সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয় সংগীতব্যঞ্জিত মঞ্চে একটি গভীর শূন্যতা দেখা দিয়েছে — এক অপ্রত্যাশিত বিদায়ের কারণে। সংগীতপ্রেমীরা আজাভরা হৃদয়ে স্মরণ করছেন অসমীয় সংগীতের এক প্রাণপ্রভা, Zubeen Garg‑কে, যিনি মাত্র ৫২ বছর বয়সে আমাদের রেখে চলে গেছেন। এই হঠাৎ প্রয়াণ শুধুই একজন শিল্পীর মৃত্যু নয়; এটি স্মরণ করিয়ে দেয় সেই অনেকে যাঁরা সময়ের হাত ধরে মাঝপথেই আমাদের সঙ্গ ত্যাগ করেছেন — তাঁদের কণ্ঠস্বর, তাঁদের সুর, তাঁদের ছন্দ আজও হৃদয়ে গেঁথে আছে। আর তাই আজ আমরা শুধু তাঁর জীবনকথা বলা হবে না, পাশাপাশি স্মরণ করব ভারতীয় সংগীতের কিছু অন্য বিরল প্রতিভাকে, যাঁদের সময় খুব কম ছিল, কিন্তু সংগীতে রেখেছে অম্লান ছাপ। Zubeen Garg (মূল নাম Zubeen Borthakur) ছিলেন অসমের একজন বহুপ্রতিভার সংগীতশিল্পী, সুরকার, অভিনেতা, পরিচালক ও বহু যন্ত্রবাদক। ১৮ নভেম্বর ১৯৭২‑এ জন্মগ্রহণ করেন তিনি। অত্যন্ত কম বয়স থেকেই গান ও সঙ্গীতে হাত ধারণ করেছিলেন। স্কুলবয়স থেকেই তিনি রচনা শুরু করেছিলেন, আর একাধিক বাদ্যযন্ত্রে দক্ষ ছিলেন। তিনি মাত্র এক ভাষায় সীমাবদ্ধ ছিলেন না; অসমীয়ার পাশাপাশি হিন্দি, বাংলা ও আরও প্রায় ৪০টি ভাষা ও উপভাষায় গান করেছেন। বহুবিধ প্রতিভার অধিকারী এই শিল্পী এক সময় বলিউডে ‘Ya Ali’ গান দিয়ে পরিচিতি পান, যা ছিল তাঁর জাতীয় মঞ্চে প্রবেশের এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
"জুবিন গার্গকে তাঁর ১ম জন্মবার্ষিকীতে স্মরণ এবং অন্য ভারতীয় সংগীত আইকনরা যারা আমাদের মাঝপথে ছেড়ে চলে গেছেন"
অসমীয় সংগীত শিল্পী Zubeen Garg (মূল নাম Zubeen Borthakur) ছিলেন এমন একজন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী, যিনি সংগীত জগতকে শুধু ভারতীয় মঞ্চেই নয়, বিশ্ব মঞ্চে নিজের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। ১৮ নভেম্বর ১৯৭২ সালে জন্মগ্রহণ করা এই কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী মাত্র ৫২ বছর বয়সে পৃথিবী ছেড়ে চলে যান। তাঁর সুরের জাদু, কণ্ঠের মাধুর্য, এবং সংগীতের প্রতি অগাধ ভালোবাসা সব সময় আমাদের মনে থাকবে। তাঁর অবদান শুধুমাত্র অসমীয় সংগীতে নয়, বরং হিন্দি, বাংলা, পাঞ্জাবি সহ প্রায় ৪০টি ভাষায় গান গেয়ে সংগীতের আন্তর্জাতিক আঙিনাতেও নিজের স্থান তৈরি করেছিলেন।
অন্যদিকে, Zubeen Garg একজন সুরকার, পরিচালক, এবং বহু যন্ত্রবাদক হিসেবেও বেশ পরিচিত ছিলেন। তিনি কখনোই কেবল গায়ক হিসেবে সীমাবদ্ধ ছিলেন না, বরং সম্পূর্ণ শিল্পী হিসেবে নিজের প্রতিভা প্রকাশ করেছেন। তাঁর গানের মধ্য দিয়ে তিনি ভারতের বিভিন্ন সংস্কৃতিকে একত্রিত করেছেন এবং উত্তর-পূর্ব ভারতীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরেছেন। তাঁর জনপ্রিয় গানের মধ্যে 'Ya Ali' এবং 'Dil Mein Chhupke' অন্যতম।
সম্প্রতি ভারতীয় সংগীতের আকাশে একটি গভীর শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে, যা অনুভব করছেন কোটি সংগীতপ্রেমী। একদিকে যেমন আমরা আধুনিক যুগের জনপ্রিয় শিল্পীদের কণ্ঠ শুনতে পাচ্ছি, অন্যদিকে অনেক কালো অন্ধকার দিনেও সংগীত প্রেমীরা হারিয়েছেন এমন কিছু ব্যক্তিত্বকে, যাঁরা এক সময় সংগীত জগতের সেরা আইকন ছিলেন। আজকের এই স্মরণে, আমরা কেবলমাত্র জুবিন গার্গ-এর ১ম প্রয়াণ দিবসে তাঁকে স্মরণ করবো না, বরং একই সঙ্গে ভারতীয় সংগীতের অনেক অমূল্য রত্নদের স্মরণও করবো যাঁরা অকালেই আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন
সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয় সংগীতব্যঞ্জিত মঞ্চে একটি গভীর শূন্যতা দেখা দিয়েছে — এক অপ্রত্যাশিত বিদায়ের কারণে। সংগীতপ্রেমীরা আজাভরা হৃদয়ে স্মরণ করছেন অসমীয় সংগীতের এক প্রাণপ্রভা, Zubeen Garg‑কে, যিনি মাত্র ৫২ বছর বয়সে আমাদের রেখে চলে গেছেন। এই হঠাৎ প্রয়াণ শুধুই একজন শিল্পীর মৃত্যু নয়; এটি স্মরণ করিয়ে দেয় সেই অনেকে যাঁরা সময়ের হাত ধরে মাঝপথেই আমাদের সঙ্গ ত্যাগ করেছেন — তাঁদের কণ্ঠস্বর, তাঁদের সুর, তাঁদের ছন্দ আজও হৃদয়ে গেঁথে আছে। আর তাই আজ আমরা শুধু তাঁর জীবনকথা বলা হবে না, পাশাপাশি স্মরণ করব ভারতীয় সংগীতের কিছু অন্য বিরল প্রতিভাকে, যাঁদের সময় খুব কম ছিল, কিন্তু সংগীতে রেখেছে অম্লান ছাপ।
Zubeen Garg (মূল নাম Zubeen Borthakur) ছিলেন অসমের একজন বহুপ্রতিভার সংগীতশিল্পী, সুরকার, অভিনেতা, পরিচালক ও বহু যন্ত্রবাদক। ১৮ নভেম্বর ১৯৭২‑এ জন্মগ্রহণ করেন তিনি। অত্যন্ত কম বয়স থেকেই গান ও সঙ্গীতে হাত ধারণ করেছিলেন। স্কুলবয়স থেকেই তিনি রচনা শুরু করেছিলেন, আর একাধিক বাদ্যযন্ত্রে দক্ষ ছিলেন।
তিনি মাত্র এক ভাষায় সীমাবদ্ধ ছিলেন না; অসমীয়ার পাশাপাশি হিন্দি, বাংলা ও আরও প্রায় ৪০টি ভাষা ও উপভাষায় গান করেছেন। বহুবিধ প্রতিভার অধিকারী এই শিল্পী এক সময় বলিউডে ‘Ya Ali’ গান দিয়ে পরিচিতি পান, যা ছিল তাঁর জাতীয় মঞ্চে প্রবেশের এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
তাঁর শিল্পজীবনে এমন কিছু দিক রয়েছে যা বিশেষভাবে লক্ষ্য করার মতো:
তাঁর প্রয়াণ তারকা নয়, বরং এক সাংস্কৃতিক শক্তির শেষনিহিত হওয়ার অনুভূতি তৈরি করেছে। তিনি ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫‑এ সিঙ্গাপুরে একটি সমুদ্রসাঁতার বা সহায়ক জলসফরে অংশ নেয়ার সময় পানিতে ডুবে যান। মৃত্যুর কারণ হিসাবে ‘ডুবন্ত’ অবস্থায় মৃত্যু বলা হয়েছে।
শিল্পীকে হারিয়ে যাওয়া শোক ও প্রভাব
Zubeen Garg‑এর প্রয়াণে কেবল তাঁর ঘনিষ্ঠজন বা অসমের মানুষই নয়, গোটা ভারতীয় সংগীতপ্রেমী সমাজ বিদায় জানিয়েছে এক ব্যতিক্রমী কন্ঠকে। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, অসমের মত বিভাজিত সাংস্কৃতিক অঞ্চলে তাঁর সংগীত একতা ও সংহতির প্রতীক হয়ে উঠেছিল।
এই দুঃসময় তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে অসম সরকার তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করে। পাশাপাশি তদন্ত শুরু হয়, মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ও দায়‑দায়িত্ব সংক্রান্ত বিষয়গুলোর অনুসন্ধানে।
এই শিল্পীর প্রয়াণে যে শুন্যতা সৃষ্টি হলো তা শুধু তাঁর গানের অভাবই নয়; একটি সাংস্কৃতিক গতিধারার একপ্রকার বন্ধ হয়ে যাওয়া। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য তিনি ছিলেন অনুপ্রেরণা। তাঁর মতো একজন শিল্পী যে চাপিয়ে পড়তে হয়নি, নিজস্ব স্বর ও রঙ ধরে জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে সাড়া দিয়েছিল, তা আজও স্মরণীয়।
অন্য চিরস্মরণীয় শিল্পীরা
প্রায় একইভাবে এমন অনেক সংগীত Icons ছিলেন যাঁরা আমাদের মধ্যেই প্রবেশ করেছিলেন, কিন্তু সময় শেষ হওয়ার আগেই চলে যান — তাঁদের আত্মার স্মৃতিচিহ্ন আজও হৃদয়ে গেঁথে আছে। নিচে তাঁদের মধ্যে কয়েকজন :
এই শিল্পীদের প্রয়াণ প্রত্যেকেই ছিল নিরুপায় হঠাৎ, যা শুধু সংগীত সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রেই নয়, তাঁদের শ্রোতাদের জীবনের এক অংশও অকালেই বন্ধ করে দিয়েছে। তাঁদের গানের মধ্য দিয়েই আমরা আজও তাঁদের কথা স্মরণ করি।
স্মৃতিচারণ ও সংগীতের অনন্ততা
সংগীত মানব জীবনের এক অপরিহার্য উপাদান; এটি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে প্রতিফলিত হয়। যখন কোনো বড় শিল্পী অকালেই চলে যান, তখন শুধু একটি কণ্ঠস্বর নষ্ট হয় না, বরং সেই সুরের সঙ্গে জড়িত অনুভূতি, স্মৃতি, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই দিক থেকে Zubeen Garg‑এর প্রয়াণ এবং উপরের অন্যান্য শিল্পীদের বিদায় আমাদের জন্য এক চিন্তার বিষয়।
তবে একই সঙ্গে তাঁদের গানে এক ধরণের অনন্ততা রয়েছে। তাদের গান আজও চালিয়ে যাচ্ছে, নতুন শ্রোতাদের কাছে পৌঁছাচ্ছে, তাদের নামকে সময়ের অভিসন্ধিতে রাখছে। এখানে কয়েকটি বিষয় বিশেষভাবে স্মরণযোগ্য:
আজ‑এর এই স্মরণিকা শুধু দুঃখের নয়, বরং ধন্যবাদ ও শ্রদ্ধারও। Zubeen Garg‑সহ অনেক একটি প্রতিভা‑আর শিল্পীর প্রয়াণ আমাদের মনে করিয়ে দেয় — জীবনের প্রতিটা দিন, প্রতিটা সুর, প্রতিটা মানবিক মুহূর্তই মূল্যবান। আমরা যদি তাঁদের গান শুনি, তাঁদের রঙ অনুভব করি, তাহলে তাঁদের ভাঙা সময়েও, তাঁদের অসমাপ্ত যাত্রাতেও আমরা একটি পূর্ণতা এনে দিতে পারি।
আজ আমরা বলতে পারি:
“যাঁরা গেয়েছিলেন হৃদয়ে, চলেছেন বেদনায়, কিন্তু সুর তাঁরা রেখে গেছেন অনন্তের জন্য।”
Zubeen Garg‑এর জন্য, তাঁর শ্রোতাদের জন্য, ভারতীয় সংগীতপ্রেমীদের জন্য এক গভীর শ্রদ্ধার মিনিট। তাঁর ভাঙা না গান, তাঁর অপরিসীম প্রতিভা, তাঁর সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধন আজও জীবিত। আর সেই রূপকথার ধ্রুবতারা হয়ে থাকবে সময়ের আকাশে।
"জুবিন গার্গকে তাঁর ১ম জন্মবার্ষিকীতে স্মরণ এবং অন্য ভারতীয় সংগীত আইকনরা যারা আমাদের মাঝপথে ছেড়ে চলে গেছেন"