ফল প্রকাশের পরও এসএসসি ওয়েবসাইট মন্থর থাকার কারণে বহু একাদশ-দ্বাদশ শিক্ষক পদপ্রার্থী ফল দেখতে পারছেন না।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার পর প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু প্রকাশের পর থেকেই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারছেন না প্রার্থীরা। ফল প্রকাশের ১৪-১৫ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও বহু প্রার্থী জানতে পারছেন না তারা উত্তীর্ণ হয়েছেন কি না। লিঙ্কে ক্লিক করার পরও ওয়েবসাইটে ফল না দেখায় পরীক্ষা প্রার্থীদের মধ্যে হতাশা ছড়িয়েছে।
যোগ্য চাকরিহারা মেহবুব মণ্ডল জানান, সকাল থেকে বহুবার চেষ্টা করেছেন, তবুও ওয়েবসাইট খুলছে না। সূত্রের খবর, সমস্যার মূল কারণ— প্রায় ২ লক্ষ ২৯ হাজার প্রার্থী একই সময়ে ফল দেখতে চেষ্টা করছেন। এই চাপের কারণে সার্ভিস সাইট মন্থর হয়ে পড়েছে।
অনেক প্রার্থী অবশ্য ভাগ্যক্রমে ফল দেখতে পেয়েছেন। তবে হতাশা কমেনি। যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চের নেত্রী রূপা কর্মকার জানান, লিখিত পরীক্ষায় ৪৩ নম্বর পাওয়ার পর চ্যালেঞ্জের মাধ্যমে ৪৪ নম্বর হয়েছে। তবুও বহু প্রার্থী এখনো ফল জানেন না এবং ইন্টারভিউতে ডাক পাবেন কি না তা পরিষ্কার নয়।
অন্যদিকে, সুমন বিশ্বাসের মতো প্রার্থীরা লিখিত পরীক্ষায় ৬০ নম্বরের মধ্যে মাত্র ২৬ নম্বর পেয়েছেন। তিনি জানান, আন্দোলনের কারণে প্রস্তুতি নিতে পারেননি। পরিবারের দায়িত্বও থাকায় এই ফল তাদের সামাজিক সম্মান এবং বেঁচে থাকার সম্বলকে প্রভাবিত করতে পারে।
এসএসসি কর্তৃপক্ষ একাদশ-দ্বাদশের জন্য মোট ১২,৫১৪ শূন্যপদের ফল প্রকাশ করেছেন। পরীক্ষায় বসেছিলেন ২,২৯,৬০৬ জন প্রার্থী। প্রকাশিত ফল দেখে বোঝা যাচ্ছে, ধীরগতিতে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারা প্রার্থীরা হতাশা ও উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। এত দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরও সাইটের মন্থরতা প্রার্থীদের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে এবং ফলের উপর অবাধ অ্যাক্সেস পাওয়ার জন্য চাপের পরিস্থিতি তৈরি করছে।
এই পরিস্থিতি প্রমাণ করে, বড় সংখ্যক প্রার্থী যখন একসাথে অনলাইনে প্রবেশ করার চেষ্টা করেন, তখন ওয়েবসাইটের প্রযুক্তিগত প্রস্তুতি কতটা গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীদের জন্য স্বচ্ছ ও দ্রুত ফল প্রদানের তাগিদ একবারে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।