ভারতের শেয়ারবাজারে নতুন ইতিহাস রচনার পথেই এগোচ্ছে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ। সংস্থাটি তাদের ডিজিটাল সহযোগী প্রতিষ্ঠান Jio Platforms এর জন্য সম্ভাব্য দেশের সবচেয়ে বড় IPO র প্রস্তুতি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেছে। অর্থনৈতিক টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, রিলায়েন্স ইতিমধ্যেই Draft Red Herring Prospectus (DRHP) তৈরির জন্য বিনিয়োগ ব্যাংকগুলোর সঙ্গে প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু করেছে। এই IPO সফল হলে এটি শুধু ভারতের বৃহত্তম নয়, এশিয়ার অন্যতম উচ্চমূল্যের তালিকাভুক্তি হতে পারে।
ভারতের শেয়ারবাজারে শিগগিরই ঘটতে পারে এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত— Jio Platforms-এর IPO। অর্থনৈতিক টাইমসের বিশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ ইতিমধ্যে ডিআরএইচপি (Draft Red Herring Prospectus) প্রস্তুত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এটি ভারতের ইতিহাসে সম্ভাব্য সবচেয়ে বড় IPO হতে পারে।রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ তাদের ডিজিটাল সহযোগী প্রতিষ্ঠান Jio Platforms-এর জন্য দেশের সম্ভাব্য সর্বকালের বৃহত্তম IPO প্রস্তুতি শুরু করেছে। অর্থনৈতিক টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, সংস্থাটি ইতিমধ্যেই DRHP বা ড্রাফ্ট প্রসপেক্টাস তৈরির কাজ শুরু করেছে এবং বড় বিনিয়োগ ব্যাংকগুলোর সঙ্গে আলোচনায় রয়েছে। Jio-র সম্ভাব্য মূল্যায়ন ধরা হচ্ছে 150–170 বিলিয়ন, যা ভারতীয় শেয়ারবাজারে নজির সৃষ্টি করবে। SEBI-র নতুন নিয়ম অনুযায়ী, মাত্র ২.৫% শেয়ার বিক্রিতেই তালিকাভুক্ত হওয়ার সুযোগ Jio-র জন্য বড় সুবিধা তৈরি করেছে। IPO-র মাধ্যমে রিলায়েন্স সম্ভাব্যভাবে 4.3–8 বিলিয়ন পর্যন্ত তহবিল তুলতে পারে। 5G সম্প্রসারণ, JioFiber, JioCinema ও AirFiber পরিষেবা বৃদ্ধির জন্য এই পুঁজি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সফল হলে এটি ভারতীয় বাজারে নতুন প্রবৃদ্ধি ও বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর পথ খুলে দেবে।
প্রাথমিক হিসাব বলছে—
Jio Platforms–এর সম্ভাব্য মূল্যায়ন: $170 বিলিয়ন
IPO–তে সম্ভাব্য সংগ্রহ: $4.3 বিলিয়ন–$8 বিলিয়ন
ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় টেক কোম্পানি তালিকা
এটি শুধু একটি IPO নয়— ভারতের ডিজিটাল ইকোসিস্টেম, বিদেশি বিনিয়োগ, টেক সেক্টরের ভবিষ্যত, টেলিকম বাজার এবং দেশের বৃহত্তম কর্পোরেট পরিকল্পনা— সব কিছুর ওপর এর গভীর প্রভাব পড়বে।
রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের মূল পরিকল্পনা বহুদিন ধরে স্পষ্ট—
একটি কংগ্লোমারেট থেকে
এনার্জি
রিটেল
ডিজিটাল
— এই তিনটি পৃথক তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে ভাগ হওয়া।
Jio সবসময়ই এর কেন্দ্রবিন্দু।
IPO–র সময় কেন এখন?
Jio শুধু টেলিকম নয়—
JioFiber
JioMart
JioCinema
JioAirFiber
JioCloud
JioApps Ecosystem
একটি বিশাল ডিজিটাল কনগ্লোমারেট তৈরি হয়েছে।
Airtel–এর সঙ্গে দ্বৈরথ স্থিতিশীল হয়েছে, Vodafone–Idea ক্রমশ দুর্বল।
5G সম্প্রসারণ, FTTH (Fiber to Home), D2C সার্ভিস বিস্তার— সবকিছুর জন্য আগামী ৫ বছরে কমপক্ষে ₹2–3 লক্ষ কোটি বিনিয়োগ প্রয়োজন।
2020 সালে Facebook, Google, KKR, Silver Lake— সব মিলিয়ে ₹1.52 লক্ষ কোটি Jio Platforms–এ বিনিয়োগ করেছিল।
এখন তাদের Exit Window প্রয়োজন।
SEBI সম্প্রতি IPO–র ন্যূনতম শেয়ার বিক্রির নিয়ম পরিবর্তন করেছে।
আগে—
কমপক্ষে ১০% শেয়ার বিক্রি বাধ্যতামূলক ছিল।
এখন—
নির্দিষ্ট শর্তে কোম্পানি মাত্র ২.৫% শেয়ার বিক্রি করেই তালিকাভুক্ত হতে পারবে।
এর মানে—
Jio–র মতো বিশাল ভ্যালুয়েশনের কোম্পানির ক্ষেত্রে
কম শেয়ার বিক্রিতে
বড় মূল্যায়ন
কম dilution
—এসবই সম্ভব।
রিলায়েন্স ঠিক এটাই লক্ষ্য করছে।
বিশ্বের বড় বড় ব্যাংক যেমন—
Morgan Stanley
Goldman Sachs
BofA Securities
Jio–র মূল্যায়ন $150–$170 বিলিয়ন ধরছে।
এটি সঠিক হলে, Jio–র IPO মূল্যায়ন হবে—
ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি
এশিয়ার শীর্ষ ৫–এর মধ্যে
Airtel–সহ সমগ্র টেলিকম খাতে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে।
Jio একাই Nifty–র ৫%–৭% ওজন দখল করতে পারে।
Jio সর্বজনপরিচিত ব্র্যান্ড— প্রথমদিকে ব্যাপক চাহিদা থাকবে।
Tech IPO বুম
Digital Platform Listing
Fintech–Telecom–OTT জোনে নতুন আগ্রহ
বিশেষজ্ঞরা এটিকে ভারতের “Second Tech Boom” বলছেন।
উপার্জনের ৭৫% এখান থেকে আসে।
ARPU (Average Revenue Per User) বৃদ্ধি পাবে—
₹181 থেকে ₹220–₹230 হবে (প্রাক্কলন)।
IPL স্ট্রিমিং–এর পর JioCinema ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম OTT প্ল্যাটফর্ম।
বিজ্ঞাপন আয় দ্রুত বাড়ছে।
ইন্টারনেট দুনিয়ার ভবিষ্যৎ।
Fiber-to-Home সেবা ২৫–৩০ মিলিয়ন গ্রাহক ছুঁতে পারে।
Reliance Retail–এর সঙ্গে যোগ হয়ে ই-কমার্সে বড় সুবিধা তৈরি হবে।
বিশ্বের দ্রুততম টেলিকম গ্রোথ
সস্তা ডেটা–মডেল
৫০০+ মিলিয়ন ব্যবহারকারী
OTT–Cloud–AI–Retail–SuperApp—সব এক ইকোসিস্টেমে
ভবিষ্যতে Digital India–র কেন্দ্রবিন্দু
প্রাথমিকভাবে যুক্ত হয়েছে—
Morgan Stanley
Goldman Sachs
ICICI Securities
Citi
HSBC
তাদের কাজ— valuation, prospectus, listing structure.
Mukesh Ambani চান—
—এই তিনটি আলাদাভাবে তালিকাভুক্ত হোক।
Jio প্রথম ধাপ।
| কোম্পানি | IPO সাইজ |
|---|---|
| LIC | ₹21,000 crore |
| Paytm | ₹18,300 crore |
| Coal India | ₹15,200 crore |
| Jio (সম্ভাব্য) | ₹35,000–₹60,000 crore |
Jio সহজেই LIC–কে ছাড়িয়ে যাবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে—
এটি লং টার্ম স্টক
শর্ট–টার্ম listing gain খুব বেশি নাও হতে পারে
কিন্তু কোম্পানির স্কেল এবং ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গি অত্যন্ত শক্তিশালী
প্রাথমিক মূল্যায়ন অনুযায়ী, Jio Platforms–এর সম্ভাব্য ভ্যালুয়েশন $150–$170 বিলিয়ন, যা ভারতীয় কর্পোরেট ইতিহাসে নজিরবিহীন। SEBI–র নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কোম্পানিগুলো এখন নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে মাত্র ২.৫% শেয়ার বিক্রির মাধ্যমেই তালিকাভুক্ত হতে পারে। এই পরিবর্তন Jio–র মতো বিশাল মূল্যায়নের কোম্পানির জন্য একটি বড় সুবিধা, কারণ এতে শেয়ার ডাইলিউশন কম হবে এবং রিলায়েন্স কৌশলগত নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখবে। হিসাব অনুযায়ী, IPO–র মাধ্যমে রিলায়েন্স সম্ভাব্যভাবে $4.3 বিলিয়ন থেকে $8 বিলিয়ন পর্যন্ত তহবিল তুলতে পারে।
Jio Platforms এখন শুধুই টেলিকম অপারেটর নয়— এটি ভারতের বৃহত্তম ডিজিটাল ইকোসিস্টেম।
Jio 5G
JioFiber
JioCinema
JioMart
JioCloud
JioAirFiber
Super App–ভিত্তিক পরিষেবা
—সব মিলিয়ে Jio দেশের ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের মূল কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।
গত কয়েক বছরে Jio ভারতীয় টেলিকম মার্কেটে ব্যাপক আধিপত্য তৈরি করেছে। Vodafone–Idea–র দুর্বলতা এবং Airtel–Jio দ্বৈরথের স্থিতিশীলতা বাজারকে আরও সুসংহত করেছে, যা IPO–র জন্য উপযোগী পরিবেশ তৈরি করছে। পাশাপাশি, আগামী কয়েক বছরে 5G অবকাঠামো বিস্তার, ফাইবার নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং OTT ও ক্লাউড পরিষেবার উন্নয়নের জন্য বিশাল মূলধনের প্রয়োজন। এই কারণেও রিলায়েন্স IPO–র মাধ্যমে নতুন পুঁজি তোলার দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে।
ওয়াল স্ট্রিটের বড় বড় বিনিয়োগ ব্যাংক— Morgan Stanley, Goldman Sachs, Citi, BofA Securities— ইতিমধ্যেই Jio–র সম্ভাব্য লিস্টিং নিয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে। তাদের মূল্যায়ন ভারতীয় টেক সেক্টরের জন্য একটি নতুন মানদণ্ড তৈরি করছে। ২০২০ সালে Jio Platforms–এ Google, Facebook, Silver Lake, KKR–সহ ১৩টিরও বেশি বিদেশি বিনিয়োগকারী মোট ₹1.52 লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিল। সেই বিনিয়োগকারীদের জন্য এই IPO একটি সম্ভাব্য exit বা partial exit এর সুযোগ তৈরি করবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, Jio–র IPO হলে—
0 Nifty ও Sensex–এ ব্যাপক ওজন বাড়বে
টেলিকম–টেক সেক্টরে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে
ভারতীয় শেয়ারবাজারে নতুন প্রবৃদ্ধি শুরু হবে
অবশ্য বাজারে কিছু ঝুঁকিও রয়েছে— যেমন অতিরিক্ত উচ্চ মূল্যায়ন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং টেলিকম সেক্টরের ভবিষ্যৎ প্রতিযোগিতা।
সব মিলিয়ে, Jio Platforms–এর সম্ভাব্য রেকর্ড IPO কেবল একটি কর্পোরেট ঘটনা নয়—
এটি ভারতের ডিজিটাল অর্থনীতির ভবিষ্যৎ, শেয়ারবাজারের দিকনির্দেশনা এবং আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ প্রবাহ— সব কিছুর ওপর বিশাল প্রভাব ফেলবে।
Jio IPO শুধু রিলায়েন্সের ইতিহাস নয়—
ভারতের অর্থনীতির ইতিহাসেও নতুন অধ্যায় হবে।
এটি Digital India–কে আরও শক্তিশালী করবে, টেলিকম–টেক ইকোসিস্টেমে নতুন দিশা খুলে দেবে, এবং বিদেশি বিনিয়োগের জন্য ভারতকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে