Lenspedia Bangla Logo
  • কলকাতা
  • 30℃ Purba Bardhaman

বিপাশা বসুকে প্রকাশ্যে চুমু তারপর বাঙালি অভিনেত্রীকে আজীবন একটি অধিকার দিলেন রোনাল্ডো

বলিউড তারকা বিপাশা বসু এবং আন্তর্জাতিক ফুটবল সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর বন্ধুত্ব যে একসময় বিখ্যাত ছিল, তা অনেকেই জানেন। কিন্তু তাঁদের সেই ভাইরাল মুহূর্ত আজও সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। একটি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিপাশার সঙ্গে দেখা হতেই রোনাল্ডো অত্যন্ত আন্তরিকভাবে তাঁকে জড়িয়ে ধরেন এবং প্রকাশ্যেই এক বন্ধুত্বপূর্ণ চুমু খেয়ে আলোড়ন তৈরি করেন। মুহূর্তটি ক্যামেরায় ধরা পড়তেই বিশ্বজুড়ে ভক্তদের মধ্যে তা ছড়িয়ে পড়ে ঝড়ের মতো। এই ঘটনার পর যা ঘটেছিল, তা আরও চাঞ্চল্যকর। রোনাল্ডো শুধু বিপাশার সৌন্দর্য বা ব্যক্তিত্বে মুগ্ধই হননি, তিনি তাঁকে একটি বিশেষ অধিকার ও দেন যা আজীবন তাঁর থাকবে। আসলে রোনাল্ডোর অত্যন্ত সীমিত কিছু নারী সেলিব্রিটি বন্ধু রয়েছেন, যাঁদের তিনি নিজের ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে, বন্ধুর তালিকায় এবং বিশেষ সাক্ষাৎকার বা প্রাইভেট গেট-টুগেদারে আমন্ত্রণ জানানোর অধিকার দেন। বিপাশা বসু সেই তালিকায় জায়গা পেয়েছিলেন। এটি ছিল এক ধরনের লাইফটাইম অ্যাকসেস, যেখানে তাঁরা প্রয়োজন হলে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন এবং একান্ত আমন্ত্রণ পেতে পারেন। বিপাশা নিজেও বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, রোনাল্ডো তাঁর প্রতি অত্যন্ত বিনয়ী এবং সম্মানজনক আচরণ করেন। এমনকি তাঁদের সংক্ষিপ্ত আলাপচারিতার পর রোনাল্ডো তাঁকে বলেছিলেন, তুমি যখনই আমার শহরে আসবে, আমাকে জানাবে এটা তোমার অধিকার। এই বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় শুধু উত্তেজনাই বাড়ায়নি, বরং তাঁদের সৌহার্দ্যকে আরও আলোচিত করেছে। অবশ্য এই ঘটনাকে অনেকে তাদের ব্যক্তিগত বন্ধুত্বের অংশ হিসেবেই দেখেছেন। তবুও, আন্তর্জাতিক তারকা রোনাল্ডোর কাছ থেকে এই ধরনের আজীবন অধিকার  পাওয়া ভারতীয় বা বাঙালি অভিনেত্রীদের মধ্যে অত্যন্ত বিরল ঘটনা। সেই কারণেই এই মুহূর্ত আজও ইতিহাস হয়ে আছে। ঘটনাটি শুধু রোমাঞ্চ, গ্ল্যামার ও আন্তর্জাতিক তারকার সংযোগই নয়, বরং দুই ভিন্ন দেশের দুই সুপারস্টারের পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বন্ধুত্বকেও চিহ্নিত করে। আজও সেই ঘটনা নিয়ে যখন আলোচনা হয়, ভক্তরা যেমন আবেগে ভেসে যান, তেমনই এই অদ্ভুত অধিকারএর গল্প তাঁরা বারবার জানতে চান।

বলিউডের গ্ল্যামার দুনিয়া, আন্তর্জাতিক ক্রীড়াক্ষেত্র, আর তারকাদের ব্যক্তিগত বন্ধুত্ব এই তিনটি বিষয় যখন এক সুতোয় গাঁথা হয়, তখন তার থেকে জন্ম নেয় এমন সব গল্প, যেগুলো শুধুমাত্র সংবাদপত্রের পাতাতেই নয়, মানুষের মনেও স্থায়ী জায়গা করে নেয়। বিপাশা বসু এবং ফুটবল কিংবদন্তি ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর সম্পর্ক বা বন্ধুত্বকে কেন্দ্র করে একসময় যে আলোচনা হয়েছিল, তা এখনও বহু মানুষের মনে দাগ কেটে আছে। রোনাল্ডোর সঙ্গে বিপাশার সেই একটি মুহূর্ত আজও ছবির মতো স্পষ্ট এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের লাল কার্পেটে যখন বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ফুটবলার রোনাল্ডো, ভারতীয় সিনেমার গ্ল্যামার কুইন বিপাশাকে দেখেই এগিয়ে গিয়ে বন্ধুত্বপূর্ণভাবে আলিঙ্গন করেন এবং প্রকাশ্যেই একটি চুমু দেন, তখন সেই মুহূর্তে উপস্থিত প্রতিটি ক্যামেরা যেন শুধুমাত্র তাদের দুজনের দিকেই তাকিয়ে ছিল। সেই দৃশ্য ভাইরাল হতে সময় লাগেনি, কারণ মিডিয়া, ইন্টারনেট এবং সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম তখন থেকেই তারকার ব্যক্তিগত জীবনের প্রতি তীব্র আগ্রহ তৈরি করতে শুরু করেছে।

অনুষ্ঠানের সেই দৃশ্যটি ছিল অত্যন্ত স্বতঃস্ফূর্ত, প্রাকৃতিক আর খোলামেলা। বিপাশা বসু তাঁর স্বভাবসুলভ হেসে ওঠা মুখে রোনাল্ডোর সান্নিধ্য উপভোগ করেছিলেন, এবং রোনাল্ডোও বিন্দুমাত্র সংকোচ না করে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা ও আন্তরিকতা প্রকাশ করেছিলেন। সেই একটি চুমু, যা পুরোপুরি বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল, জাতীয় থেকে আন্তর্জাতিক সব সংবাদমাধ্যমে আলোচনার ঝড় তুলেছিল। অনেকে বিস্মিত হয়েছিল, অনেকে মুগ্ধ, আবার কেউ কেউ সমালোচনাও করেছিলেন। কিন্তু বিপাশা কিংবা রোনাল্ডো কেউই তেমন কিছু স্পষ্ট করে মন্তব্য করেননি। তাঁরা এটিকে সাধারণ বন্ধুত্বের প্রকাশ হিসেবেই দেখেছেন।

কিন্তু সেই ঘটনার পর যে বিষয়টি আরও বেশি আলোচনায় আসে, তা হলো রোনাল্ডোর দেওয়া একটি বিশেষ "অধিকার"। এটিকে অনেকে লাইফটাইম অ্যাকসেস বা পার্সোনাল প্রিভিলেজও বলেন, যার অর্থ, বিপাশা শুধুমাত্র একজন দর্শক বা সাধারণ ভক্ত নন বরং রোনাল্ডোর একজন বিশেষ বন্ধু, যাঁকে তিনি তাঁর ব্যক্তিগত বৃত্তে স্বীকৃতি দিয়েছেন। রোনাল্ডো নাকি বিপাশাকে বলেছিলেন, তুমি যখনই আমার শহরে আসবে, বা সুযোগ পাবে, আমাকে জানাবে। এটা তোমার অধিকার। এই একটি বাক্যই একসময় সিলভার স্ক্রিন থেকে সংবাদপত্র পর্যন্ত সব জায়গায় হৈচৈ ফেলে দেয়। একজন আন্তর্জাতিক সুপারস্টারের কাছ থেকে এমন আশ্বাস পাওয়া কোনো সাধারণ ঘটনা নয়। এই বিশেষ অধিকার মূলত সেই তালিকায় পড়েছিল, যাঁদের রোনাল্ডো নিজের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে মেনে নেন। সেই তালিকায় বিশ্ববিখ্যাত বেশ কিছু মডেল, ফুটবল তারকা, সেলিব্রিটি ব্যক্তিত্ব ছিলেন। আর তাঁদের মধ্যে ভারতীয় চলচ্চিত্রের একজন অভিনেত্রীর উপস্থিতি ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

বিপাশা বসু ছিলেন সেই সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের একজন। বলিউডে তাঁর ক্যারিয়ারের সাফল্য, গ্ল্যামার, ব্যক্তিত্ব এবং পেশাগত আচরণ তাঁকে আন্তর্জাতিক পরিসরেও চেনা মুখ করে তুলেছিল। তাঁর সৌন্দর্যের সঙ্গে যুক্ত ছিল তীক্ষ্ণ বুদ্ধিমত্তা এবং স্বতন্ত্র স্টাইল। এই কারণেই হয়তো রোনাল্ডো তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের সেই উষ্ণতা বজায় রাখতে চেয়েছিলেন। বিপাশা শুধু বলিউডে জনপ্রিয় ছিলেন না, ভারতীয় মডেলিং দুনিয়াতেও তিনি ছিলেন বড় মুখ। তাঁর আন্তর্জাতিক পরিচিতিও ছিল যথেষ্ট। তাই রোনাল্ডোর কাছে তিনি কোনো অচেনা ব্যক্তিত্ব ছিলেন না, বরং একই রকম গ্ল্যামার দুনিয়ার দুই ভিন্ন দেশের মানুষের মধ্যেকার এক স্বাভাবিক যোগাযোগই শুধু ছিল।

এই বিশেষ অধিকার নিয়ে বিপাশা কখনও খুব জোরে কিছু বলেননি। হয়তো বললে আরও বড় সংবাদ হতো, কিন্তু তিনি পরিমিত, সংযত এবং অত্যন্ত পেশাদার ভঙ্গিতে পুরো বিষয়টিকে সামলেছিলেন। তাঁর কোনো বক্তব্যেই বাড়াবাড়ি পাওয়া যায়নি। তিনি জানিয়েছেন, রোনাল্ডো অত্যন্ত সম্মানজনক আচরণ করেছিলেন এবং অনুষ্ঠান চলাকালীন তাঁদের কথা হয় খুব অল্প সময়ের জন্য। সেই সংক্ষিপ্ত আলাপেই রোনাল্ডো তাঁর প্রতি যে বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব দেখিয়েছিলেন, সেটাই তাঁকে সবচেয়ে বেশি স্পর্শ করেছিল। মিডিয়ার আলোড়ন তিনি খুব সহজভাবেই নিয়েছিলেন। কারণ তিনি জানতেন অভিনেতা বা তারকা হওয়ার পর এই ধরণের ঘটনাকে মিডিয়া কখনও কখনও অযথাই বড় করে দেখাতে ভালোবাসে।

এদিকে, রোনাল্ডোও এই ঘটনাকে খুব স্বাভাবিকভাবে নিয়েছিলেন। তাঁর জীবনে এমন অসংখ্য মুহূর্ত এসেছে, যেখানে তিনি প্রশংসা, উচ্ছ্বাস, ভালোবাসা কিংবা বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থেকেছেন। কিন্তু তিনি সবসময়ই নিজেকে পেশাদারভাবে এগিয়ে রেখেছেন। তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি ছিল পরিষ্কার একজন ভালো বন্ধু আর একজন ভালো মানুষকে তিনি সম্মান করেন, আর বিপাশার প্রতি তাঁর সেই সম্মানই তিনি প্রকাশ করেছিলেন।

news image
আরও খবর

এই ঘটনাটি আবার দুই দেশের মানুষের মনেও একটি বিশেষ আবেগ তৈরি করেছিল। ভারতীয় ভক্তরা গর্ববোধ করেছিলেন যে বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার একজন ভারতীয় অভিনেত্রীকে এত শ্রদ্ধা এবং বন্ধুত্ব দেখিয়েছেন। বিশেষ করে বাংলার দর্শকদের কাছে এটি ছিল এক ধরনের বিস্ময়, কারণ একজন বাঙালি অভিনেত্রী আন্তর্জাতিক সুপারস্টারের সঙ্গে এমন ব্যক্তিগত সৌহার্দ্য বজায় রাখতে পেরেছেন, যা সাধারণভাবে খুবই দুর্লভ। বিপাশা তখনই লিখেছিলেন, রোনাল্ডো একজন অত্যন্ত নম্র ও ভদ্র মানুষ।তাঁর এই মন্তব্য আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও উদ্ধৃত হয়েছিল।

কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে এই ঘটনা একটি স্মৃতি হয়ে গিয়েছে, যদিও সেটি এখনও মানুষের মনে জাগ্রত থাকে। সেই বিশেষ অধিকার পরবর্তীকালে কতটা ব্যবহার হয়েছে বা আদৌ হয়েছে কিনা, তা দুজনের কেউই প্রকাশ করেননি। কিন্তু স্মৃতি, আবেগ এবং তারকাদের সম্পর্কের গল্প হিসেবে এটি আজও সমান জনপ্রিয়। তাঁদের সম্পর্ক কোনও রোমান্টিক ছিল না, বরং এক আন্তরিক বন্ধুত্ব এটিই বহু মানুষ বুঝতে শুরু করেন। রোনাল্ডোর দেওয়া সেই আজীবনের অধিকার আসলে একটি সম্মানের প্রতীক, যা বিপাশার প্রতি তাঁর শ্রদ্ধার বহিঃপ্রকাশ।

গ্ল্যামার দুনিয়ায় সময় বদলায়, সম্পর্ক বদলায়, আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুও বদলায়। কিন্তু কিছু মুহূর্ত ইতিহাস হয়ে থাকে যেমন রোনাল্ডোর আলিঙ্গন, বিপাশার হেসে ওঠা মুখ, আর সেই এক বন্ধুত্বপূর্ণ চুমু। আর তার পর যে স্নেহ, শ্রদ্ধা ও অধিকার তিনি দিলেন, তা আজও মানুষের মনে গল্প হয়ে ঘোরে। এটাই তারকাদের সীমা পেরিয়ে মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নেওয়ার শক্তি। বিপাশা এবং রোনাল্ডোর সেই এক দিনের বন্ধুত্ব আজও অনেকে মনে রাখে, কারণ সেটি শুধু গ্ল্যামার বা চমক নয় বরং দুই ভিন্ন জগতের দুই মানুষের সম্মান, ভদ্রতা এবং সৌহার্দ্যের প্রতীক। এবং সেই অধিকার, যা রোনাল্ডো তাঁকে দিয়েছিলেন, আজও বাঙালি দর্শকদের কাছে একটি গর্বের স্মৃতি হয়ে আছে।                                                                                               

সেই স্মরণীয় সন্ধ্যার কথা বলতে গেলে প্রথমেই মনে পড়ে একটি জমকালো পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের কথা। সেখানে উপস্থিত ছিল বিশ্বের বহু পরিচিত মুখ। চলচ্চিত্র তারকা, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব, ফ্যাশন ডিজাইনার, গায়িকা, আন্তর্জাতিক অতিথি সবাই সেই রাতটির গ্ল্যামারে যেন এক সুতোয় বাঁধা। বিপাশা বসুও সেই অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিলেন। তাঁর অনবদ্য পোশাক, আত্মবিশ্বাসী চলন এবং স্বাভাবিক সৌন্দর্য যেন লাল কার্পেটকে আরও উজ্জ্বল করে তুলেছিল। ওই অনুষ্ঠানেই প্রথমবার নয়, কিন্তু অনেক সময় পর তাঁর সঙ্গে দেখা হয় ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর।                                                         

আজ যখন কেউ সেই ঘটনার কথা বলে, তখন সেটি আর বিতর্কের কারণ হয় না। বরং তা হয়ে দাঁড়ায় একটি মিষ্টি স্মৃতি, একটি ভদ্রতা, একটি আন্তরিক সম্পর্কের প্রতিচ্ছবি। বিপাশা বসু তাঁর জীবনে যেমন অনেক সফলতা, অনেক প্রশংসা পেয়েছেন, তেমনই এমন কিছু মুহূর্তও পেয়েছেন যা কোনও পুরস্কারের থেকেও মূল্যবান। রোনাল্ডোর সঙ্গে তাঁর সেই পরিচয়, সেই কথোপকথন, সেই সম্মান এবং সেই অধিকার সব মিলিয়ে এটি হয়ে উঠেছে তাঁর জীবনযাত্রার একটি সুন্দর অধ্যায়।

Preview image