Lenspedia Bangla Logo
  • কলকাতা
  • 30℃ Purba Bardhaman

পথকুকুরদের সরাতে হবে জনসমাগম এলাকাগুলি থেকে, রাজ্যগুলিকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

বিচারপতি বিক্রম নাথ, সন্দীপ মেহতা ও এন. ভি. আঞ্জারিয়ার বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ— নির্বীজকরণের উদ্দেশ্যে যে অঞ্চলগুলি থেকে পথকুকুরদের সরানো হয়েছে, সেখানে পুনরায় তাদের ছাড়ার অনুমতি দেওয়া যাবে না। আদালতের নির্দেশ, এই নিয়ম রাজ্যগুলিকে কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।

পথকুকুরদের সরাতে হবে জনসমাগম এলাকাগুলি থেকে, রাজ্যগুলিকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
জননিরাপত্তা

স্কুল, রেলস্টেশন ও হাসপাতাল-সহ জনসমাগম এলাকাগুলি থেকে পথকুকুরদের সরানোর নির্দেশ দিল দেশের শীর্ষ আদালত। শুক্রবার বিচারপতি বিক্রম নাথ, বিচারপতি সন্দীপ মেহতা এবং বিচারপতি এন. ভি. আঞ্জারিয়ার বেঞ্চ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির প্রশাসনকে স্পষ্ট নির্দেশ দেয়— জননিরাপত্তার স্বার্থে এই এলাকাগুলিকে পথকুকুর-মুক্ত রাখতে হবে।

আদালত জানায়, নির্বীজকরণের জন্য যেসব অঞ্চল থেকে পথকুকুরদের তুলে নেওয়া হয়েছে, তাদের আর সেই এলাকায় ফেরানো যাবে না। নির্বীজকরণের পর সমস্ত পথকুকুরকে সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রেই রাখা হবে। বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, নির্বীজকরণের পর যদি কুকুরদের আবার জনবহুল এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়, তা নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের স্থানীয় প্রশাসনকে এখন চিহ্নিত করতে হবে, কোন কোন জায়গায় পথকুকুরদের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, খেলার মাঠ, শিশু উদ্যান, সরকারি দফতর ও রেলস্টেশন— এমন সব গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বেড়া বা অন্যান্য সুরক্ষাব্যবস্থা জোরদার করতে হবে যাতে পথকুকুর ঢুকতে না পারে।

news image
আরও খবর

সুপ্রিম কোর্ট আরও জানিয়েছে, জেলাশাসকদের দায়িত্ব থাকবে এই নির্দেশ বাস্তবায়নের তদারকি করা এবং নিশ্চিত করা যে নির্দিষ্ট এলাকাগুলিতে পথকুকুর প্রবেশ করছে কি না, তার উপর নিয়মিত নজরদারি চালানো হচ্ছে। প্রয়োজনে সিসিটিভি নজরদারি বা স্থানীয় প্রশাসনের বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করারও পরামর্শ দিয়েছে আদালত।

এই নির্দেশকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে প্রাণী-অধিকার কর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ একে “মানবিকতার পরিপন্থী” বললেও, আদালতের মতে, এই পদক্ষেপের মূল লক্ষ্য নাগরিক নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করা।

Preview image