি করুক, যা সেই অঞ্চলে একটি নিরাপদ ভবিষ্যৎ হিসেবে বিবেচিত হতো।

কিন্তু এই সবকিছুর বিপরীতে তাঁর কাছে একটাই জিনিস ছিল অপরিসীম—স্বপ্ন। তাঁর মা সবসময় তাঁর পাশে দাঁড়াতেন। তিনি নীরবে সঙ্গ দিয়েছেন, উৎসাহ দিয়েছেন, কখনো খেলাধুলায় বাধা দেননি। রোহিত আজও বলেন—

“মায়ের সমর্থন না থাকলে আমি এতদূর আসতে পারতাম না। তিনিই ছিলেন আমার প্রথম এবং প্রধান অনুপ্রেরণা।”

রোহিতের এই যাত্রা শুধু তাঁর ব্যক্তিগত প্রতিভা নয়, বরং ভারতে তৃণমূল পর্যায় থেকে উঠে আসা খেলোয়াড়দের আর্থিক ও সামাজিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার এক প্রতিচ্ছবি।


 

২.  হরমনপ্রীত সিং—যে মানুষটি রোহিতের জীবন বদলে দিল (The Idol)

 

ভারতের সিনিয়র হকি দলের অন্যতম তারকা এবং বিশ্বের সেরা ড্র্যাগ-ফ্লিকারদের একজন, হরমনপ্রীত সিং, শুধু মাঠে নয়, পুরো এক প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছেন। রোহিতও সেই লাখো তরুণের একজন, যিনি হরমনপ্রীতকে আদর্শ মেনে বড় হয়েছেন।

তিনি ছোটবেলায় ভারত–পাকিস্তান বা ভারত–অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ দেখার সময় হরমনপ্রীতের শক্তিশালী ড্র্যাগ-ফ্লিক (Powerful Drag-Flick) দেখে মুগ্ধ হতেন। যখনই টিভিতে তাঁর স্কোরিং দেখা যেত, রোহিত হঠাৎ বলতেন—"আমি ওর মতো হতে চাই।"

 

ড্র্যাগ-ফ্লিকিংয়ের হাতেখড়ি

 

কোচেরা দেখলেন, রোহিতের শরীরের গঠন, বিশেষ করে তাঁর 'কোর স্ট্রেংথ' (Core Strength) এবং হাতের শক্তি ড্র্যাগ-ফ্লিকিংয়ের জন্য একেবারে উপযুক্ত। তাঁকে সেই দিকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হলো।

রোহিত বলেন—

“আমি হরমনপ্রীত সিংকে অনুসরণ করে বড় হয়েছি। তাঁর ড্র্যাগ-ফ্লিক, তাঁর শান্ত আচরণ, তাঁর নেতৃত্ব—সব আমাকে অনুপ্রাণিত করে। আমি সবসময় চেষ্টা করি চাপের মুহূর্তে তাঁর মতো স্থির থাকতে।”

এই গুরু-শিষ্য পরম্পরা ভারতীয় হকির এক গুরুত্বপূর্ণ দিক। সিনিয়র খেলোয়াড়দের সাফল্য নতুন প্রজন্মকে লক্ষ্য নির্ধারণে সাহায্য করে।


 

৩.  হকি অ্যাকাডেমি ও কঠোর প্রশিক্ষণ—যে পথ রোহিতকে গড়ে তুলল (The Discipline)

 

রোহিতের প্রতিভা প্রথম নজর কাড়ে স্থানীয় কোচ তেজিন্দর সিংয়ের। তিনি রোহিতকে নিয়ে যান রাষ্ট্রীয় স্তরের একটি হকি অ্যাকাডেমিতে। সেখানে শুরু হয় প্রকৃত অনুশীলন এবং জীবনের নতুন অধ্যায়।

এই অ্যাকাডেমিতে রোহিত সামরিক শৃঙ্খলার মতো জীবনযাপন শুরু করেন।

প্রশিক্ষণের মূল স্তম্ভ বিস্তারিত
দৈনিক রুটিন ভোর ৪টায় উঠা এবং দিনে দুই সেশনে কমপক্ষে ৬ ঘণ্টা অনুশীলন।
বিশেষ প্রশিক্ষণ ড্র্যাগ-ফ্লিক ও পেনাল্টি কর্নার রূপান্তরের জন্য প্রতিদিন বিশেষ প্রশিক্ষণ।
ফিটনেস ও অ্যানালাইসিস আধুনিক ফিটনেস ট্রেনিং এবং ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের ভিডিও অ্যানালাইসিস।
পুষ্টি পুষ্টিবিদের নির্দেশনায় কঠোর খাদ্যাভ্যাস, যা তাঁকে পূর্ণাঙ্গ অ্যাথলিট হিসেবে গড়ে তোলে।

এই শৃঙ্খলা রোহিতকে শুধু ভালো খেলোয়াড় নয়, একজন পূর্ণাঙ্গ অ্যাথলিট (Complete Athlete) হিসেবে গড়ে তোলে। এই কঠোর পরিশ্রমই তাঁর পেনাল্টি কর্নার রূপান্তরের হারকে ৭০%-এর কাছাকাছি নিয়ে আসতে সাহায্য করে।


 

৪.  ড্র্যাগ-ফ্লিক: রোহিতের বিশেষ শক্তি (The Signature Move)

 

হকিতে ড্র্যাগ-ফ্লিক এক বিশেষ কলা। এটি জোর, গতি, বাঁক, ব্যালেন্স এবং কৌশলের সমন্বয়। হরমনপ্রীত যেমন ভারতকে অসংখ্য গোল উপহার দিয়েছেন, রোহিতও সেই একই পথে এগোচ্ছেন।

রোহিতের ড্র্যাগ-ফ্লিকের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি তাঁকে জুনিয়র পর্যায়ে ব্যতিক্রমী করে তুলেছে:

news image
আরও খবর
  • বুলেট গতির বল: তাঁর ফ্লিক করা শটে থাকে অবিশ্বাস্য গতি, যা গোলকিপারকে প্রতিক্রিয়া করার সময় দেয় না।

  • নিখুঁত দিকনির্ধারণ: তিনি বলকে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে গোলকিপারের কাঁধের উপর দিয়ে বা পায়ের ফাঁক দিয়ে জালে জড়াতে পারেন।

  • চাপের মুহূর্তেও স্থিরতা: বড় ম্যাচে এবং টাইট পরিস্থিতিতে তাঁর ঠান্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা তাঁকে আলাদা করে।


 

৫.  জাতীয় দলে ডাক ও অধিনায়কত্ব—যুবকের স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মুহূর্ত (The Call)

 

ভারতের জুনিয়র দলের ট্রায়ালে রোহিতের পারফরম্যান্স নজর কাড়ে সিলেক্টরদের। তাঁর দ্রুতগতির স্টিক-ওয়ার্ক, পজিশনাল সেন্স, এবং পেনাল্টি কর্নারে উচ্চ রূপান্তর হার তাঁকে সহজেই দলে জায়গা করে নিতে সাহায্য করে।

কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়ে তাঁকে সরাসরি অধিনায়ক ঘোষণা করা হয়।

কারণ একটাই—তাঁর সহজাত নেতৃত্ব ক্ষমতা। দলের কোচিং স্টাফ উপলব্ধি করেন যে রোহিত কেবল একজন দক্ষ খেলোয়াড় নন, তিনি একজন স্বাভাবিক নেতা। দলের সবাই তাঁকে বিশ্বাস করে এবং তাঁর উপস্থিতিতে ডিফেন্স আরও সংগঠিত হয়।

ভারতের কোচ বলেন—

“রোহিত শুধু একজন খেলোয়াড় নয়, সে একজন স্বাভাবিক নেতা। দলের সবাই ওকে ফলো করে। কঠিন পরিস্থিতিতে ওর ঠান্ডা মাথায় নেওয়া সিদ্ধান্ত দলের জন্য খুব জরুরি।”

তাঁর এই নেতৃত্বগুণ জুনিয়র বিশ্বকাপে ভারতকে বড় ভরসা যোগাচ্ছে।


 

৬.  রোহিতের নেতৃত্ব: আক্রমণ ও রক্ষণ উভয়দিকেই সমান নজর (The Leadership Style)

 

রোহিতের নেতৃত্ব শুধুমাত্র ডিফেন্স বা ড্র্যাগ-ফ্লিকের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। তিনি মাঠে পুরো দলকে নিয়ন্ত্রণ করেন।

তাঁর নেতৃত্বের ৫টি প্রধান বৈশিষ্ট্য:

  • শান্ত ও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া: চাপের মুখেও আতঙ্কিত না হয়ে সঠিক কৌশলগত সিদ্ধান্ত নেওয়া।

  • ইতিবাচক রাখা: সহখেলোয়াড়দের ভুলে নিরুৎসাহিত না করে তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানো।

  • ডিফেন্সে কড়া নির্দেশনা: ডিফেন্স লাইনে স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়ে প্রতিপক্ষের আক্রমণ রুখে দেওয়া।

  • খেলার গতি নিয়ন্ত্রণ: মিডফিল্ডের সঙ্গে সমন্বয় করে কখন খেলা দ্রুত হবে আর কখন ধরে খেলতে হবে, তা নিয়ন্ত্রণ করা।

রোহিতের নেতৃত্বে দল আরও নিয়মতান্ত্রিক, ছন্দবদ্ধ ও ট্যাকটিক্যালি শক্তিশালী।


 

৭.  পরিবারের ত্যাগ—রোহিতের সাফল্যের পেছনে অজানা গল্প (The Unsung Heroes)

 

রোহিতের সাফল্যের পেছনে তাঁর পরিবারের ত্যাগ একটি অনুপ্রেরণাদায়ক দিক। একটা সময় ছিল যখন টুর্নামেন্টে যাওয়ার মতো টাকাও ছিল না:

  • মায়ের আত্মত্যাগ: মা অনেক সময় নিজের গয়না বিক্রি করে ছেলের ট্রাভেল খরচ জুগিয়েছেন।

  • বাবার সহায়তা: বাবা নিজের কাজের সময় কমিয়ে তাকে অনুশীলনে নিয়ে যেতেন, যা একসময় তাঁর রোজগারের ওপর প্রভাব ফেলেছিল।

  • বোনেরা: বোনেরা পড়াশোনার খরচ কমিয়ে বা নিজেদের চাহিদা কমিয়ে ভাইকে সমর্থন করেছে।

রোহিত বলেন—

“আমার পরিবারই আমার শক্তি। তাঁরা না থাকলে এই জার্সি আমার গায়ে উঠত না। আমার প্রতিটি গোল তাঁদের ত্যাগের প্রতি উৎসর্গীকৃত।”


 

৮. ভারতীয় হকির ভবিষ্যৎ: রোহিত এক নতুন আশার আলো (The Promise)

 

ভারতের হকিতে সবসময়ই ডিফেন্স ও পেনাল্টি কর্নার গুরুত্বপূর্ণ। হরমনপ্রীত সিং সিনিয়র দলের ডিফেন্স ও পিসির স্তম্ভ। রোহিত সেই একই পথে এসে জুনিয়র দলকে শক্তিশালী করছেন।

ক্রীড়া-বিশেষজ্ঞরা বলছেন—

“রোহিত ঠিক পথে হাঁটলে সে আগামীতে ভারতের হকির বড় মুখ হতে পারে। ড্র্যাগ-ফ্লিকের পাশাপাশি তাঁর নেতৃত্ব ক্ষমতা তাঁকে ভবিষ্যতে ভারতের সিনিয়র দলের অধিনায়কত্বের দৌড়েও রাখতে পারে।”

তাঁর লক্ষ্য সুনির্দিষ্ট: সিনিয়র দলে হরমনপ্রীতের পাশে খেলা, অলিম্পিকে ভারতকে মেডেল এনে দেওয়া, এবং বিশ্বকাপে ভারতের জার্সিকে আরও উজ্জ্বল করা। তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন—

“আমি আজ যেখানে আছি, এটা কোনো সমাপ্তি নয়। এটা আমার পথের শুরু।”

রোহিত—হকির নতুন প্রত্যাশা, নতুন স্বপ্ন। এই ছেলেটা শুধু ড্র্যাগ-ফ্লিকার নয়—সে একজন লড়াকু যোদ্ধা, একজন আদর্শ নেতা, একজন সত্যিকারের অনুপ্রেরণা। ভারতের হকির ভবিষ্যৎ তাঁর কাঁধে আরও উজ্জ্বল হবে—এটাই এখন পুরো দেশের প্রত্যাশা।

Preview image