Lenspedia Bangla Logo
  • কলকাতা
  • 30℃ Purba Bardhaman

চিনের ‘হঙ্গর’ সাবমেরিনে শক্তি বাড়াচ্ছে পাকিস্তান, আগামী বছরেই নামবে সমুদ্রে

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভারত-পাক সংঘর্ষের সময় আরও স্পষ্ট হয়েছে রাওয়ালপিন্ডির চিন-নির্ভরতা। সেই সময়ে পাক বাহিনীকে ব্যাপকভাবে ভরসা করতে হয়েছিল চিনা যুদ্ধবিমান, ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উপর।

নিচের বিবরণটি বিস্তৃত ও শৈল্পিকভাবে সংযোজন করে আপডেট করা হলো — খবরের সারমর্ম, প্রাসঙ্গিক ইতিহাস ও সামরিক প্রভাব একসাথে তুলে ধরা হয়েছে:

আগামী বছরই চীনের-made ‘হঙ্গর’ সারিজের সাবমেরিন প্রথম দফায় পাকিস্তানি নৌসেনায় যোগ দিতে পারে—এমনটাই দাবি করেছেন পাক নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল নভীদ আশরাফ। ইসলামাবাদ এ সাবমেরিন কেনার জন্য বেজিংয়ের সঙ্গে প্রায় এক দশক আগেই (২০১৫ সালে) চুক্তি করেছিল; চুক্তি অনুযায়ী মোট আটটি সাবমেরিনের মধ্যে প্রথম চারটি চীনে নির্মিত হবে এবং বাকি চারটি নির্মাণের দায়িত্ব পাকিস্তানের হাতে হস্তান্তর করা হবে। চুক্তি অনুযায়ী ২০২২ থেকে ২০২৮ সালের মধ্যে এসব সাবমেরিন সরবরাহের পরিকল্পনা রয়েছে এবং প্রথম ব্যাচটি আগামী বছর মোতায়েনের লক্ষ্যেই রাখা হয়েছে। পাক নৌসেনা প্রধান বলেছেন, সরকারি স্তরে হওয়া এই লেনদেন শুধুমাত্র বন্দরে অস্ত্র যোগ করবে না—দুটি দেশের মধ্যে প্রযুক্তি স্থানান্তর এবং নির্মাণ দক্ষতার উন্নতিতেও ভূমিকা রাখবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সামরিক সরঞ্জামে পাকিস্তানের নির্ভরশীলতা চীনের প্রতি দীর্ঘদিন ধরে বাড়ছে। ‘স্টকহলম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট’-এর তথ্যমতে, গত পাঁচ বছরে পাকিস্তানের আমদানিকৃত সামরিক সরঞ্জামের প্রায় ৮১ শতাংশই এসেছে চীন থেকে—যার মধ্যে স্থলবাহিনী, বিমান ও নৌবাহিনীর অস্ত্রোপকরণ সবই অন্তর্ভুক্ত। ফলে রাওয়ালপিণ্ডির তিন বাহিনীর সামরিক প্রস্তুতিতে বেজিংয়ের গূঢ় প্রভাব প্রতীয়মান।

news image
আরও খবর

চলতি বছরের ভারত-পাক উত্তেজনার সময়েও এই নির্ভরশীলতাই খেয়াল করা গেছে। সংঘর্ষকালে পাক সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের বাহিনী চীনের উৎপাদিত যুদ্ধবিমান, ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপর ভরসা করতে বাধ্য হয়েছিল। সেই সময় তারা মার্কিন এফ-১৬ ছাড়াও চীনের জেএফ-১৭ ‘থান্ডার’ এবং জে-১০সি ‘ভিগোরাস ড্রাগন’ বল্লম্বর বিমান ব্যবহার করেছে বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক রিপোর্টে বলা হয়েছে। বিশেষত জেএফ-১৭-র সর্বাধুনিক ‘ব্লক-৩’ সংস্করণ—which চেংদু এয়ারক্র্যাফটস ইন্ডাস্ট্রিজ গ্রুপের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে নির্মিত—কিছু রিপোর্টে ভারতের বিরুদ্ধে অপারেশনে ব্যবহৃত ডান আঙুল হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

মোটকথা, হঙ্গর সাবমেরিন সরবরাহ ইস্যুটি কেবল নৌসামরিক শক্তি বৃদ্ধির বিষয় নয়—এটি পাকিস্তান ও চীনের কৌশলগত অংশীদারিত্ব ও সামরিক-প্রযুক্তিগত সহযোগিতার একটি প্রতীক। উপরে বর্ণিত সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ ও অস্ত্রাত্মক সহযোগিতা বিবেচনায় রেখেই বলা যায়, আগামী কয়েক বছরে দক্ষিণ এশিয়ার সামরিক ভারসাম্য ও আঞ্চলিক কূটনীতিতে এর প্রভাব যথেষ্ট গভীর হতে পারে।

Preview image